ক্লিটি ভাইরাস মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের সুপ্রাচীন ও স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত সব পাঠকদের কাছে। বাংলা সাহিত্য ভান্ডার কে সবদিক দিয়ে সমর্থন করেছেন এই লেখক। বাংলা সাহিত্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন আমাদের প্রিয় লেখক মোশতাক আহমেদ। তিনি ছোট থেকে বড় সব পাঠকদের কথা চিন্তা করে উপন্যাসগুলো লিখেছেন যেটা পড়ে পাঠকরা তাদের মনের খোরাক যোগাতে পারে বা প্রশান্তি আনতে পারে। লেখক তার রচনাতে বরাবর সহজ, সরল, প্রাঞ্জল এবং সকলের বোধগম্য ভাষা ব্যবহার করেছেন। লেখক বরাবর তার উপন্যাসগুলোতে কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার ছোঁয়া দেখিয়েছেন। তার অন্যান্য সব বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে “ক্লিটি ভাইরাস”অন্যতম।

এই লেখকের এর ছোটবেলা থেকে বই পড়ার প্রতি অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় সে আগ্রহ থেকেই মূলত তাঁর লেখালেখির সূচনা ঘটে। তিনি যে কোন একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি হওয়া সত্বেও তার বেশি পরিচিতি লাভ হয়েছে লেখালেখির দ্বারা। এ পর্যন্ত এই লেখকের সাইন্স ফিকশন উপন্যাস গুলো দেখে বেশি সমাদৃত হয়েছে। তিনি একাধারে বিভিন্ন জনারের বই লিখেছেন।

“ক্লিটি ভাইরাস” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। বইটির প্রকাশিত হয় অনিন্দ্য প্রকাশনী থেকে। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2020 সালে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 96 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 128 টাকা।

 

কাহিনী সংক্ষেপ:

 

লেখক মোস্তাক আহমেদ বিভিন্ন ধরনের বই লিখে পাঠকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছেন। তিনি বেশিরভাগ সম্মান অর্জন করেছেন তাঁর সাইন্স ফিকশন উপন্যাসের মাধ্যমে। তাঁর রচিত সবগুলো উপন্যাস ছোট থেকে বড় সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী। তার উপন্যাস গুলো পড়লে জ্ঞান চক্ষু আরো সুদৃঢ় হয়।

একদিন মিকি তাকিয়ে আছে তার বান্ধবি শি এর দিকে। তাদের দুজনের মধ্যে অনেক মিল লক্ষ্য করা যায়। হঠাৎ করেই তাদের সাথে অবিশ্বাস্য এক ঘটনা ঘটলো। শি এর মুখের চামড়া ভেদ করে বেরিয়ে এলো এক অজানা পোকা। তারপর সেই পোকাটা ঢুকে গেল তার চোখের মধ্যে।

এতকিছুর পরে শি কিছুই টের পায়নি। বিস্মিত মিকি বিষয়টা বলতে লাগলে শি বিশ্বাস করে না। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবারো শরীরের মধ্যে থেকে বের হয়ে গেল আরও একটা পোকা। এসব দেখে মিকি অবাক হয়ে যাচ্ছে। কি ঘটছে কিছুই বুঝতে পারছেনা। পরের বারের পোকাটাকে মিকি হাতের তালুতে রাখতেই অবাক হয়ে দেখল পোকাটার অর্ধেক ধাতব আর অর্ধেক মাংসল।

তাদেরকে অবাক করে দিয়ে পোকাটা শি এর হাতের তালু দিয়ে ধরে তার শরীরে প্রবেশ করল। তীব্র ব্যথায় চিৎকার করে উঠল শি। মিকি এসব দেখে বাধ্য হল শিকে হাসপাতালে নিতে। অনেক চেষ্টার পরেও শিকে বাঁচানো আর সম্ভব হলো না। গবেষণা করে জানা যায় ওই পোকাটা ছিল নতুন এক বায়োমেটালিক জীব। যার নাম ক্লিটি ভাইরাস। অজানা এক উপায় আক্রান্ত করেছে পৃথিবীর সব মানুষকে।

আক্রান্ত হওয়ার পর আর বাঁচার সম্ভাবনা থাকে না মানুষের। ক্লিটি ভাইরাসকে নির্মূল করতে গবেষণা শুরু করে বিক এবং ইরিনা নামের দুই গবেষক। ইরিনা কখনোই জানতে পারে না যে সে কখন নিজেই গবেষণা কার্যক্রমে গিনিপিগে পরিণত হয়েছ। যখন সে জানতে পারে তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।

শেষ পর্যন্ত ইরিনা কী নিজেকে বাঁচাতে পেরেছিল সেই ভয়ঙ্কর মৃত্যুর হাত থেকে? মানবসভ্যতা কী রক্ষা পেয়েছিল ক্লিটি ভাইরাসের আক্রমণ থেকে? জানতে হলে অবশ্যই অসাধারণ এই গল্পটি একবার হলেও পড়ে দেখবেন। আশাকরি অনেক ভালো লাগবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top