দুঃস্বপ্নের যাত্রী PDF Download আনিসুল হক

জনপ্রিয় লেখক আনিসুল হকের দুঃস্বপ্নের যাত্রী বইটি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে পাবেন। দুঃস্বপ্নের যাত্রী পিডিএফ ডাউনলোড করতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে দেখুন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা খুব সহজেই বইটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

বইটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন। স্বপ্ন পূরণের আশায় কিছু মানুষ দুঃস্বপ্নের যাত্রী হয়ে উঠেছিল। তার বর্ণনা পাবেন আপনারা এই উপন্যাসটিতে।

নিজেদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন কে না ঘটাতে চাই? কে না চাই একটু সুখে থাকতে। তাই সুখের মুখ দেখতে অনেকে অনেক ধরনের কষ্ট করে থাকে এ জীবনে। সে সুখ দেখতে গিয়ে অনেক দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে হয় মুখ বুজে। তেমনি ঘটনা ঘটেছে দুঃস্বপ্নের যাত্রী বইটিতে। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে পা বাড়াতে গিয়ে নিজেদের জীবনকে বিপন্ন করেছিল তারা।

উপন্যাসটির ফ্ল্যাপ থেকে যে সকল তথ্য জানতে পারি সেগুলো হলো- ২০০৫ সালে এটি ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা। কিছু বাংলাদেশী যুবক নিজেদের ভাগ্যকে পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছিল বিদেশে। কিন্তু পথিমধ্যে তাদের কি হয়েছিল তা জানতে হলে আপনাকে পুরো বইটি পড়তে হবে। নিচে কাহিনী সংক্ষেপ তুলে দেয়া হলো।

উপন্যাসটি রবিউল ইসলাম নামে একজন ব্যক্তির জবানবন্দিতে প্রকাশিত হয়েছে। রবিউল ইসলাম এখানে উল্লেখ করেছেন যে তিনি জন্মের পর থেকেই কোন এক জায়গায় স্থির ভাবে বসে থাকার মানুষ না। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় আবিষ্কার করার ইচ্ছা। সেই সাথে তার ভাগ্যকে পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় বিদেশে। তার সাথে তাদের এলাকার এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেকেই যোগদান করে।

কিন্তু যখন এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখেন তাদের পাসপোর্ট বেশকিছু ধরনের ঝামেলা হয়েছে। তখন দালাল তাদেরকে আশ্বস্ত করে যে কোন ধরনের প্রবলেম হবে না। কিন্তু প্রবলেম টা শুরু হয় মালি নামক স্থানে। সে পর্যন্ত তারা প্লেনে গেলেও পরবর্তীতে তারা বিভিন্নভাবে স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করে। কখনো তারা বয়ে চলেছে মরুভূমি ভেতর দিয়ে, কখনও বয়ে চলেছে শুকনো রাস্তা দিয়ে। একসময় তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় কিছু নিগ্রো।

তাদের উদ্দেশ্য স্পেনে যাওয়া। তারা দীর্ঘ ভূমধ্য সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মাঝপথে তাদের নৌকা বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে মাঝে ভূমধ্যসাগরে তারা আটকে পড়ে। এভাবে বেশ কিছুদিন তারা সেখানে আটকে থাকে। একে একে তারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে থাকে।

এমনকি তাদের কাছে খাবার পানি পর্যন্ত থাকে না। একসময় খাবার তাদের কাছে হয়ে ওঠে দুঃস্বপ্ন। বাংলাদেশি ১১ জন ও লোক নিগ্রোদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মারা যায়। একসময় নিগ্রোরা তাদের সহকর্মীদের মাংস খেতে শুরু করে।

ভূমধ্য সাগরের পানি পান করতে গিয়ে অনেকেই করে ফেলে রক্ত বমি। এভাবে তাদের দিনগুলো চলছিল। যখন প্রায় সকলেই মৃত্যুর দুয়ারে, বাঁচার আশা ক্ষীণ তখন তাদের আর কিছুই করার ছিল না। সেই সময়ে তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে একটি স্বেচ্ছাসেবকদল।

হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এসে তাদেরকে মুখে খাবার তুলে দেয় এবং নিয়ে চলে আসে একটি স্থানীয় হাসপাতালে। পরবর্তীতে তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এর মাধ্যমে নিজেদের দেশে ফিরে আসতে পারে। তাদের চিকিৎসা করা হয়েছিল আলজেরিয়ান হাসপাতালে।

সেজন্য বলা হয়ে থাকে জীবন গল্পের চেয়েও নাটকীয়। দোহার উপজেলার প্রথম আলোর প্রতিনিধি মাধ্যমে জনপ্রিয় লেখক আনিসুল হক রবিউল আলম, মামুন এর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। সেটিকে পুস্তক আকারে রূপ দান করে। যারা বইটি পড়বে অনেকেই বাস্তব ঘটনা সম্পর্কিত জানতে পারবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top