Site icon Book PDF Down.com

বসন্ত বর্ষার দিগন্ত মোশতাক আহমেদ pdf download

বসন্ত বর্ষার দিগন্ত মোশতাক আহমেদ

বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে এক পরিচিত নাম হল মোশতাক আহমেদ। বাংলাদেশের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার পেছনে তার অবদান অনস্বীকার্য। সে তার প্রতিভা দিয়ে খুব সহজে পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি। কিন্তু বরাবরই লেখার প্রতি আগ্রহ তার অনেক আগে থেকেই। তিনি সবচেয়ে বেশি সাইন্স ফিকশন বই গুলো লিখেছেন। বাংলা সাইন্স ফিকশন জগতের তার নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। তার বিভিন্ন সাইন্স ফিকশনের মধ্যে “বসন্ত বর্ষার দিগন্ত”এটি একটি অন্যতম বই।

মোশতাক আহমেদকে সাহিত্যাঙ্গনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ধরা হয়। তিনি সাইন্স ফিকশন এর পাশাপাশি অন্যান্য অনেক বই লিখেছেন। এগুলোর মধ্যে ভৌতিক, মুক্তিযুদ্ধ, কিশোর ক্লাসিক ও ভ্রমণকাহিনী নিয়ে অনেক উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি একটি বিষয়ের উপর সীমাবদ্ধ না থেকে অনেক বিষয়ের উপর লেখালেখি করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত ও অভিজ্ঞ লেখক।

“বসন্ত বর্ষার দিগন্ত” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় ভ্রমন উপন্যাস। বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2020 সালে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 126 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 171টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ:

 

লেখক মোশতাক আহমেদ বিভিন্ন ধরনের বই লিখলেও বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে সাইন্স ফিকশন এবং বিভিন্ন ভ্রমণ উপন্যাস গুলো রচনার মাধ্যমে। তিনি খুব তাড়াতাড়ি পাঠকদের কাছে খুব সহজে সমাদৃত হয়েছেন। সব বয়সের অনায়াসে পড়তে পারে।

ঘটনাটি বছর পাঁচেক আগের কথা। তখন সবে সবে দুবাই থেকে দেশে ফিরছি। আমার টিকিট ছিল ইকোনোমিক ক্লাসের। কিন্তু ইকোনমিক ক্লাসে প্যাসেঞ্জারের সংখ্যা অধিক থাকায় এমিরেটস এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ আমাকে বিজনেস ক্লাসে সিট করে দেয়। ওখানে সিট পাওয়ার পরে যখন আমি ওই ক্লাসে পৌঁছাই তখন দেখতে পাই আমার পাশের যে ভদ্রলোক বসেছিলেন তিনিও বাংলাদেশী।

তার সাথে অনেক কথা বলার পর জানতে পারি সে বাংলাদেশী হলেও আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভ করেছেন। তিনি ছিলেন বিশাল ব্যবসায়ী এবং অনেক ধনী অনেক টাকার মালিক ছিলেন এজন্য তার সিটটাও ছিল বিজনেস ক্লাসের। বিমানটি অবতরণের সময় বিমানের টাকা যখন ঢাকা বিমানবন্দর রানের স্পর্শ করল তখন দেখিয়ে তার সারা শরীর থরথর করে কাঁপছে। প্রথমে ভেবেছিলাম সে হয়তো ভয় পেয়ে গেছে।

 

তারপর তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনার শরীর এভাবে কাঁপছে কেন? কিছুক্ষণ পরে দেখি ভদ্রলোকের চোখে পানিও চলে এসেছে। ভদ্রলোক কাঁপা কন্ঠে উত্তর দিলেন এটা হচ্ছে দেশের প্রতি ভালোবাসা আর মায়ার টান। ভদ্রলোক উত্তর দিলেন ৩১ বছর বিদেশে থেকেও বিদেশী হতে পারেনি আর হয়তো কখনো পারবও না। আমি যখনই এই এয়ারপোর্টে আসি তখনই আমার শরীর এরকম কাপতে থাকে চোখে পানি এসে যায়।

ভদ্রলোকের অনুভূতিটা আমি বুঝতে পেরেছিলাম। দেশে এলে তিনি প্রত্যেকবারই দেশের প্রতি ও তার তীব্র ভালবাসার আবেগে আবেকাপ্লুত হয়ে যান। এটা শুধু একজনের ক্ষেত্রেই ঘটে না সবার ক্ষেত্রেই ঘটে। এখানে লেখক বোঝাতে চেয়েছেন যে বিদেশে থাকতে গেলে এমন কিছু অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হয় যেটা কোন সময় সুখকর হয় আবার কোন সময় একটু কষ্টের হয়। আসলে বিদেশে যাওয়ার পরেই মানুষ বুঝতে পারে দেশ কত আপন, কত প্রিয়, আর কত ভালো লাগার ভালোবাসা জায়গা ছিল। তাই অসাধারণ এই গল্পটি একবার হলেও পড়ে দেখুন, আপনার মধ্যে দেশপ্রেমের সঞ্চার ঘটাবে।

Exit mobile version