Site icon Book PDF Down.com

বাঘ বন্দি মিসির আলী PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

বাঘ বন্দি মিসির আলী PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

বাঘ বন্দি মিসির আলী মিসির আলি সমগ্র হুমায়ূন আহমেদের সব লেখনীর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। এটি অত্যন্ত চমৎকার এবং বাস্তবভিত্তিক তবে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে সবসময় রহস্যময় ব্যাপার গুলো থাকে। মিসির আলি সমগ্রের একটি উপন্যাস হলো “বাঘবন্দি মিসির আলি।

মিসির আলি সিরিজের প্রত্যেকটি বই প্যারানরমাল বিষয় নিয়ে লেখা। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হলো ফতু মিয়া আর অত্যন্ত প্রতিভাবান ব্যক্তি হলেন মিসির আলি উপন্যাস গুলোর প্রধান আকর্ষণ হল মিসির আলি সবসময় ও জটিল বিষয়গুলো কে যুক্তি তর্কের মাধ্যমে সমাধান করেন।

“বাঘবন্দি মিসির আলি” পড়তে গিয়ে একসময় মনে হয় মিসির আলি সত্যি যেন বাঘ বন্দি হয়ে পড়েছেন কেননা রহস্যের কোন জট তিনি খুলতে পারছিলেন না। উপন্যাসের বিষয়বস্তু এবং কাহিনী এগিয়ে যায় ফতে মিয়া নামে একজন ব্যক্তিকে নিয়ে। মিসির আলি যে বাসায় থাকতো সেই বাসার মালিকের বোনের ছেলে এই ফতে মিয়া।‌

যে ছোটবেলা থেকেই এই বাসায় আশ্রিত। ফতে মিয়াকে সবসময় তার মামার দ্বারা নিগৃহীত, অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়ে বড় হতে হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে ফতু মিয়া তার এই গোপন অলৌকিক শক্তি সম্পর্কে জানতে পারে। তার এই ঐশ্বরিক ও অলৌকিক ক্ষমতা ভাল কাজে সে ব্যবহার করতে পারত কিন্তু সে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে সব সময়।

সে সব সময় ভয় পায় এটা ভেবে হয়তো তার ক্ষমতার কথা কেউ জেনে ফেলবে। ফতু মিয়া অন্যের মস্তিষ্কের ওপর নিজের প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এমনকি নিজে যা চায় তাই অন্য ব্যক্তির উপর প্রভাব বিস্তার করে তাকে দিয়ে করাতে পারে । সবাইকে সে নিজের প্রতিপক্ষ ও প্রতিযোগী মনে করে।

এ রকম অবস্থার মধ্যে সে মানসিকভাবে চরম অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে সে এই সমস্যার জন্য চার জন ব্যক্তিকে হত্যা করে এবং দিন দিন আরও হিংস্র হয়ে যায়। মিসির আলি কিছুতেই এই সমস্যার কোন যুক্তি বা সমাধান খুঁজে পায়না। গল্পের মাঝে আবির্ভাব ঘটে প্রতিমা নামে এক মেয়ের। ছয় বছর পূর্বে মিসির আলি সুস্থ করে তুলেছিলেন। সে মিছির আলীকে চরম বিরক্ত করতে শুরু করে এবং তাকে সাথে নিয়ে সেই বাড়ি থেকে চলে যেতে চায়।

মিসির আলি চেয়েছিল প্রতিমা কে সাথে নিয়ে ফতে মিয়ার মানসিক সমস্যার সমাধান করতে। ফতে ফতেমা যে অন্যের উপর এভাবে প্রভাব বিস্তার করে এবং অন্যের ক্ষতি করে এক ধরনের পৈশাচিক আনন্দ খুঁজে পায় অন্যদের উপর তার ক্ষমতার অপব্যবহার তাকে মানসিক প্রশান্তি দান করে সে কখনোই তার ক্ষমতার সঠিক প্রয়োগ করেনি।

তবে শেষ পর্যন্ত মিসির আলি প্রথমেই মানসিক বিকারগ্রস্ত তার সঠিক সমাধান ও যুক্তি খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়। কিন্তু মিসির আলি সিরিজের প্রতিটি গল্পের শেষে যেমন রসময় চরিত্রগুলোর শেষ পরিণতি সঠিকভাবে বোঝা যায় না তেমনি বাঘবন্দী মিসির আলি গল্পটিতে একই রকম ভাবেই লেখক সমাপ্তি টেনেছেন।

শেষ অব্দি ফতু মিয়ার কি হয়েছিল বা প্রতিমা কোথায় গিয়েছিল তার কোন সমাধান গল্পের শেষে খুঁজে পাওয়া যায় না। মিসির আলি সিরিজের উপন্যাস গুলোর মতই “বাঘবন্দি মিসির আলি” রহস্য-রোমাঞ্চ আর প্যারানরমাল বিষয়বস্তুতে পরিপূর্ণ তাই প্রতিটি পাঠক যারা রহস্য মূলক বই পছন্দ করে তাদের জন্য উপন্যাসটি অবশ্য করণীয়।

Exit mobile version