Site icon Book PDF Down.com

গিটো মোশতাক আহমেদ PDF download

গিটো মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের সুপ্রাচীন ও স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত সব পাঠকদের কাছে। বাংলা সাহিত্য ভান্ডার কে সবদিক দিয়ে সমর্থন করেছেন এই লেখক। বাংলা সাহিত্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন আমাদের প্রিয় লেখক মোশতাক আহমেদ। লেখক তার রচনাতে বরাবর সহজ, সরল, প্রাঞ্জল এবং সকলের বোধগম্য ভাষা ব্যবহার করেছেন। লেখক বরাবর তার উপন্যাসগুলোতে কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার ছোঁয়া দেখিয়েছেন। তার অন্যান্য সব বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে “গিটো”অন্যতম।

এই লেখকের এর ছোটবেলা থেকে বই পড়ার প্রতি অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় সে আগ্রহ থেকেই মূলত তাঁর লেখালেখির সূচনা ঘটে। তিনি যে কোন একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি হওয়া সত্বেও তার বেশি পরিচিতি লাভ হয়েছে লেখালেখির দ্বারা।

“গিটো” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। বইটির প্রকাশিত হয় অনিন্দ্য প্রকাশনী থেকে। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2020 সালে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 128 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 214 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ:

লেখক মোশতাক আহমেদ বিভিন্ন ধরনের বই লিখে পাঠকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছেন। তিনি বেশিরভাগ সম্মান অর্জন করেছেন তাঁর সাইন্স ফিকশন উপন্যাসের মাধ্যমে। তাঁর রচিত সবগুলো উপন্যাস ছোট থেকে বড় সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী। তার উপন্যাস গুলো পড়লে জ্ঞান চক্ষু আরো সুদৃঢ় হয়।

নতুন একটি গ্রহের নাম জিমিনো। এই গ্রহে অভিযানের সময় গীতদের হাতে বন্দি হয়েছে নিলি। বন্দী হওয়ার পর সে এখন বড় বড় চোখ করে ছুড়িটার দিকে তাকিয়ে আছে। সে বুঝে গেছে মৃত্যুর খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে সে। পৃথিবী থেকে অনেক অনেক দূরে জিমিনো গ্রহে তাকে যে এভাবে গিটোদের হাতে মৃত্যুবরণ করতে হবে তা সে কখনোই ভাবতে পারেনি।

প্রথমে সে সত্যি বিশ্বাস করতে পারেনি যে তাকে হত্যা করা হবে আর কিছুক্ষণ পরে। আসলে কিছুক্ষণ আগে নিজের চোখের সে তার ক্যাপ্টেন এর মৃত্যু হতে দেখেছে খুবই নির্মমভাবে। চোখের সামনে ক্যাপ্টেনের মৃত্যু দেখে সে আর এখন অবিশ্বাস করতে পারছে না। সে শুধু একটা কথাই ভাবছে যে, স্বাভাবিক মৃত্যুতে তার কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু মৃত্যুটা যে এইভাবে গিটোদের হাতে হবে এটাতেই তার যত আপত্তি।

সে জানে তার মৃত্যুটা অত্যন্ত নিষ্ঠুর আর যন্ত্রণাদায়ক হবে। কারণ সে একটু আগে নিজের চোখেই দেখেছে গিটোদের নিষ্ঠুরতা। গিটোদের মধ্যে সবচেয়ে নিষ্ঠুর হল জুজু। আর এই জুজুইতাকে হত্যা করবে। জুজু তাকে হত্যা করার জন্য এখন তার ছুরিটা আগুনে পুড়িয়ে লাল করে নিচ্ছে। তারপর ওই ছুড়িটা দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তাকে তিলে তিলে মারবে।

সে যন্ত্রণায় যতই চিৎকার করবে জুজু ততই উল্লাসিত হবে এবং উল্লাসিত হবে নারী পুরুষ সহ সকল গিটো। কারণ তারা মানুষের মৃত্যু দেখছে নিজের চোখে। গিটোদের চরম শত্রু হলো মানুষ।এইজন্য কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে না। এগিয়ে আসবে না রোবট ডিটি কিংবা স্পেসশিপে অপেক্ষা মান অভিযাত্রী রাইবো। কারণ সবাই গিটোদের ভয় ভীত। কারণ গিটোরা হিংস্র ভয়ংকর আর অসাধারণ শক্তিশালী হয়।

শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল নিলির ভাগ্যে? সত্যিই কী সে নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছিল সেই ভয়ঙ্কর গিটোদের হাত থেকে? সে কী ফিরে আসতে পেরেছিল সুন্দর পৃথিবীতে? এই সব কয়টি প্রশ্নের উত্তর উপন্যাসটির পড়তে লাগলে আপনারা পেয়ে যাবেন। তাই বলবো বাজে সময় নষ্ট না করে বিজ্ঞানভিত্তিক বই পড়ুন। বই পড়লে জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে আবার মনের প্রশান্তিও বৃদ্ধি করবে।

Exit mobile version