Site icon Book PDF Down.com

ছায়া সময় PDF Download শরীফুল হাসান

ছায়া সময় PDF Download শরীফুল হাসান

লেখক শরীফুল ইসলামকে চিনেন না এমন থ্রিলার পাঠক পাওয়া দুষ্কর! অনেকে হয়তো উনার বই পড়েননি, কিন্তু নাম নিশ্চিত শুনেছেন। অন্যান্য সেরা কাজের মতো এই ‘ছায়া সময়’ও লেখকের একটা ভালো কাজ। তবে বইটা ঠিক থ্রিলার না! অনেকটা সমকালীন উপন্যাস টাইপের, কিন্তু তাতে কি, লেখকের বর্ণনা কৌশল, ও কিছু টুইস্ট পাঠককে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাবে! বইটি বাতিঘর থেকে প্রকাশিত। ২৮৬ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসটি যারা পড়েন নি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে পড়ে নিতে পারেন।

এই একটা কথা না বললেই নয়—
আশির দশকে নকশালবাদী আন্দোলনে যখন পশ্চিমবঙ্গ টালমাটাল তখন ব্রহ্মপুত্রের এপাড়ে ময়মনসিংহের মফস্বল শহরের কিছু মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গল্প খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন লেখক শরীফুল হাসান।

কাহিনী সংক্ষেপ

ময়মনসিংহ জেলার বড়বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী করিম আকন্দ। একান্নবর্তী পরিবার নিয়ে সুখেই সংসার করছিলেন। হঠাৎ এক আততায়ীর গুলিতে কোমায় চলে যায় তার সবচেয়ে বড় শক্তি কামরুল। পালিত পুত্র হলেও কামরুল সবার চোখের মণি। তার কোমায় চলে যাওয়ায় পুরো পরিবারে নেমে আসে শোকের কালো ছায়া।

শুধু আকন্দ পরিবারই নয়, কামরুলের অসুস্থতায় ভেঙে পড়ে চক্রবর্তী পরিবারের মেয়ে অনন্যা। অথচ এই চক্রবর্তী পরিবারের সাথেই করিম আকন্দের রয়েছে পূর্ব শত্রুতা। কামরুল না থাকায় লাভ হয় অনেকেরই। হুট করেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। আকন্দ পরিবারের জামাই সহজ-সরল ইউসুফ জালাল হয়ে ওঠে কূটনৈতিক। অর্ণবের সামনে অনন্যাকে পাওয়ার রাস্তা খুলে যায়। ব্যবসায়ীরা আবার তাদের ব্যবসায় লাভের মুখ দেখে।

কিন্তু কামরুলকে গুলি করলো কে? ওসি আমিনউদ্দিন তদন্তে নামেন।রহস্য রয়ে যায়। কিন্তু হাল ছাড়েন না তিনি।
সম্পর্কের সংযোগ থেকেই শুরু হয় নানাবিধ সংকট। যে চার দেয়ালের ঘর বন্ধন তৈরি করেছিলো, সেই দেয়ালই আবার হয়ে ওঠে বিভেদের বেড়াজাল। সেই বেড়াজাল ভেদ করে বেরিয়ে আসে কান্নার শব্দ। সেই কান্না প্রেম নাকি প্রেমহীনতার, পাওয়ার না হারিয়ে ফেলার তা জানতে হলে পড়তে হবে রহস্যে ঘেরা এই ‘ছায়া সময়’ বইটি।

বইটি পড়ার পর কেমন যেনো একধরণের স্নিগ্ধকর শান্তি অনুভব করছি। লেখক সসহজ-সরল ভাবে গল্প এঁকেছেন। ছড়াও তুলে ধরেছেন সমাজের বাস্তব চিত্র। ক্ষমতা আর অর্থের লোভ, মানুষকে কোন পর্যায়ে নামিয়ে দেয়, পুরো বই জুড়ে তা একের পর এক ফুটিয়ে তোলা হয়। আবার কষ্ট লাগে যখন চোখের সামনে বদলে যেতে থাকে চিরচেনা নিরীহ ইউসুফ জালাল, আকন্দ পরিবারের মেয়ে জামাই।

টাকার জোর মানুষকে কথা বলতে শেখায়, তা সে যেই উৎস থেকেই আসুক না কেন! সেই পরিবর্তন আমাকে বিস্মিত করে!
এক মফস্বল শহরের ক্ষমতাশীল পরিবার চোখের সামনে একটু একটু করে ধ্বসে যেতে থাকে। সমান্তরাল গতিতে আমরা খুঁজে পাই একটি প্রেমের গল্প। কি অদ্ভুত সেই গল্প! আমি জানিনা কোন ঘোরের মধ্যে ঢুকে আমি বইটি শেষ করতে পেরেছি! পড়া শেষেও যেন ঘোর কাটে না। অন্য বই পড়ায় মন দিতে পারি না ঠিক মতো!

বইয়ের শুরুটা কিছুটা স্লো হলেও খারাপ লাগেনি। বরং বেশ ভালোই লেগেছে। তাছাড়া আমি শরীফুল হাসান’কে চিনি। তিনি যে, কোনো খাপছাড়া গল্প লিখবেন আমি তা বিশ্বাস করি না। এই জন্যই প্রথম থেকেই পড়ে গেছি। এবং ফলও পেয়েছি। এই বইয়ের শেষটা একেবারে পার্ফেক্ট ছিল! শেষের দিকটা টুইস্টে ভরপুর ছিল। বইটা শেষ করে আমি হতাশ হইনি।

সবশেষে বলতে হবে, বইটি আপনাকে হতাশ করবে না। কিংবা বোরিং করবে না, উপভোগ্যই হবে।

Exit mobile version