Site icon Book PDF Down.com

গাভী বিত্তান্ত PDF Download আহমদ ছফা

গাভী বিত্তান্ত PDF Download আহমদ ছফা

গাভী বিত্তান্ত PDF Download আহমদ ছফা, আপনি কি আহমদ ছফা রচিত গাভী বৃত্তান্ত বইটি ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন? তাহলে এই ওয়েবসাইট থেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে বইটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। কিভাবে ডাউনলোড করতে হবে জানার জন্য বিস্তারিত পড়ুন।

গাভী বিত্তান্ত কাহিনী সংক্ষেপ

‘গাভী বিত্তান্ত’ উপন্যাসটি আহমেদ ছফার একটি কালোত্তীর্ণ রচনা। উপন্যাসটির ঘটনাপ্রবাহ এবং উপযোগীতার কারণে এটি সময়ের গন্ডি পেরিয়ে বর্তমানকালের পাঠকদের কাছেও একটি জনপ্রিয় উপন্যাস হিসেবে নিজের জায়গা ধরে রেখেছে। এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। এর প্রথম প্রকাশক ‘সন্দেশ’।

১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হলেও বইটি এখনো তার গ্রহনযোগ্যতা ধরে রেখেছে আগের মতই। কারণ বইটি একটি চিরাচরিত কাঠামোর ওপর ভিত্তি করেই রচিত। দেশের প্রাচীনতম একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব, ক্ষমতার
কাড়াকাড়ি আর রাজনৈতিক ঘোর-প্যাঁচ উঠে এসেছে এই উপন্যাসে।

কাহিনীর মূল চরিত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই রসায়ন বিভাগের শিক্ষক মিয়া মোহাম্মদ আবু জুনায়েদ। প্রথম দিকে তাঁকে পাঠক নিতান্তই সহজ সরল, ছাপোষা একজন মানুষ হিসেবেই দেখতে পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন রাজনীতি এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বের প্রতি কোনো আকর্ষনই পাঠক তার ভিতরে দেখতে পাবেন না।

ক্লাস এবং সংসারের বাইরে আর অন্য কোনো বিষয়ের প্রতিই তার আগ্রহ পাঠকের দৃষ্টিগোচর হবেনা। কিন্তু কাহিনী চক্রে এই নিতান্ত সহজ সরল মানুষ আবু জুনায়েদ হয়ে ওঠেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য। আর এই ঘটনার পরেই তার জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে এবং জীবন যাপনের দিক থেকে তিনি হয়ে ওঠেন সম্পূর্ণ অন্য একজন মানুষ।

উপাচার্য পদে আসীন হওয়ার পর আবু জুনায়েদ বুঝতে পারেন তার সহজ সরল জীবনের এবার ইতি ঘটতে যাচ্ছে। দুধের মাছির মতো তার চারপাশে ভীর করতে থাকে সুযোগসন্ধানী শিক্ষক-কর্মচারীগণ।

তিনিও অন্ধের মতো ছুটে বেড়ান ক্ষমতা এবং মিথ্যা খোশামদের পিছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নোংরা রাজনীতি এবং বিভিন্ন সংকটে জড়িয়ে পরতে পরতে আবু জুনায়েদের পারিবারিক জীবনেও নেমে আসে চরম অশান্তি।

প্রচুর বিত্ত বৈভব আর সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেলেও আবু জুনায়েদের দাম্পত্যজীবনে কলহ হয়ে ওঠে নিত্যদিনের সঙ্গী। তার স্ত্রীর সম্পদের প্রতি দূর্দমনীয় লালসা কে সামাল দিতে গিয়ে আবু জুনায়েদ জড়িয়ে পরে দূর্নীতির ঘেরাটপে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান সমস্যার ঘেরাটপে পরে আবু জুনায়েদ তার সন্তানের দিকেও দৃষ্টি দেওয়ার কোন সময় বা প্রয়োজনীতা খুঁজে পাননা। ফলে তার কন্যাসন্তানের জীবনেও নেমে আসে অবক্ষয়৷

পারিবারিক ও পেশাগতজীবনে চরম অসুখী আবু জুনায়েদ একসময় উপলব্ধি করতে শুরু করেন তার ফেলে আসা ছেলেবেলার দিন গুলি কত সহজ ছিলো। মাটি আর প্রকৃতির সাথে মিশে থাকা দিনগুলিকে তিনি আবার নিজের জীবনে ফিরে পেতে চান।

কিন্তু যখন বুঝতে পারেন তা আর সম্ভব নয় তখন তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ঠিকাদারের সাহায্যে একটি দূর্লভ জাতের
গাভী কিনে পুষতে শুরু করেন। গাভীটির জন্য নিজের বাসভবনের পাশেই তৈরী করেন রাজকীয় এক গোয়ালঘর।

ধীরে ধীরে গাভীটির সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠতে শুরু করে। কাজের ফাঁকে অবসর পেলেই তিনি চলে যান গাভীটির সাথে সময় কাটাতে। গাভীটিও আবু জুনায়েদের উপস্থিতি পছন্দ করতে থাকে। এই গোয়ালঘরেই গড়ে ওঠে আবু জুনায়েদ এবং তার দলীয় শিক্ষকদের আস্তানা।

এক পর্যায়ে এই গোয়ালঘর থেকে পরিচালিত হতে থাকে দেশের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়টির গুরুত্বপূর্ণ সকল কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক কাজ এবং ছাত্র রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণসকল সিদ্ধান্তও গৃহীত
হতে থাকে এই গোয়ালঘর থেকেই।

বইটি পড়তে পড়তে পাঠকদের মনে হবে যেন চিরচেনা দৃশ্যেরই প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছে উপন্যাসটির প্রতিটি ঘটনা প্রবাহে। আহমেদ ছফা তাঁর সুক্ষ রসবোধ দিয়ে বইটিকে এতটাই হাস্যরসাত্নক করে তুলেছেন যে বইটির ভিতরে নিহিত খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও পাঠক আত্মস্থ করতে পারবেন খুব সহজে।

আহমদ ছফা ব্যাঙ্গের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভ্যন্তরীন নোংরা রাজনীতি, দূর্নীতির চিত্র। বইটি পড়তে পড়তে মনে হবে চরিত্র গুলো যেন আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ানো কিছু মানুষেরই প্রতিচ্ছবি। বইটি পড়তে পড়তে পাঠক ভাবতে বাধ্য হবেন নিজেদের চেনাজানা দূর্নীতিগ্রস্থ মানুষদের বিষয়ে।

১৯৯৫ সালে প্রকাশিত এই বইটি যেন আজকের কথাই বলবে পাঠকদের। উপন্যাসটি পড়তে পড়তে পাঠক যেমন আহমেদ ছফার রসবোধের কারণে হেসে উঠবেন ঠিক তেমনই আবু জুনায়েদের পরিণতির জন্য কখনো কখনো তার জন্য করুণাও অনুভব করবেন।

বইটিতে হাস্যরসে মাধ্যমেই লেখক তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর বেহাল দশাকে। নামসর্বস্ব এবং দূর্নীতিতে পরিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থাকে তিনি তুলে ধরেছেন চমৎকার বর্ণনার মাধ্যমে এভাবে–

“আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টির ছিলো গৌরবময় অতীত। অনেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে গোটা দেশের আত্মার
সঙ্গে তুলনা করতেন।…..অতীতের গরিমার ভার বইবার ক্ষমতা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই।”
এভাবেই অতি সত্য অথচ অপ্রিয় সত্যকে তুলে ধরেছেন উপন্যাসটিতে।

উপন্যাসটির চরিত্র গুলো এবং গাভীটির শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি পায় তা জানতে অবশ্যই
পড়তে হবে পুরো বইটি। বই পড়তে থাকুন,বইকে ভালোবাসুন।

গাভী বিত্তান্ত পিডিএফ ডাউনলোড

খুব সহজেই গাভী বিত্তান্ত বইটি পিডিএফ ডাউনলোড করতে পারবেন। এজন্য আমাদের দেওয়া নির্দেশনা অনুসরন করুন।

প্রথমে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এরপর গাভী বৃত্তান্ত লিখে সার্চ করুন।

সার্চ রেজাল্ট হতে প্রথম লিঙ্কে ক্লিক করুন।

এরপর বইয়ের কভার ফটোর নিচে প্রদত্ত পিডিএফ ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করুন।

তাহলেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই ডাউনলোড হয়ে যাবে আহমেদ ছফা রচিত গাভী বিত্তান্ত বইটি।

Exit mobile version