Site icon Book PDF Down.com

চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস হল ‘ চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস ‘। হুমায়ুন আহমেদের রচনা গুলোর মধ্যে বইটা অন্যতম। তার প্রতিটা উপন্যাসের মতো এটিও পাঠকের মন জয় করে নিতে বাধ্য। এটি একটি সমকালীন উপন্যাস। সুন্দর এই বইটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। যারা বইটি এখনো পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে ফেলুন।

গ্রামীণ একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের প্রেমের গল্প নিয়ে ‘ চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস ‘ উপন্যাসটি রচিত হয়েছে। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯৫ সালে। বইটির ৯ম সংস্করণ হয়েছে ২০১১ সালে। বইটি প্রকাশিত হয়েছে অনন্যা প্রকাশনী থেকে। এই বইটির মোট পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১০৫ টি। বইটির বাংলাদেশী মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫০ টাকা। বইটির অনলাইন পিডিএফ সাইজ ১১ এমবি।

চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস উপন্যাসের মূল কাহিনীঃ

একটি গ্রামীণ মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনযাপনের গল্প। সেই পরিবারের ছেলের নাম ফরহাদ। সে ওরিয়ন কোম্পানিতে চাকরি করে। সে পরিবারের বড়ো ছেলে। তার আয়েই পুরো পরিবার চলে। তার পরিবারে মা, বাবা, ভাই আর বয়স্ক অসুস্থ দাদা রয়েছে। তাদের ভরণ পোষণ তাকেই করতে হয়। তার একটা বড়ো বোন রয়েছে নাম জাহানারা। তার বিয়ে হয়ে গেছে সে শশুর বাড়িতে থাকে। ফরহাদের বাবার নিজের বাড়ি নেই। তারা থাকে একটা আত্মীয়ের বাড়িতে। তার বাবা অদ্ভুত ধরনের মানুষ সবসময় গাছ নিয়ে থাকেন। গাছই যেনো তার ধ্যান জ্ঞান সব।

ফরহাদ একটি মেয়েকে ভালোবাসে। তার নাম আসমানী। আসমানী উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে। আসমানীর পরিবারের কেউ ফরহাদকে পছন্দ করে না। কিন্তু আসমানী ফরহাদ ছাড়া কাওকে পছন্দ করে না। এদিকে আসমানীর মামা বিদেশ থেকে এসে আসমানীর বিয়ে দিতে চায়। কারণ তার মামা চায় যেমন করে আর সকল পরিবারের লোক চায় যে মেয়ে সুখে থাকুক। তাই তিনি ভালো চাকরি আর টাকা পয়সাওয়ালা ছেলের সাথে বিয়ে দিতে। আসমানী জানায় সে ফরহাদকে বিয়ে করবে। তাই তার মামা মেনে না নিলেও মুখে কিছু বলেননি। প্রথমে তার পরিবার রাজি না হলেও পরে বিয়ে ঠিকঠাক হয়। কিন্তু নিয়তির মনে চরম নিষ্ঠুরতা প্রকাশ করে।

এদিকে ফরহাদের পরিবারকে সেই আত্মীয় বাসা থেকে বের করে দেয়। তার পরিবার গিয়ে আশ্রয় নেয় তার বোন জাহানারার বাড়িতে। আর ফরহাদ তার বন্ধু নান্টুর সাথে থাকতে শুরু করে। তার পরিবার এক বিশাল সংকটের মধ্যে পড়ে যায়। এরই মধ্যে ফরহাদের চাকরিটা চলে যায়। কিন্তু ফরহাদের বিয়ে ঠিক হয়েছে জানার আগেই তার বোন তার ননদের সাথে ফরহাদের বিয়ে ঠিক করে। কিন্তু নিয়তি মনে হয় চায় না। তাই আসমানীর সাথে বিয়ের দিন ফরহাদের দাদা মারা যায়। আর আসমানীর ক্যান্সার ধরা পড়ে। ফরহাদ আর আসমানীর বিয়ে ভেঙ্গে যায়।

ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসার জন্য আসমানীর মামা তাকে সিংগাপুরে নিয়ে যায়। আসমানী চলে যাওয়ায় ফরহাদ একা হয়ে। পুরো শহরটাকে তার নিঃশ্ব মনে হয়। সে টাকা জমাতে শুরু করে আসমানীর সাথে দেখা করার জন্য। আসমানী ছাড়া তার আর কেউ নেই কারণ পরিবারের লোকজনও তার বিষয়ে তেমন একটা যত্নশীল নয়। এইজন্য ফরহাদ ভীষণ একা হয়ে পড়ে। এই উপন্যাসটি শেষাংশ বেদনার গল্পে ভরা। শেষ পর্যন্ত কি পরিণতি হয় তাদের। আসমনী কি ফিরে আসতে পারে তার ভালোবাসার কাছে? নাকি ফরহাদের বোনের ননদের সাথে ফরহাদের অনিচ্ছায় বিয়ে হয়? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে হুমায়ুন আহমেদের ‘ চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস ‘।

চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস PDF

Exit mobile version