আমি এবং কয়েকটি প্রজাপ্রতি PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

হুমায়ূন আহমেদ স্যারের সাধারণত যে ধরনের উপন্যাস পড়ে তার চাইতে ব্যাতিক্রম একটি উপন্যাস হল আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি। এই বইটি গতানুগতিক ধারার চাইতে সম্পূর্ণভাবে আলাদা। বইটি বাংলা সাহিত্যে একটি সাইকো থ্রিলার বই। এই বইটি আমাদের কথা সাহিত্যিক জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ স্যার লিখেছেন।

স্যারের অন্যান্য ধরনের লেখার সাথে পরিচিত থাকলেও যারা সাইকো থ্রিলার পড়তে পছন্দ করেন তারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এই বইটি নির্দ্বিধায় পড়তে পারেন। বাংলা সাহিত্যে সেই সময়ে লেখক হুমায়ূন আহমেদ এত সুন্দর একটা সাইকো থ্রিলার রেখেছেন, অথচ বইটা এখনো আন্ডাররেটেড হয়ে আছে।

আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি বইটি অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে এবং বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 95 টি। বর্তমান বাজারে আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি বইটির মুদ্রিত মূল্য 200 টাকা এবং এই বইটি একটি সমকালীন উপন্যাস।

আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি রিভিউ

আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি একটি সাইকো থ্রিলার ধরনের বই। বাংলা সাহিত্যে এমন মৌলিক সাইকো থ্রিলার সে সময়ে লিখে গিয়েছেন কিনা আমার জানা নেই। তবে বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে থ্রিলার বইয়ের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে থাকায় বিভিন্ন লেখকের মৌলিকভাবে থ্রিলার বই লিখে যাচ্ছেন। আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো ফখরুদ্দিন সাহেব। তিনি এই বইটির গল্প নিজের ভাষ্যমতে বলতে থাকেন। এখানে তিনি এমনভাবে গল্পটি বলেন যাতে পাঠক এই হল তার শ্রোতা।

ফখরুদ্দিন সাহেব তাঁর দূর সম্পর্কের মামার সঙ্গে একদিন কণে দেখতে চাই। যেহেতু তাঁর দূর সম্পর্কের মামা একজন সরকারি কাজে সেহেতু সেই রাতেই তাদের বিয়ে হয়ে যায় এবং পরদিন তার স্ত্রী তার সঙ্গে তার বাড়িতে আসে। বিয়ের খুব অল্পসময়ের মধ্যেই তার স্ত্রী জানাই যে তার সঙ্গে আর থাকবে না। ফখর উদ্দিন সাহেব তার স্ত্রীকে তার স্ত্রীর ইচ্ছাই তালাক দিয়ে দেন এবং আলাদা থাকতে শুরু করেন। কিছুকাল পরে তিনি আবার তার স্ত্রীর বোন অর্থাৎ শালিকা রুপাকে বিয়ে করেন। তার শালিকা রুপা ও ফকরুদ্দিন সাহেবের চরিত্রে কিছু অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেন। কি সেই অসাভাবিক বৈশিষ্ট্য?

দুইটি ঘটনা সেই অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরে এবং আরো অনেক ঘটনা বইতে আপনারা উল্লেখ পাবেন। ফকরুদ্দিন সাহেব মাঝ রাতে যদি ঘুম ভেঙে যায় তাহলে ছাদে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তার স্ত্রী রুপা একদিন মাঝরাতে ঘুম ভেঙে লক্ষ্য করেন যে তার পাশে তার স্বামী নেই। ছাদে গিয়ে তিনি তাকে খুঁজে পান এবং দেখেন যে সেখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় বৃষ্টির পানির মধ্যে তার স্বামী শুয়ে আছে।

তারপরে ফকরুদ্দিন সাহেব একদিন রক্ত নিয়ে এসে পেয়ারা গাছের গোড়ায় ঢালতে থাকে এবং তিনি তার এক্সপেরিমেন্ট বলে রুপাকে এ বিষয়টি জানান। এরকম অস্বাভাবিক ঘটনা বইটিতে উঠে এসেছে। আর এই ঘটনাগুলো তাকে একজন সাইকো বলে আখ্যায়িত করা যায়।

বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে ফকরুদ্দিন সাহেবকে একদিন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে তার সমস্যার কথা গুলো খুলে বলা হয়। ফকরুদ্দিন কিন্তু ইতোমধ্যে দুইটি খুন করেছে খুব ঠান্ডা। একজন ঠান্ডা মাথার খুনি যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা ফখরুদ্দিনের চরিত্রের মধ্যে ফুটে এসেছে। ফকরুদ্দিন যদিও কোনটি করেছে তবে তিনি ফিজিক্যালি কোনটি করেননি।

সাইকিয়াট্রিস্ট দেখে কি ফখর উদ্দিন সাহেব সুস্থ হবে? তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুপাখি তার সঙ্গে থাকবেন? এরকম নানা ধরনের প্রশ্ন আপনার মনে উঁকি দিতে থাকবে বইটি পড়া শুরু। তাই আর সময় নষ্ট না করে বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন এবং আপনার সুবিধা অনুযায়ী পড়ে ফেলুন।

আমি এবং কয়েকটি প্রজাপ্রতি PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top