Site icon Book PDF Down.com

হিয়ার দ্য উইন্ড সিং PDF Download হারুকি মুরাকামি

হিয়ার দ্য উইন্ড সিং PDF Download হারুকি মুরাকামি

‘হিয়ার দ্য উইন্ড সিং’ উপন্যাসটির রচয়িতা হলেন ‘হারুকি মুরাকামি’। এই উপন্যাসটির মাধ্যমেই এই জগৎ বিখ্যাত লেখক সাহিত্য জগতে তার যাত্রার শুরু করেন। এরপরের ইতিহাস তো সবারই জানা, মুরাকামিকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, একের পর এক অসাধারণ উপন্যাস উপহার দিয়ে গেছেন পাঠকদের৷

শুধুমাত্র জাপান নয় সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরে তার লেখা। পরাবাস্তবতা, ট্র্যাজেডি, মানবজীবনের স্পষ্ট প্রতিফলন ও রোমান্টিকতাও স্থান পেয়েছে লেখকের সকল উপন্যাসে। ৪০ বছরের লেখালেখির জীবনে মুরাকামি যেভাবে মানুষের জীবনকে ফুটিয়ে তুলেছেন তা সত্যিই অনবদ্য।

মুরাকামির সবগুলো উপন্যাসই জাপানি ভাষায় রচনা করা হলেও প্রায় সবগুলোই পরে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ‘হিয়ার দ্য উইন্ড সিং’ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৯ সালের জুলাই মাসে জাপানি ভাষায়। পরে ১৯৮৭ সালে তা ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়। বাংলা ভাষাতেও বইটি অনূদিত হয়েছে এবং বইটির প্রকাশক হলো ‘বাতিঘর প্রকাশনী’ এবং অনুবাদ করেছেন ‘আলভী আহমেদ’।

উপন্যাসটির মূল পটভূমি গড়ে উঠেছে এক অজ্ঞাতনামা চরিত্রকে নিয়ে। সম্পূর্ণ উপন্যাসে লেখক কোথাও তার নাম উল্লেখ করেননি। সেই নামহীন চরিত্রটি হলো একজন একুশ বছর বয়সী যুবক। এই নামহীন যুবক স্বপ্ন দেখে একদিন লেখক হবে। টোকিয়োর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এই যুবকের ছোট্ট এই জীবনে এর মধ্যেই তিনবার প্রেম এসেছিলো কিন্তু কোন এক অজানা কারণে একটিও টেকেনি।

গ্রীষ্মের ছুটিতে নিজের শহরে ছুটি কাটাতে গেলে সেখান থেকেই উপন্যাসের মূল গল্প শুরু হয়। উপন্যাসটিতে মূলত আঠারো দিনের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ উপন্যাসের ঘটনাই আবর্তিত হয়েছে আঠারো দিনকে কেন্দ্র করে। গল্প ধীরে ধীরে সামনে গড়াতে শুরু করলে আরেকটি চরিত্রের দেখা মেলে তার নাম হলো ‘র্যাট’। সেই অজ্ঞাতনামা মূল চরিত্রের বন্ধু। র্যাট ও স্বপ্ন দেখে লেখক হবার।

গোবরে পোকা নিয়ে একটি ভালো উপন্যাস লেখার ইচ্ছা সে বেশ কয়েকবার প্রকাশ করে। কিন্তু বাস্তবে র্যাট এসব কিছুই করে না। সারাদিন একটি বারে বসে বিয়ার পান আর পিনবল খেলা ছাড়া তার আর দ্বিতীয় কোন কাজ নেই। এসবের মাঝেই মূল চরিত্রের জীবনে আরেকবার প্রেম আসে, লেখক এখানেও সেই মেয়ে চরিত্রের নাম অজানা রেখে দেন। অজ্ঞাতনামা এক তরুণী হিসেবে তাকে পরিচয় দেয়া হয়।

এভাবেই গল্প চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা যুবকের জীবন থেকে সেই অজ্ঞাতনামা তরুণীটিও হারিয়ে যায় অন্যসব প্রেমের মত। এরপর থেকেই উপন্যাসের মূল পটভূমি ঘুরে যেতে শুরু করে। উপন্যাসটিতে মূলত লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন তরুণ বয়সে মানুষের জীবনে প্রেম আসে এবং প্রেম আসার পর জীবন কীভাবে পরিবর্তন হয়।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে কীভাবে মানুষের অনুভূতিগুলো পরিবর্তিত হয়ে মানুষের মাঝে দ্বায়িত্বশীলতা চলে আসে। আবার মাঝে মাঝে তরুণ বয়সের কিছু স্মৃতি কোন দিনই মুছে ফেলা যায় না, সেইসব স্মৃতি হানা দিয়ে বর্তমান জীবনকেও দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। উপন্যাসটি পাঠক পড়তে শুরু করলে এক অন্য রাজ্যে হারিয়ে যেতে বাধ্য, যার রেশ উপন্যাসটি শেষ হলেও বেশ কিছু দিন থেকে যায়।

Exit mobile version