দেজা ভ্যু PDF Download আমিনুল ইসলাম

‘আমিনুল ইসলাম’ গতবছর থেকে উদীয়মান একজন লেখক। গতবছরই প্রথম লেখালেখি শুরু করেন অথচ এরই মধ্যে লিখে ফেলে চারটা বই। চতুর্থ একটি জনপ্রিয় বই হলো ‘দেজা ভ্যু’। অদ্ভুত একটা নাম। অদ্ভুতই বটে। বিশেষ করে সাইন্স ফিকশন বইগুলোর নাম একটু অদ্ভুতই হয় কেন যানি! প্রকাশের সাথে ভালোই জনপ্রিয়তা পায় এই সাইন্স ফিকশন উপন্যাসিকা কিংবা নভেলা। বেশি না ১২৬ পৃষ্ঠার ছোট্ট এই বইটা যারা এখনো পড়েন নি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে পড়ে ফেলতে পারেন অনায়েসে।

কাহিনী সংক্ষেপ

নিহাব একজন মেধাবী মানুষ। সে তার একটা যুগান্তরকারী আবিস্কার নিয়ে হাজির হয় স্বপ্নঘরে। মানুষকে বুঝাতে সক্ষ্ম হয় তার আবিষ্কারটি পৃথিবীর ইতিহাসে যুগান্তকারী। এরকম এর আগে হয়নি। এটি ছড়িয়ে যাবার সাথে সাথে ব্যাপক সফলতা পায় সে। এমনকি নোবেল পুরষ্কার পর্যন্ত!

সৈকত নামের একটা ছেলে। বাবা-মার স্বপ্ন পূরনের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয় সে। কিন্তু তার সব ধ্যান ধারণা গান নিয়ে। গায়ক হওয়ার অনেক স্বপ্ন তার। কিন্তু বাবা মা তা মোটেও চায় না। তারা তাদের ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। একদিন আর থাকতে না পেরে সৈকত ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে বাড়ি চলে যায়। এতে রেগে যায় বাবা মা উভয়ই তারা সৈকত কে ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর অনেক কষ্ট করে বেশ সফলতা পেয় সে।

কিন্তু হঠাৎ একটা ঘটনা ঘটে যায়, সৈকত, নিহাব দু জনেই চলে আসে অতীতে। অতীতে না বলে বলা উচিত তারা আসলে স্বপ্ন দেখছিল, বর্তমানে ফিরে আসে! কিন্তু স্বপ্ন এতো বাস্তব কিভাবে হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গিয়েই সৈকত আর নিহাব দুজনেই এক হয়ে যায়। পরিচয় হউ তাদের। এবং হঠাৎই টিনা নামের এক মেয়ের সাথেও পরিচয় হয় তাদের। যে বলে সে জানে তাদের সাথে কি হচ্ছে। এর উত্তর তার কাছে আছে। এরপরই শুরু হয় মূল খেলা! ছোট্ট এই বইয়ের ভিতর লুকিয়ে আছে প্রাচীন মিথ সহ আরও নানা ইনফরমেশন।

বইয়ের টাইমলাইন শুরু হয় ২০৩১ সাল থেকে। অর্থাৎ এটা যে একটা সাইন্স ফিকশন এটা বুঝাতেই দশ বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কাহিনী সংক্ষেপ পড়লেও শুরুটায় সেরকম কিছুই মনে হয় না। বরং মনে হতে থাকে কাহিনী যেন একটু স্লো। গতী নেই বইয়ের। কন্তু আমার ধরনা ভুল প্রমান করে প্রায় ৩০ পৃষ্ঠা পর বইটা ভালো গতি পেয়ে যায়। বর্ণনা অনুযায়ী মনে হয় চোখে সামনে ঘটছে সব ঘটনা। কোথায় থেকে কোথায় চলে যাচ্ছে!

জাফর ইকবাল স্যারের সাইন্স ফিকশন সব প্রায় শেষ করার পর থেকে আর সাইন্স ফিকশন পড়া হয় নি। এই জনরা থেকে মাসখানেক দূরেই ছিলাম। হঠাৎ এই নতুন লেখকের ‘দেজা ভ্যু’ বইটা পড়ে আবার ফিরে এলাম এই প্রাঙ্গণে! সত্যিই ইউনিক একটা প্লটে গল্প বুনেছেন লেখক। যদিও অতীতে ফিরে আসা নিয়ে অনেক সিনেমা, আর অন্য বই থাকলেও এখানে একটা কিন্তু আছে! লেখক প্রাচীন মিথকে নিয়ে আসে বইয়ের মাঝে যার ফলে এটা একটু আলাদা হয়ে যায়। আমি সেই সম্পর্কে ব্যাখ্যা করবো না। সেটা না হয় বইটি পড়েই জানবেন।

সবথেকে ভালো লাগে শেষে এসে। পুরো বইয়ে অনেক প্রশ্ন জমা হয়। যেগুলোর উত্তর লেখক বইয়েএ শেষে দিয়ে দেয়। একটু অতিরঞ্জিত মনে হচ্ছিল। কন্তু উত্তর গুলো পেয়ে আর খারাপ লাগেনি। সবশেষে বলবো বইটি মিস করবেন না আপনারা। ছোট্ট একটা উপন্যাসিকা, একেবারে এক নিঃশ্বাসেই শেষ!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top