বাংলাদেশের সুপ্রাচীন ও স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত সব পাঠকদের কাছে। বাংলা সাহিত্য ভান্ডার কে সবদিক দিয়ে সমর্থন করেছেন এই লেখক। তিনি ছোট থেকে বড় সব পাঠকদের কথা চিন্তা করে উপন্যাসগুলো লিখেছেন যেটা পড়ে পাঠকরা তাদের মনের খোরাক যোগাতে পারে বা প্রশান্তি আনতে পারে। লেখক বরাবর তার উপন্যাসগুলোতে কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার ছোঁয়া দেখিয়েছেন। তার অন্যান্য সব বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে “ক্রি”অন্যতম।
এই লেখকের এর ছোটবেলা থেকে বই পড়ার প্রতি অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় সে আগ্রহ থেকেই মূলত তাঁর লেখালেখির সূচনা ঘটে। তিনি যে কোন একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি হওয়া সত্বেও তার বেশি পরিচিতি লাভ হয়েছে লেখালেখির দ্বারা। এ পর্যন্ত এই লেখকের সাইন্স ফিকশন উপন্যাস গুলো দেখে বেশি সমাদৃত হয়েছে।
“ক্রি” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। বইটির প্রকাশিত হয় অনিন্দ্য প্রকাশনী থেকে। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2022 সালে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 112 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 171 টাকা।
কাহিনী সংক্ষেপ:
লেখক মোস্তাক আহমেদ বিভিন্ন ধরনের বই লিখে পাঠকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছেন। তিনি বেশিরভাগ সম্মান অর্জন করেছেন তাঁর সাইন্স ফিকশন উপন্যাসের মাধ্যমে। তাঁর রচিত সবগুলো উপন্যাস ছোট থেকে বড় সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী। তার উপন্যাস গুলো পড়লে জ্ঞান চক্ষু আরো সুদৃঢ় হয়।
জনপ্রিয় স্পেসশিপ ইউভির অভিযাত্রীরা ভিনগ্রহের প্রাণের অনুসন্ধান করতে অভিযান শুরু করে। তারা একটি নতুন গ্রহে অবতরণ করে। সেই নতুন গ্রহটির নাম হল কিটো। তারা অভিযান শুরু করার প্রথম দিকে অনেক রকমের নতুন নতুন জিনিসের সাথে পরিচয় করতে থাকে। নতুন ধরনের অনেক রকমের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে থাকে তারা। তারা অভিযানের প্রথম দিকে একটি উন্নত মানের রোবটের সাহায্য নেয়।
সেই উন্নত মানের রোবটের নাম হল জিটু। জিটু কে অভিযানের জন্য কিটোর উপরিপৃষ্ঠে নামিয়ে দেয়। কিন্তু ওখানে অনেক সমস্যার কারণে জিটু আর ইউভিতে ফিরে আসতে পারে না। কিটো গ্রহের অদৃশ্য আর রহস্যময় প্রাণীরা ধ্বংস করে দেয় সেই রোবটটিকে।
জিটুর দেহাবশেষ উদ্ধার করতে গিয়ে নির্মম মৃত্যু ঘটে প্রিয় কুকুর টিমির। শেষ পর্যন্ত উদ্ধারকার্যে অংশগ্রহণকারী সবাই স্পেসশিপে ফিরে আসতে পারলেও তারা বুঝতে পারে কিটো গ্রহের হিংস্র ও ভয়ঙ্কর, ধূর্ত প্রাণীরা তাদের স্পেসশিপ ইউভিকে আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। চারিদিকে তীব্র অস্মনীয় ক্রি.. ক্রি.. ক্রি শব্দ। তারা যখন আর কোন রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিল না অবশেষে তারা সিদ্ধান্ত নেয় কিটো গ্রহ ত্যাগ করার। কিন্তু ততক্ষণে যে অনেক দেরি হয়ে গেছে সেটা তারা বুঝতে বাকি ছিল না।
আস্তে আস্তে ইউভি স্পেসশিপের সকল ইঞ্জিনগুলো বিকল হয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত কী কিটো গ্রহের অদৃশ্য আর রহস্যময় প্রাণীদের আক্রমণ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পেরেছিল ইউভির অভিযাত্রীরা? জানতে হলে আর দেরি না করে চটপট পড়ে ফেলেন উপন্যাসটি তাহলে সব প্রশ্নের উত্তর আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। টানটান উত্তেজনা পূর্ণ বইটি না পড়লে অনেক কিছুই আপনাদের অজানাই থেকে যাবে। মোশতাক আহমেদ বরাবরই তার লেখনীর মাধ্যমে পাঠকদের কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে অবগত করেন।