দ্বিতীয় পৃথিবী PDF Download মোশতাক আহমেদ

বাংলাদেশের স্বনামধন্য ও জনপ্রিয় একজন লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। বাংলা সাহিত্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করার জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য। তার লেখার ধরন এতটা হৃদয় স্পর্শী চেয়ে সব পাঠকরা সাদরে গ্রহণ করেছে। তার নির্বাচিত ভাষাশৈলী অপূর্ব। একটি উপন্যাসের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্লট নির্ধারণ। তিনি সে বিষয়ে সিদ্ধহস্ত। এই ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত পোষণ করার জায়গা নেই। তার ব্যতীত সবগুলো উপন্যাস সবার কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও মনমুগ্ধকর। তার অন্যান্য উপন্যাস গুলোর মধ্যে “দ্বিতীয় পৃথিবী” অন্যতম।

লেখক মোশতাক আহমেদ পাঠকদের কাছে একটি নক্ষত্রের নাম। অনেক পাঠক তার লেখায় এতটাই মুগ্ধ যে বাংলাদেশের বিখ্যাত লেখক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা সঙ্গে তার লেখাকে তুলনা করেছে। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি, কিন্তু ছোটবেলা থেকেই তাঁর লেখার প্রতি টান অন্যরকমের। তার রচনায় সবসময় সহজ, সরল ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করতে দেখা যায়।

“দ্বিতীয় পৃথিবী” লেখক মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় 2016 সালে। বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 125 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 150 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ

লেখক ছোট থেকে বড় সবার জন্য সমানভাবে বই রচনা করেছেন। তার অন্যান্য উপন্যাস গুলোর মধ্যে সাইন্স ফিকশন বই গুলো আরো বেশি নাম করেছে পাঠকদের কাছে। তার বইগুলোতে কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার ছোঁয়া পাওয়া যায়। তার রচিত সায়েন্স ফিকশন বই গুলোতে ছোট পাঠকরা অনেক ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।

মানুষের মধ্যে দীর্ঘ দিনের যুদ্ধ আর দ্বন্দ্বে পৃথিবী আজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মানুষে মানুষে কোন রকমের সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি লক্ষ্য করা যায় না। যেখানে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক অটুট না সেখানে যেকোনো মুহূর্তে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা এই ধরনের আশঙ্কা করেছেন অনেক আগেই। এইজন্য অভিযাত্রীরা বসবাসযোগ্য নতুন আরেকটি গ্রহের সন্ধানে ছুটে বেড়াচ্ছেন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ও মহাবিশ্বের দূর-দূরান্তে।

নতুন যে আরেকটি গ্রহ পাওয়া যাবে সেখানের নাম হবে দ্বিতীয় পৃথিবী। যেখানে মানুষদের স্থানান্তর করে মানব সভ্যতাকে রক্ষা করা যাবে। এরকম অনুসন্ধান অভিযানের এক পর্যায়ে 24 বছর বয়সী নারী অভিযাত্রী নিয়ান এসে পড়ে লিলিলি নামের অজানা এক গ্রহে। এই গ্রহে পৌঁছানোর পর নিয়ান এক ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন হয়।

নিয়ন পৌঁছানোর পরপরই ওই গ্রহের অতি বুদ্ধিমান প্রাণী হিরিরা তাকে ঘিরে ফেলে। লিওলি নামের একজন পুরুষ হিরি নিয়ানের শরীরে প্রবেশ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে নিয়ান অনুভব করতে পারছিল যে লিওলি তার শরীরে ঢুকে, মস্তিষ্কে গিয়ে সকল প্রকার তথ্য পড়ে নিচ্ছিল। ততক্ষণে হিরিরা বুঝে গেছে নিয়ান মানুষের জন্য লিলিলি গ্রহ দখল করতে এসেছে।

দিওপি নামের আরেকটি আবার প্রবেশ করে নিয়ানার মস্তিষ্কে। এবার তীব্র যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠে নিয়ান। সে বুঝতে পারে ভয়ঙ্কর ইলেকট্রিক শক দেয়া হচ্ছে তার শরীরে। সে বাঁচার জন্য অনেক চিৎকার করে।

শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল অভিযাত্রী নিয়ানের কপালে? কে কেউ কী বাঁচাতে এসেছিল নিয়ানকে? সত্যিই কী পৃথিবীর মানুষ স্থাপন করতে পেরেছিল লিলিলি গ্রহে? নাকি দ্বিতীয় পৃথিবীর স্বপ্ন চিরতরে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল মহাকাশের কালো অন্ধকারে? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে চমৎকার রহস্য মূলক বইটি একবার হলেও পড়ে দেখুন। কিছুটা সময় অনেক ভালো কাটবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top