Site icon Book PDF Down.com

চাহিদারা হন্যে- দ্য ইনসেইন আর্জ PDF Download কিশোর পাশা ইমন

চাহিদারা হন্যে- দ্য ইনসেইন আর্জ PDF Download কিশোর পাশা ইমন

কিশোর পাশা ইমন। এ সময়ের জনপ্রিয় ও তরুণ একজন লেখক। বেশিদিন হয়নি রুয়েট থেকে পাশ করেছেন। লেখালেখির জগতে প্রায় ৬-৭ বছর ধরে তার বিচরন। বাতিঘর থেকে বেড়িয়েছে ৫+ বই। যা বেশ জনপ্রিয়। সুতরাং তিনি যে বেশ ঘাঘু একজন লেখক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘চাহিদারা হন্যে– দ্য ইনসেইন আর্জ’ এই লেখকের সপ্তম মৌলিক ও দীত্বিয় উপন্যাসিকা। প্রকাশিত হয় সতীর্থ প্রকাশনা থেকে। বেস্ট এই লেখকের ছোট্ট উপন্যাসিকাটি থেকে যারা এখনও বঞ্চিত তারা দ্রুত পড়ে ফেলুন বইটির পিডিএফ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে।

কাহিনি সংক্ষেপ

শহরে ঘটছে নির্দিষ্ট সময় পরপর জোড়াখুন। কিন্তু খুনিকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। একান ওকান গলা কেটে করা হচ্ছে খুন গুলো।

বইয়ের অন্যতম প্রধান চরিত্র মাসুদের অফিস কলিগ পারভেজ সাহেবের দাবী এই ঘটনা পারভেজ সাহেবই কয়েকবছর ধরে ঘটিয়ে আসছেন। তবে মাসুদের অবশ্য তা বিশ্বাস হয় না; বরং বিরক্তির উদ্রেক হয়। শুধু মাসুদই নয়, বরং সহকর্মী সকলেই জানে এসব পারভেজ সাহেবের প্র্যাক্টিকাল জোকস।

তবে মাসুদ যারপরনাই বিরক্ত। হঠাৎ তার ইচ্ছে হলো খুনগুলোর ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে পারভেজ সাহেবের দাবীকে মিথ্যা প্রমাণ করার। কিন্তু এসব করতে গিয়ে মাসুদ জড়িয়ে পড়লো ঝামেলায়। তারপরই ঘটতে শুরু করলো একের পর এক ঘটনা। যা বইয়ের শেষ লাইনটা পর্যন্ত নিয়ে যাবেই যাবে!

বইটা যখন শুরু করেছিলাম তখন সেরকম আশা নিয়ে শুরু করিনি। এমনকি ৪০-৪৫ পর্যন্ত পড়েও মনে হচ্ছিল বইটা আহামরি কিছু না। তবে এরপরই বুঝতে পারি লেখক খুবই ঘাঘু! খুবই আকাঙ্ক্ষিত একটা গল্প মনে হলো। হঠাৎ হঠাৎ এমন সাইকোপ্যাথের আবির্ভাব বেশ আকাঙ্ক্ষিত আমাদের বাংলাদেশে। কেন সেটা কাহিনিটা পড়লেই বোঝা যাবে।

কেপি মানে কিশোর পাশা ইমন ভাই যে পাঠক বশ করতে বেশ দক্ষ। তাই কাহিনির বিল্ড আপ নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। কিছু কিছু জায়গাতে একটু তাড়াহুড়া করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। তবে বইটা যেহেতু এয়ারপোর্ট নভেলা তাই এখানেও অভিযোগের যায়গা থাকে না। এই তাড়াহুড়াতে অবশ্য কাহিনি বুঝতে কোনো সমস্যাই হয়নি। তবে হ্যাঁ দুয়েকটা বর্ণনা যদি তিনি একটু ছোট করে দিতেন তাহলে ভালোই লাগতো। স্যাইকোপ্যাথের আবেগ না থাক আমাদের তো আছে তাই না!? তবে এই জায়গাটা নাড়া দেওয়ায় লেখকের সার্থকতা!

চরিত্র নিয়ে একটু যদি বলি, মেইন চরিত্রগুলো মাসুদ, মিলি, পারভেজ, মালিহা এবং ভোটকা ফারুক এবং কিছু পার্শ্বচরিত্রও আছে। চরিত্রগুলোর বিল্ড আপ করেছেন লেখক বেশ সুন্দরভাবেই। কোনোটাকেই কমবেশি করেন নি। তবে বেশিরভাগ সময়েই গল্প জুড়ে ছিল মাসুদ। পারভেজ চরিত্রটাও কমবেশি নিজেকে প্রকাশ করেছে। আর হ্যাঁ মিলি চরিত্রটাকে আরেকটু বেশি বর্ণনার প্রয়োজন ছিল বলে মনে করি, যেহেতু এটা এয়ারপোর্ট নভেলা তাই হয়তো লেখক বেশি কথা বাড়ায় নি। কিন্তু বাড়ালে ক্ষতি কিছু হতো না।

আরেকটা কথা পরিস্কার না করলেই নয়।
৫০ পৃষ্ঠার পর খুব দ্রুতই পুরো বইটা শেষ হয়েছে। শুধু শেষটা না পুরো বইটাই দারুণ ছিল, কিন্তু শেষে এসে লেখিকের একটা জিনিস ক্লিয়ার করা উচিত ছিল। সেটা হলো– মাসুদ কেন এইরকম হয়ে গেল? গল্পের পুরোটা জুড়েই সে থাকলেও লেখক তার সম্পর্কে তার ব্যাকগ্রাউন্ড বেশি আলোচনা করেননি। অর্থাৎ যেটুকু না করলেই নয় সেটুকু অবশ্য করেছেন। তবে আরও একটু বেশি ডিজার্ভ করে পাঠক।
যাই হোক, সবকিছুর পরও যে বইটা বেশ ভালো লেগেছে। ছোট্ট একটা বই। এক নিশ্বাসেই শেষ করার মতোই।

সবশেষে একটা কথাই বরাদ্দ থাকবে তা হলো, যারা কম সময়ে দ্রুত কোনো বই শেষ করে ফেলতে চাই তাদের জন্য আদর্শ, আর থ্রিলার পাঠকদের জন্য মিস না করার মতো একটা বই।

Exit mobile version