বৃষ্টি ও মেঘমালা PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস হল ‘ বৃষ্টি ও মেঘমালা ‘। হুমায়ুন আহমেদের রচিত উপন্যাস গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। চমৎকার এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯০ সালে। বইটির ১৩ তম সংস্করণ হয়েছে ২০১৫ সালে। বইটির প্রকাশনা করেছে পার্ল পাবলিকেশন্স। বইটি হার্ডকাভারে ছাপা হয়েছে। বইটির মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১১৮ টি। বইটির বাংলাদেশি মুদ্রিত মূল্য : ২০০ টাকা। বইটির অনলাইন পিডিএফ সাইজ ০৫ এমবি।

এই বইটি একটি সমকালীন উপন্যাস। বইটির চরিত্র গুলো একেকজন একেক রকম। হুমায়ুন আহমেদ রচিত সবগুলো উপন্যাস ই ভিন্ন ধরণের। অসাধারণ এই বইটি পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। যারা বইটি এখনো পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে ফেলুন।

বৃষ্টি ও মেঘমালা উপন্যাসের মূল কাহিনী

এই উপন্যাসের কাহিনী পড়লে মনে হয় সবগুলো চরিত্র কিছুটা কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছে। মনব জীবন মানেই দুঃখ কষ্ট। সেইসব কাহিনী নিয়েই গল্পটি রচিত। উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হাসান নামের একটি লোক। যিনি ইয়াকুব আলীর কোম্পানিতে চাকরি করেন। ইয়াকুব আলী একটি বড় কোম্পানির মালিক যেখানে অনেক লোক চাকরি করে। ব্যক্তি হিসেবে তিনি একা মানুষ হলেও তার শুধুমাত্র তার একজন নাতনি আছে।

ইয়াকুব সাহেবের নাতনী বিদেশে থাকে। ইয়াকুব সাহেব চায় যে তার নাতনী তার সাথে দেশে থাকুক। নাতনীর জন্মদিনে তিনি নাতনীকে বিশেষ উপহার দিতে চান। নাতনী যাতে আকর্ষিত হয়ে তার কাছে থাকে সে জন্য তিনি জন্মদিনের উপহার হিসেবে মায়ানগর তৈরি করতে চান। সেই মায়া নগর তৈরি করার দায়িত্ব দিয়েছেন হাসান সাহেবের উপর। হাসান সাহেব তার কোম্পানিতে ছোট পদে চাকরি করেন। তার সেক্রেটারি হিসেবে তার সাথে কাজ করে লীনা নামের একজন মেয়ে। লীনা হাসান সাহেবের চেয়ে বয়সে অনেক ছোট।

লীনা মনে মনে হাসান সাহেবকে পছন্দ করে। তবে সেই ভালোবাসা প্রেম ভালোবাসা নয়। লীনা তাকে শ্রদ্ধা করে মনে মনে তাকে অনেক পছন্দ করে। লীনা ভাবে একটা মানুষ কীভাবে এতো পরিপূর্ণ হতে পারে। তিনি সব দিক থেকে পারফেক্ট। এইজন্য লীনা তাকে এতো পছন্দ করে। কিন্তু লীনার বোন বীণা কিছুতেই সাহেবকে পছন্দ করেনা। বীণা মনে করে হাসান সাহেব ভালো মানুষ নয়।

এদিকে হাসান সাহেবে একটি ছেলে আছে তার না অন্তুু। সে একজন অসুস্থ ছেলে। হাসান সাহেব সবসময় ব্যস্ত থাকায় ছেলের দেখাশোনা করতে পারে না। তার যাবতীয় চিকিৎসা অন্তুর মা করে। একদিন অন্তু বেশি অসুস্থ হওয়ায় তার তার মা তাকে নিয়ে মাদ্রাজ যায় চিকিৎসার জন্য। সেখানে গিয়ে অন্তু তার বাবাকে খোঁজে। সে বলে, তার বাবা কোথায়? সে বাবাকে পাগলের মতো খোঁজে। কিন্তু তার বাবাতো মায়ানগর তৈরি করতে ব্যস্ত। অন্তু কোথায় পাবে তার বাবাকে। জুন মাসের মধ্যে হাসান সাহেবকে কাজ শেষ করতে হবে। তার বাবা অনেক ব্যস্ত এখন মায়ানগর তৈরিতে।

আরো কাহিনী আছে লীনা নামের মেয়েকে নিয়ে। লীনার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে ফিরোজ নামের একটি ছেলের সাথে। ফিরোজ লীনাকে খুব ভালোবাসে। ফিরোজ বেকার হওয়ার স্বত্বেও যে লীনা তাকে পছন্দ এইজন্য ফিরোজ তাকে আরো বেশি ভালোবাসে। এইভাবেই সবগুলো চরিত্র কোন না কোন কষ্টের মধ্যে আছে।

বৃষ্টি ও মেঘমালা PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top