Site icon Book PDF Down.com

1952 নিছক কোন সংখ্যা নয় PDF Download মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

1952 নিছক কোন সংখ্যা নয় PDF Download মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

1952: নিছক কোন সংখ্যা নয় এই অসাধারণ উপন্যাসটি বাংলাদেশের স্বনামধন্য লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের লেখা। তিনি বাংলাদেশের পাঠকদের কাছে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন তার অসাধারন থ্রিলার রচনার জন্য। তাঁর সহজ, সরল, প্রাঞ্জল ও সাবলীল ভাষার মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কে তুলে ধরেছেন। তার লেখাগুলো পড়তে লাগলেন কোন পাঠকই সেটা শেষ না করে উঠতে চাইবেন না। সেইরকমই এক থ্রিলার উপন্যাস হলো এটি। এই উপন্যাসটির হার্ডকপি যারা এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারেননি তারা এখনই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি ডাউনলোড করে পড়ে ফেলুন।

“1952 নিছক কোন সংখ্যা নয়” একটি নাজিম উদ্দিন এর আরো একটি অসাধারণ থ্রিলার অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মত প্রকাশ হয় 2014 সালের ফেব্রুয়ারি মাসের বইমেলাতে। তৃতীয়বারের মতো বইটি আবারো প্রকাশ পায় 2015 সালের আগস্ট মাসে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সিরাজুল ইসলাম নিউটন। বইটি প্রকাশ করেছে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠাসংখ্যা রয়েছে 416 টি। বর্তমানে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 315 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ

উপন্যাসটির নাম শুনেই আপনারা হয়তো কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছেন যে উপন্যাসটির মাধ্যমে গভীর কিছু কথা লেখক এখানে তুলে ধরেছেন। 1952 সংখ্যাটি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে এক গভীর আবেগের জায়গা। এটি সত্যিই কোনো সাধারণ সংখ্যা নয় এর সাথে জড়িয়ে আছে হাজার হাজার বাঙালির রক্ত ও তাদের স্বপ্ন। 1952 এই সংখ্যাটি বাঙালির কাছে এক অর্জনের নাম, ও শত শত মানুষের ত্যাগের নাম।

গল্পটি শুরু হয় একটি অ্যাক্সিডেন্টের তদন্ত নিয়ে। অ্যাক্সিডেন্টি যার মাধ্যমে হয়েছে তার নাম হলো সায়েম মোহাইমেন। তিনি পেশায় একজন সাংবাদিক। তার ছোটবেলা থেকেই গাড়ির প্রতি এক অসাধারণ ঝোক। অনেক দিনের স্বপ্ন তার একটি ভালো গাড়ি কেনার। ভাল চাকরীর সুবাদে তার স্বপ্ন একদিন পূরণ হয়ে যায়। সায়েম তার নতুন গাড়িটি নিয়ে আনন্দে ফাঁকা রাস্তায় একটু গতি বাড়িয়েই চলছিল।

সেই সময় সে ফোনে তার প্রেমিকার সাথে কথা বলছিল। তখনই এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে তার গাড়ির সাথে। সায়েম তার গাড়ি একটি মানুষের উপর জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং ঘটনাস্থলেই লোকটি মারা গিয়েছে। সায়েম একথাটি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না যে, সে কিভাবে গাড়ি চালিয়ে কাউকে খুন করেছে?

এই ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়ার পর পুলিশ আসে তাকে ধরার জন্য। সায়মের বন্ধু গুলশান বনানী থানার ওসি গোলাম মাওলা তার কেসটি সমাধান করার দায়িত্ব নেয়। যার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে তার পরিচয় খুঁজে পাওয়ার পর সবাই একটু অবাক হয়ে যায়। যে মারা গেছে সে আর কেউ নয়। ভাষাসৈনিক আদেল সুফির একমাত্র নাতি আদনান সুফি। যাকে কিনা একনামে পুরো দেশ চেনে। মন্ত্রীসহ উচ্চস্তরের মানুষরাও তাকে অনেক সম্মান করে চলে।

উত্তরা থানার ওসি যখন প্রেমের গাড়ি যখন সার্চ করছিল তখন গাড়ি থেকে কয়েকটি মদের বোতল পাওয়া যায়। সায়মের বন্ধু গোলাম মাওলা ওসিকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে যে তার বন্ধু এই কাজ কখনই করতে পারেন না। এই কেসটির দায়িত্ব নেয় ব্যারিস্টার নিশু। নিশু সায়েমের পক্ষ থেকে কেসটি লরেন। নিশু প্রমাণ করেন যে অ্যাক্সিডেন্টের আগেই আদনান সুফিকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু আসল অপরাধী কে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আস্তে আস্তে কেসটিতে এমন কিছু রহস্য বের হয়েছে যা দেখার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। দেশের সাথে বড় বড় সরকারি কর্মকর্তারা এবং অনেক মন্ত্রীরাও জড়িয়ে ছিল। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এই উপন্যাসটি মাধ্যমে গভীর কিছু জিনিস সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

শেষ পর্যন্ত কী সায়েম নির্দোষ প্রমাণিত হয়? আদনান সুফির আসল খুনি কী ধরা পড়ে? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে উপন্যাসটা পুরোটা শেষ করতে হবে। অন্যান্য থ্রিলার এর মতো এখানেও রাজনীতি, পুলিশ,তদন্ত,ষড়যন্ত্র সব মিলিয়ে ফুল প্যাক অফ থ্রিল কাহিনী আছে। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এই উপন্যাস। তাই আর সময় নষ্ট না করে এই উপন্যাসটা আপনারা পড়ে ফেলুন আশা করি ভালো লাগবে।

Link :-1 | Link :-2 | Link :-3Link :-4

Exit mobile version