Site icon Book PDF Down.com

রক্ত তৃষ্ণা মোশতাক আহমেদ PDF download

রক্ত তৃষ্ণা মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের সুপ্রাচীন ও স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত সব পাঠকদের কাছে। বাংলা সাহিত্য ভান্ডার কে সবদিক দিয়ে সমর্থন করেছেন এই লেখক। বাংলা সাহিত্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন আমাদের প্রিয় লেখক মোশতাক আহমেদ। তিনি ছোট থেকে বড় সব পাঠকদের কথা চিন্তা করে উপন্যাসগুলো লিখেছেন যেটা পড়ে পাঠকরা তাদের মনের খোরাক যোগাতে পারে বা প্রশান্তি আনতে পারে। লেখক তার রচনাতে বরাবর সহজ, সরল, প্রাঞ্জল এবং সকলের বোধগম্য ভাষা ব্যবহার করেছেন। লেখক বরাবর তার উপন্যাসগুলোতে কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার ছোঁয়া দেখিয়েছেন। তার অন্যান্য সব বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে “রক্ত তৃষ্ণা”অন্যতম।

এই লেখকের এর ছোটবেলা থেকে বই পড়ার প্রতি অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় সে আগ্রহ থেকেই মূলত তাঁর লেখালেখির সূচনা ঘটে। তিনি যে কোন একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি হওয়া সত্বেও তার বেশি পরিচিতি লাভ হয়েছে লেখালেখির দ্বারা। এ পর্যন্ত এই লেখকের সাইন্স ফিকশন উপন্যাস গুলো দেখে বেশি সমাদৃত হয়েছে। তিনি একাধারে বিভিন্ন জনারের বই লিখেছেন।

“রক্ত তৃষ্ণা” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় ভৌতিক উপন্যাস। বইটির প্রকাশিত হয় অনিন্দ্য প্রকাশনী থেকে। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2021 সালে। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 257 টাকা।

 

কাহিনী সংক্ষেপ:

লেখক মোস্তাক আহমেদ বিভিন্ন ধরনের বই লিখে পাঠকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছেন। তিনি বেশিরভাগ সম্মান অর্জন করেছেন তাঁর সাইন্স ফিকশন ও ভৌতিক উপন্যাসের মাধ্যমে। তাঁর রচিত সবগুলো উপন্যাস ছোট থেকে বড় সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী। তার উপন্যাস গুলো পড়লে জ্ঞান চক্ষু আরো সুদৃঢ় হয়।

একটি মেয়ে ছিল রহস্যময় হাসির অধিকারী। তার পরনে ছিল লাল শাড়ি। সেই লাল শাড়ি আর রহস্যময় হাসির অসাধারণ সুন্দরী নারী আঙ্গুলগুলো যখন করিম মাওলার কপাল স্পর্শ করল তখন তার সমস্ত শরীর থরথর করে কেঁপে উঠল। সেই মেয়েটির আঙ্গুলগুলো আরো খানিকটা নিচে নামতেই করিম মওলার মনে হল মেয়েটি বুঝি তার সূচনা নখ দিয়ে চোখ দুটো তুলে নেবে।

কিন্তু সেই সময় করিম মওলার কপাল গুনে তেমন কিছুই ঘটল না। আঙ্গুলগুলো ধীরে ধীরে আরো নিচে নামতে লাগলো মওলার শরীরের। তারপর যখন ওই মেয়েটির আঙ্গুলগুলো মওলার বুকের উপর এসে পৌঁছালো তখন একেবারে জমে গেল মাওলা। তার সাথে কি হচ্ছে সে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিল না। নিজেকে কিভাবে বাঁচাবে সেটারো কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিল না।

এবার মাওলা সাহেব নিশ্চিত হয়ে গেলেন যে এবার হয়ত তার ধারালো নখগুলো বুকের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে টেনে বের করে আনবে হৃদপিণ্ডটা। সে ভাবছে এবার তার হৃদপিণ্ডটা তাজা টাটকা চিবিয়ে খাবে তার চোখের সামনেই। এইসব কথা ভাবতে ভাবতেই তার হৃদস্পন্দন কয়েকজন বেড়ে গেল খাড়া হয়ে উঠলো সূর্যের সমস্ত লোমগুলো। ততক্ষণে মেয়েটির গলায় ঝুলে থাকা ভয়ংকর ত্রিশূলটা উজ্জ্বল থেকে আরও উজ্জ্বল তর হতে শুরু করেছে লাল হতে শুরু করেছে সেই মেয়েটির চোখ দুটো।

এখন আর সে মেয়েটিকে অপরূপ সুন্দরী লাগছে না। তাকে দেখতে খুবই ভয়ংকর মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, সে বুঝি রক্তের তৃষ্ণায় তৃষ্ণার্ত এক ভয়ঙ্কর পিশাচী। শেষ পর্যন্ত করিম মাওলার জীবনে কোন পরিনতি নেমে আসে? সে কি নিজেকে বাঁচানোর কোন রাস্তা খুঁজে পায়? জানতে হলে অবশ্যই আপনাদের একবার হলেও করে দেখতে হবে অসাধারণ এই উপন্যাসটি। আশা করি একবার পড়তে লাগলে শেষ না করে উঠতেই চাইবেন না।

Exit mobile version