Site icon Book PDF Down.com

হুমায়ূনের ভুবন PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

হুমায়ূনের ভুবন PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

হুমায়ূনের ভুবন বইটি হুমায়ুনের জীবন সম্পর্কিত একটি বই। এ বইটি সম্পাদনা করেছেন রাহাত জামিল। বইটিতে হুমায়ূনের সংস্পর্শে আসা বিভিন্ন মানুষের গল্প রয়েছে। যারা হুমায়ূনকে ভালোবাসে, হুমায়ূন সাহিত্য ভালোবাসে, হুমায়ুনের নাটককে ভালোবাসে তাদের জন্য এই বইটি অবশ্যই পড়তে হবে। তাই দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে গিয়ে হুমায়ূনের ভুবন পিডিএফ ডাউনলোড করে নিন।

হুমায়ূনের ভুবন পিডিএফ ডাউনলোড

হুমায়ূন আহমেদের কন্যা শীলা আহমেদের থেকে নেয়া সাক্ষাৎকারে শীলা আহমেদ জানিয়েছেন যে তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন নি। তার পিতা বেঁচে আছে সকল সাহিত্য পাঠকের অন্তরে। পিতা হিসেবে হুমায়ূন আহমেদকে কিভাবে মূল্যায়ন করবে এ কথা জানতে চাওয়া হলে শিলা আহমেদ জানাই যে, তার পিতা পৃথিবীর একমাত্র শ্রেষ্ঠ পিতা।

তার পিতা ভিতরে কোন অহংকার ছিল না। তার পিতা ছিল বলে এদেশের মানুষ নাটক ও চলচ্চিত্রকে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে। পারিবারিকভাবেও হুমায়ূন আহমেদ অনেক দায়িত্বশীল ছিলেন। তাঁর দায়িত্বশীলতার পরিচয় পাওয়া গেছে তার ছেলেমেয়েদের উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে।

তাই শীলা আহমেদ জানিয়েছেন তাদের পিতা তাদের অহংকার। শিলা আহমেদ জানিয়েছেন নুহাশপল্লী তার বাবার ছিল একটি স্বপ্নের মতো। তার বাবা চাইতো ভারতের পুনা ফিল্ম ইন্সটিটিউটের মত নুহাশপল্লী একদিন বড় একটা জায়গায় যাবে। তাই শীলা আহমেদের আবেদন বাংলাদেশে বাসীর কাছে যে, নুহাশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হোক। যার মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকবেন সকল সাহিত্য প্রেমির মনে।

প্রিয় লেখক আমি কেবল আপনার মমতা এবং ভালোবাসায় চেয়েছিলাম -মেহের আফরোজ শাওন তার সাক্ষাৎকারে এই কথাটি জানিয়েছেন। মেহের আফরোজ শাওন জানিয়েছেন যে হুমায়ূন আহমেদের তাঁকে কোন বই উৎসর্গ করেনি। কিভাবে মেহের আফরোজ শাওন হুমায়ূন আহমেদের সংস্পর্শে আসলো সে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।

বইটিতে মেহের আফরোজ শাওন ১৯৯৯ সালের পর ধারাবাহিক নাটক নক্ষত্রের রাত অংশগ্রহণের মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদের সংস্পর্শে আসেন। সেখানে তিনি একটি গান গেয়ে শোনান। পরবর্তীতে আরো একটি গান শোনান। সেটি হলো “মরিলে কান্দিস না আমার দায়”।

এই গানটি শুনে হুমায়ূন আহমেদ হুমায়ূন আহমেদ যখন মারা যায় তখন যেন তার পাশে বসে এই গানটি গাওয়া হয় সেই অনুরোধ করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খুব পছন্দ করতেন। অনুষ্ঠানের শেষে এই গানটি গাইতে হবে এমনটাই ছিল নিয়ম। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড একটা বাড়িতে তখন হুমায়ূন আহমেদ এই গানটির জন্য আবারো অনুরোধ করেন।

কিন্তু মরণ সংগীত হওয়ার কারণে মেহের আফরোজ শাওন বারবার গানটিকে এড়িয়ে যেতেন। তার পরেও তার মৃদু আপত্তি সেক্ষেত্রে টিকেনি। হুমায়ূন আহমেদের অনুরোধই জয়লাভ করলো। সেই গানটি ইউটিউবে কল্যাণে সকলের হাতে পৌঁছে গেল। পরবর্তীতে যখন নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ বইটি প্রকাশিত হলো, সেটি উৎসর্গ করা হল মেহের আফরোজ শাওনকে।

সেখানে জানানো হলো যে মেহের আফরোজ শাওন হুমায়ূন আহমেদের কেমোথেরাপি নামক যন্ত্রণাদায়ক ব্যবস্থায় তার পাশে যে আছে এটাই অনেক বড় পাওয়া। হুমান আহমেদকে তিনি দান করেছেন তার যেন মৃত্যুর পরে বেশি ফিরিয়ে দেন সৃষ্টিকর্তা, এমনটিই তার আবেদন।

 

হুমায়ূন আহমেদের নাটকে অভিনয় করেছেন যে সকল শিল্পী তাদের মধ্যে স্বাধীন খসরু চমৎকার একজন অভিনেতা। তিনি তার লেখায় বলেছেন যে, হুমায়ূন আহমেদ অনেক স্নেহপ্রবণ মানুষ ছিলেন। স্বাধীনকে আমেরিকায় একত্রিত হওয়ার জন্য বলেন। স্বাধীন একত্রিত হলে সকলে মিলে আনন্দ করেন। পরে তারা যখন নায়াগ্রা ফলস দেখতে বের হয়, তখন স্বাধীন খসরু কিছু কার্ড কিনে। কার্ডের মাধ্যমে তাদের ভাগ্য পরীক্ষা। এতে দেখা যায় যে ১৩ ঘণ্টার পথ কার্ড খেলতে খেলতেই পার হয়ে যায়। এভাবে তাদের একটি আনন্দঘন যাত্রার পরিসমাপ্তি ঘটে। পরবর্তীতে সবাই যখন কানাডা যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে, কিন্তু ভিসার কারণে যেতে পারে না। তখন হুমায়ুন আহমেদ শাধিন খসরুকে অনুমতি দেন। যেন তিনি অবশ্যই যান। স্বাধীন খসরু কিছুদূর যেতেই অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম তাকে অনুরোধ করে ফিরে আসার জন্য। কারণ হুমায়ূন আহমেদ এতে মন খারাপ করেছেন। স্বাধীন খসরু ফিরে আসলে হুমায়ূন আহমেদ খুবই খুশি হন।

Exit mobile version