Site icon Book PDF Down.com

বিভং PDF Download নাবিল মুহতাসিম

বিভং PDF Download নাবিল মুহতাসিম

স্পাই থ্রিলার পছন্দ করে এমন পাঠক মাত্রই নাবিল মুহতাসিমকে চিনেন। তার বাজি ট্রিলজি বেশ পাঠকপ্রিয়। তবে লেখকের ‘বিভং’ নামের একটি সায়েন্স ফিকশনও আছে। বরাবরের মত এটাতেও নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। আমাদের সায়েন্স ফিকশন জনরাটা নিয়ে ইদানিং তেমন বেশি কাজ হচ্ছে না। কিন্তু বিভং বইটা সত্যিও আলাদা। এমন অসাধারণ বইটা! যারা এখনো পড়েন নি তারা আমাদের ওয়েবসাইট বইটার পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

রাশিয়ার সির দ্বারিয়া নামক নদীর পাশে বাইকোনুর নামক ছোট্ট একটা শহর। সেখান থেকে বাংলাদেশের প্রথম নভোচারী হিসেবে যাতরা করবে রূপম কাজী ওরফে রূপু। তাঁর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরোন হবে। এই স্বপ্ন পুরোন করতে তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কিন্তু রওনার আগে হঠাৎ সে নিজেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আবিস্কার করলো এক বিড়ট হলরুমের মত জায়গায়। তাও খুব অদ্ভুত ভাবে।

একটা লাশ পরে আছে তার পাশে। সে এখান থেকে বেরোবে কিভাবে? ভেবে দেখলো দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরোন নাও হতে পারে। এই লাশ যদি আবিষ্কার হয়ে যায় তবে রকেটেএ ককপিটে না বসে বসতে হতে পারে ইলেকট্রিক চেয়ারে! বইয়ের শুরুটে এমন রহস্যময়তার মধ্য দিয়ে।

তবে তা হয়নি, সব ঝামেলা মিটিয়ে সে শেষমেশ রকেটে চড়ে বসলো। তাদের রকেটের নাম ‘সয়ুজ’। রূপু ভেবেছিল তার এই মিশন বেশ সুখকর হবে। কন্তু তা হয়নি। মহাকশে গিয়েই বুঝলো একটা ঝামেলা ঘটছে। এর সাথে জড়িয়ে আছে বিশ্ব রাজনীতির বিষয়ও!

এদিকে একটা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হলো ‘রবি’। যাকে বহু বছর আগে ব্যান করে দেওয়া হয়। এককালে প্রত্যেক মানুষের মোবাইল ফোনে তার অবস্থান থাকতো, মানুষের নানা কাজে ছিল যার সহায়তা সে মানুষই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। ‘রবি’র আবিস্কারক হলেন ‘জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ও হারিয়ে যায় চিরকালের মত। সে রবি কি আবার ফিরে আসবে? নাহলে হঠাৎ তাঁর কথা কেন?

পড়ে কিছুক্ষন থম মেরে ছিলাম! কেউ যদি বইটার কয়েক পৃষ্ঠা পড়ে, বিরক্ত হয়ে রেখে দেয়, এমনকি ৩০/৩৫ পৃষ্ঠা পড়ার পরও, তবু আমি তাকে দোষ দিতে পারবো না। কারন, বইটা সেরকমই। খুবই স্লো। কিন্তু আস্তে আস্তে যত আগাবেন কাহিনী তত পরিস্কার হতে থাকবে। তবে তার জন্য ধৈর্য্য ধরতে হবে।

স্পেস সম্পর্কিত লেখকের জ্ঞান আর বর্ণনা ভঙ্গী যে কোনো পাঠককে মুগ্ধ করবে। অ্যাস্ট্রোনমি বিষয়ে এত বেশি বর্ণনা আছে যে কেউ কেউ একটু বিরক্ত হয়ে যাবে কিন্তু যার বিন্দুমাত্র আগ্রহ আছে সে এসব উপভোগ করবে। সে হিসেবে আমি নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি, আগে যেগুলার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ধারনা ছিল না। এছাড়াও যুক্ত হয়েছে নানা সাহিত্যিক ব্যাপার। রবিন্দ্রনাথের গান, কবিতা। জীবনানন্দের কবিতা। নানা বিখ্যাত ব্যান্ডের গান সহ আরও নানান কিছু।

জায়গায় জায়গায় ব্যাপারগুলো বেশ উপভোগ করলেও একটা সময় খুব বিরক্ত হয়েছি। সাইন্স ফিকশনে এসব এত বেশি কেন? কিন্তু শেষে যে ব্যাখ্যা লেখক দিয়েছেন তাতে আর বিরক্ত হওয়ার কারন থাকে না।

শেষের দিকে গল্পের মোড় ঘুরিয়ে টুইস্ট দিয়ে পাঠককে মজিয়ে রাখতে চেয়েছেন তিনি। হয়েছেও। একটা ঘোরের মধ্যে পাঠক বইটা শেষ করবে। কিন্তু যারা আমার মত একটু খুতখুতে তারা আবার বড় কিছু আশা করবে। আমিও করেছিলাম তার পুরোটা পুরন না হলেও অনেকাংশে পুরোন হয়েছে।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ করি, লেখক সবার গল্প বলে চলেছে এরকম টাইপের। তবে ’বিভং’ বইটা উত্তম পুরুষে লেখা। অর্থাৎ প্রধান চরিত্র রূপুই গল্প বলে চলেছে। এরকম লেখা যে আগে পড়িনি তা না তবে এটা একটু বেশি ভালো লেগেছে। পড়তে পড়তে বারবার মনে হবে রূপু আপনাকে ব্যাক্তিগত ভাবে তার গল্পটা শুনাচ্ছে। এবং এক অদ্ভুত মুগ্ধতায় জড়িয়ে ফেলতে বাধ্য।

সবশেষে বলবো, সায়েন্স ফিকশন পছন্দ করেন তাদের জন্য মাস্ট রিড। আর যারা তেমন আগ্রহী না তারাও ট্রাই করতে পারেন। একটু ধৈর্য্য ধরে পড়লেই বুঝতে পারবেন!

Exit mobile version