Site icon Book PDF Down.com

অন্দরমহল PDF Download সাদাত হোসাইন

অন্দরমহল PDF Download সাদাত হোসাইন

অন্দরমহল’ উপন্যাসটির রচয়িতা হলেন ‘সাদাত হোসাইন’। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের একজন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তরুণ সাহিত্যিক হলেন সাদাত হোসাইন। শুধুমাত্র উপন্যাসই নয়, ছোট গল্প ও কবিতা রচনার ক্ষেত্রেও এই লেখক নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন।

অসাধারণ গল্পের উপাদান ও লেখার নান্দনিকতা লেখককে অল্পদিনের মাঝেই পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। অন্দরমহল উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬ সালে, ৪৩৮ পৃষ্ঠার এই বইটির প্রকাশক হলো ‘ভাষাচিত্র’ প্রকাশনী। অন্দরমহল উপন্যাসটির মূল পটভূমি গড়ে উঠেছে এক পুরাতন জমিদার পরিবারকে কেন্দ্র করে।

কাহিনীটি যে পুরাপুরি কাল্পনিক তা লেখক নিজেই স্বীকার করেছেন। তবুও এক কাল্পনিকতার মাঝেই লেখক যেভাবে বাস্তবতার স্বরূপ ফুটিয়ে তুলেছেন তা অতুলনীয়। মানুষের মনের জটিলতা এক বিচিত্র উপন্যাস হলো এই অন্দরমহল। বিষ্ণুপুরের জমিদারি সামলিয়ে আসছিলেন বিষ্ণুনারায়ণ নামের একজন জমিদার।

হঠাৎ করেই তিনি অসুস্থ হয়ে পরলে তার সিংহাসনে কে বসবে তাই নিয়ে শুরু হয় বিস্তর নাটকীয়তা। প্রজাদের সকলের কাছেই মনে হয় মেজো ছেলে দেবেন্দ্রনারায়ণই হতে পারে সিংহাসনের যোগ্য উত্তরসূরী। দেবেন্দ্রনারায়ণের জমিদারি আচরণ, খামখেয়ালিপনা ও অত্যাচারী মনোভাব তাকে তার বাবার উত্তরসূরী রূপে মানুষের কাছে উপস্থাপন করেছে।

বিষ্ণুনারায়ণের মোট তিন ছেলে বড় ছেলে অবনীন্দ্রনারায়ণ, যিনি কিনা একজন ভবের মানুষ, তার বেশির ভাগ সময় চলে যায় সংগীতচর্চায়, মেজ ভহেলে দেবেন্দ্রনারায়ণ আর ছোট ছেলে দীপেন্দ্রনারায়ণ সে কখনোই বড় দুইভাইকে টপকে সিংহাসনে বসার স্বপ্নও দেখে না।

বড় ও ছোট ছেলের জমিদারির প্রতি কোন আগ্রহ না দেখে বিষ্ণুনারায়ণ মেজ ছেলেকে ক্ষমতায় বসাতে চাইলে বাধ সেজে বসে বড় পুত্রের স্ত্রী বীণাবালা। বীণাবালা বরাবরই এই পরিবারে আসার পর থেকেই একবিষ বৃক্ষ রোপন করেছে। বীণাবালা নিজেও একজন জমিদারের মেয়ে হওয়ায় সে সর্বদাই চাইতো ক্ষমতা যেন তার স্বামী ও পুত্র ছাড়া অন্য কারো হস্তগত না হয়।

কিন্তু যে যাই বলুক, এতো বড় একটা পদ ও সিংহাসনের প্রতি কী বিন্দুমাত্র কারও আগ্রহ নেই? না ভেতরে ভেতরে সবাই নিজের মত কোন পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত? এসবই পরিস্ফুটিত হয়েছে উপন্যাসের গল্পে। জমিদারি ও এর প্রতি লোভ থেকে মানুষ কখন কী করে ফেলতে পারে তাই নিয়ে গড়ে উঠেছে উপন্যাসের কাহিনী, আর এই কাহিনী ক্ষণে ক্ষণেই পরিবর্তিত হয়ে নতুন রূপ ধারণ করে।

উপন্যাসে আরও অনেক চরিত্রের দেখা পাওয়া যায় হরিহরণ, রতনকান্তি, হেমাঙ্গিনী দেবী, বিভূতিনাথ, গৌরাঙ্গ বারুজ্জে ও দিবাকর চাটুজ্জে প্রমুখ। বইটির মূহুর্তে মূহুর্তে চমক ও নৃশংসতার হাতছানি। একসময় দেবেন্দ্রনাথ গুটি বসন্তে আক্রান্ত হয়ে পরে ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়, তখন তার পরিবারের সকলে মিলেই তাকে নিচের দিকে ঠেলে দেয়।

এক সময়ের সিংহের মত দাম্ভিক এক ব্যক্তি হঠাৎই সবার করুনার পাত্র হয়ে ওঠে। তারপরই বিষ্ণুপুরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হতে শুরু করে, একে একে অনেক সত্য, অনেক চমকপ্রদ ঘটনার অবতারণা হতে শুরু করে। আর এসব কাহিনী জানোট হলে পড়তে হবে বইটি।

বইটি দৈর্ঘ্যের দিক থেকে বড় মনে হলেও একবার পড়তে শুরু করলে তা যে কোন পাঠককে মায়াজালে আবদ্ধ করে রাখবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Exit mobile version