অপরিচিতা রবি ঠাকুরের একটি অসাধারণ ছোট গল্প । গল্পটি রবি ঠাকুরের গল্পগুচ্ছ প্রবন্ধে সংকলিত হয়েছে। রবি ঠাকুরের এই গল্পটি যৌতুক প্রথা ও সেসময়ের মেয়েদের প্রতি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কল্যাণী নামের একটি মেয়ের সাথে বিয়ের কথা ঠিক হয় অনুপম নামের একটি ছেলের।
সেসময় বিবাহের পূর্বে ছেলে-মেয়ের দেখা হতো না বললেই চলে বরং পরিবারের অভিভাবক প্রজাতির লোকজন এসব ব্যাপার ঠিক করে নিত। কল্যাণী চরিত্রটি রবি ঠাকুরের এক অসাধারণ চরিত্র। রবি ঠাকুরের নারী চরিত্র গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি চরিত্র কল্যাণী। কল্যাণীর অসাধারণ শিক্ষা, দেশ প্রেম, মানবতা কিংবা প্রতিবাদী মনোভাব সবকিছু মিলিয়ে কল্যাণী চরিত্রটি রবি ঠাকুরের একটি অসামান্য সৃষ্টি। অনুপমের সাথে কল্যাণীর বিয়েতে কল্যাণীর বাবা তাকে প্রচুর গহনা দিয়েছিল।
বিবাহের দিন উপস্থিত হলে অনুপমের মামা অভিযোগ করেন যে কল্যানীকে গহনা গুলো সবই নকল, এমনকি অনুপমের মামা ওজন করে দেখ যে তাঁরা ঠিকঠাক দিয়েছে কিনা। উপস্থিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিয়ে বাড়িতে চরম সমস্যা দেখা দেয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তখন পর্যন্ত কোন বাবা তার মা কল্যানীকে সামনাসামনি দেখিনি।
অবশেষে অনেক ঝামেলার পরে আবার মামা বন্ধ রাখা দিয়ে পুনরায় শুরু করার কথা বললেন পাত্রী পক্ষ থেকে বলে দেয় যে বিয়ে হবে না। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হতভম্ব হয়ে পড়ে কেননা মেয়ের পক্ষ হয়ে বিয়ে বাতিল করে দিচ্ছে। সেই সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েদের বিয়ে এমনিতেই অনেক জটিল ছিল তার ওপরে এমন ঘটনার পরে সবাই অবাক হয়ে যায় কেননা পাত্রী নিজেই বিয়ে করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
এরপর কিছু সময় কেটে যায়। একদিন রেলপথে যাত্রা করার সময় কল্যাণীর সাথে দেখা হয় অনুপম ও তার মায়ের। সেখানে উপস্থিত একটি সমস্যার সমাধান করার পরে কল্যাণী কে দেখে মুগ্ধ হয়ে যায় অনুপম ও তার মা। অতঃপর তারা কল্যাণের পরিচয় জানার জন্য উৎসুক হয়ে ওঠে। কিন্তু কল্যাণীর পরিচয় জানার পরে হতভম্ব হয়ে যায় তারা কারণ এই কল্যাণী আর কেউ নয় সেই পাত্রী যে অনুপম কে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছিল।
অনুপম ও তার মা তাদের ভুল বুঝতে পেরে কল্যাণী কে পুনরায় তাদের ছেলের বউ করতে চাই এবং কল্যাণীর কাছে ক্ষমা চায়। কিন্তু কল্যাণী রাজি হয় না। রবি ঠাকুরের এই অসাধারণ গল্পটি পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। শুধুমাত্র আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এই সুন্দর গল্পটি পিডিএফ ফাইল আকারে সাজিয়ে রেখেছি। আপনারা চাইলেই যখন তখন অনলাইনে গল্পটি পড়তে পারেন কিংবা পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে পড়তে পারেন রবি ঠাকুরের এই অসাধারণ ছোটগল্পটি।