Site icon Book PDF Down.com

কাদ্যুসেয়াস PDF Download জাহিদ হোসেন

কাদ্যুসেয়াস PDF Download জাহিদ হোসেন

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের থ্রিলার লেখকদের মধ্যে জাহিদ হোসেন এক অন্যতম নাম। “কাদ্যুসেয়াস”তার একটি বিখ্যাত থ্রিলার উপন্যাস। গত দুই বছরের মধ্যে জাহিদ হোসেনের দুটি থ্রিলার অনেক নাম করেছেন বাংলাদেশ পাঠকদের কাছে। এটি জাহিদ হাসানের তৃতীয় মৌলিক থ্রিলার। জাহিদ হোসেনের গল্প বলার ধরন স্বতন্ত্র। তার সাবলীল ভাষা ও মানসম্মত প্লট নির্বাচনের জন্য তার লেখাগুলো বেশি সমাদৃত হয় পাঠকদের কাছে।

“কাদ্যুসেয়াস”জাহিদ হোসেনের সুপারন্যাচারাল থ্রিলার এর মধ্যে পড়ে। বইটির প্রথম প্রকাশিত হয় 2017 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বইটি প্রকাশ করেছে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান। বইটি মূলত হার্ডকভারে ছাপা হয়েছে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 287 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মূল্য 189 টাকা। বিখ্যাত এই বইটির হার্ডকপি যারা এখনো সংগ্রহ করতে পারেননি তারা আর দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে পড়ে ফেলুন।

কাহিনী সংক্ষেপ

“কাদ্যুসেয়াস”শব্দটির অর্থ হল সিম্বল। এই উপন্যাসে কাদ্যুসেয়াস ব্যবহার করা হয়েছে ধর্মের সিম্বল হিসেবে যে ধর্ম অনেক প্রাচীন এবং প্রায় বিলুপ্ত। সেই ধর্মের নাম হল ‘এনশিয়েন্ট অর্ডার অফ সেক্রেট মাউন্টেইন’। লেখক এখানে তার কল্পনার মাধ্যমে সেই ধর্মকেই তুলে ধরেছেন পাঠকদের সামনে। এবার মূল কাহিনীতে আসা যাক।

মহাখালীর এক নির্জন গুলিতে খুন করা হয়েছে বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি আজমত উল্লাহর একমাত্র ছেলে ওয়াসিফ উল্লাহকে। এই খুনটা অস্বাভাবিক। যেটা ঘিরে শুরু হয়েছে অনেক জল্পনা-কল্পনা। লাশের পাশে একটা চেয়ারে এক গামলা ভর্তি রক্ত রেখে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মানুষের শরীর থেকে যখন দুই-তৃতীয়াংশ রক্ত বার হয় তখন মারা যায়।

কিন্তু ওয়াছিফের শরীর থেকে প্রায় সব রক্ত বের করে ফেলেছে এবং ওই গামলার মধ্যে রেখেছে। এই খুনের দায়িত্বে এসে পড়ে সিআইডি ডিপার্টমেন্ট অফ এক্সট্রাঅরডিনারির কেসেজের ওপর। এটাকে আড়ালে সবাই আবজাব ডিপার্টমেন্ট বলে জানে। আবজাব ডিপার্টমেন্ট বলতো তিনজনকে গঠিত। এখানে রয়েছে একরোখা গোয়েন্দা জুলফিকার রহমান, কনসালটেন্ট শাহজাহান ভূঁইয়া এবং পিয়ন হিসেবে রয়েছেন বাশার।

শাহজাহান ভূঁইয়া সবসময় জুলফিকার কে সাহায্য করে আসতেন প্রত্যেকটা কেসে। এবারেও অদ্ভুত এই খুনের ঘটনায় জুলফিকার শাজাহান আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ওপরমহল থেকে এমন চাপ আসতে শুরু করে এই কেসটা সমাধান করার জন্য যেখানে তারা খুব দ্বিধা দ্বন্দের মধ্যে পড়ে যায়।

একদিকে আবার ম্যাড ডগ নামে একজন সিরিয়াল কিলার একের পর এক খুন করে যাচ্ছে দেশের ভেতরে। তার খুন করার উপায়টা ও অস্বাভাবিক। সে সব খুনগুলো কুকুর দিয়ে করাচ্ছে। একদিকে বিলুপ্তপ্রায় একটি ধর্ম ‘এনসিয়েন্ট অর্ডার অফ সেক্রেড মাউন্টেইন’ এর ধর্ম গুরু হাইঞ্জ বেকারের উপর আক্রমণ হয় আশুগঞ্জের এক হোটেলে। হোটেলের দেয়ালগুলোতে অদ্ভুত কিছু সিম্বল দেখতে পাওয়া যায়।

এছাড়া সুট বুট এবং গোলাপী টাই পরা একজন লোক খুঁজে বেড়াচ্ছে হাজার বছরের প্রাচীন একটা বইয়ের। যেখানেই যাচ্ছে রক্তের চিহ্ন রেখে যাচ্ছে। অন্যদিকে আবার ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ মুণ্ডহীন বিড়াল ও কয়েক শ মুন্ডহীন মুরগি, ছাগলের দেহ ঝুলতে দেখা যায় পরিত্যক্ত বাড়িতে।

এই সবগুলো গল্প কি একসাথে বাঁধা? গল্পে ব্যবহৃত অনেক সিম্বল কি নির্দেশ করে? এছাড়া ওই লোকটি কোন বইয়ের খোঁজ করে যাচ্ছে? আবার কে বা এতগুলো খুন করছে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে বইটি অবশ্যই পড়তে হবে। বইটি এতটাই সাসপেন্স পূর্ণ যে আপনি শেষ না করে উঠতে পারবেন না।

Exit mobile version