Site icon Book PDF Down.com

ইন্দ্রজাল ১: হাজার বছরের পিছুটান PDF Download জিমি তানহাব

ইন্দ্রজাল ১: হাজার বছরের পিছুটান PDF Download জিমি তানহাব

বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় তরুণী লেখিকা হলো গিয়ে জিমি তানহাব! বেশ কিছু বই বেড়িয়েছে তাঁর। সে সবের মধ্যে আলাদা করে চোখে পড়ে ‘ইন্দ্রজাল’ সিরিজটা। এই সিরিজের তিনটা বই। তবে এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে ২টা। বই গুলো বেশি বড় না। ১৪০ পৃষ্ঠার বই। তবু পাঠক মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে। সিরিজের প্রথম বই ‘ইন্দ্রজাল ১; হাজার বছরের পিছুটান’। ছোট্ট অছচ দারুন এই বইটা যারা এখনো পড়েন নি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ পড়তে পারেন অনায়েসে।

কাহিনী সংক্ষেপ

সময়টা ১৮১২ খ্রিস্টাব্দ। গ্রিস, কাভালো বন্দর। রোম হতে আগত একটি জাহাজ এসে নোঙর করল। কাঠের সিঁড়িতে একে একে নামতে শুরু করেছে যাত্রীরা। সবার শেষে নামল সুদর্শন এক তরুণ। বংশপরম্পরায় পেশা হিসেবে বেছে নিতে হয়েছে প্রত্নতত্ত্বকে। তরুণটির নাম সায়মন। শুনেছে, সানাতারিও অঞ্চলে প্রায় তিন হাজার বছর পুরোনো এক জিউস মন্দিরের নিচে এবং তার আশেপাশে প্রত্নতত্ত্ব নির্দশন রয়েছে। তবে প্যাগান পুরোহিতদের উপস্থিতিতে সেখানে অনুসন্ধান চালানোটা প্রায় অসম্ভব।

তবে সায়মন হাল ছেড়ে দেবার পাত্র নয়। পুরোহিতদের কাছে অনুমতি নিতে গিয়েও যখন খালি হাতে ফিরল তখন সে ঠিক করল, কোনোভাবেই সে খালি হাতে ফিরবে না। কিছু কিছু নিয়ে যাবেই হোক সেটা পুরোহিতদের অগোচরে।

মধ্যরাতে মন্দিরের তলদেশের দেখা পাওয়া মাত্রই মশাল বানিয়ে ঢাল বেয়ে নামতে শুরু করল সায়মন। তলদেশের ভেতরকার দেয়ালে দেখা মিলল ল্যাটিন ভাষায় লিখিত প্রায় মুছে যাওয়া এক শ্লোক। ভাঙ্গা ভাঙ্গা কিছু শব্দই শুধু বোঝা যায়। এর কিছুক্ষণ পরই সে আবিষ্কার করল একটি বিশাল বাক্স বাক্সের ভেতর রয়েছে একটি ব্রোঞ্জ নির্মিত দরজা। দরজাই সাথে শোভা পাচ্ছে দরজাটি খোলার চাবি। তেমন কিছু না ভেবে ভারী বাক্সটা নিয়েই রওনা দিল সায়মন।

বাক্স বন্দি হয়ে পড়ে থাকা প্রাচীন সেই অভিশপ্ত দুয়ারের অভিশাপ সাধারণ সেই যুবক সায়মনের জীবনকে এক মুহুর্তেই এলোমেলো করে ফেলে। বদলে যায় সবকিছু। এক নিমিষেই বদলে যায় সময়। হাজার বছরের পিছুটানে আটকে পড়ে এক গভীর জালে। যার নাম ‘ইন্দ্রজাল’।

সায়মন কি শেষমেশ পারবে এই মূর্তিমান অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসতে? নাকি অপেক্ষা করছে আরও ভয়ংকর কিছু? জানতে হলে পড়ে ফেলতে হবে লেখিকা জিমি তানহাবের ইন্দ্রজাল সিরিজের প্রথম বই ‘ইন্দ্রজাল; হাজার বছরের পিছুটান’।

লেখিকার লেখার সঙ্গে এই বইয়ের মাধ্যমেই আমার প্রথম পরিচয়। পূর্বে আমি তার কোনো বই পড়িনি৷ তার লেখার ধরনটা ইউনিক বলা যায়। নিঃসন্দেহে লেখার হাত ভালো। আর এই বইটা ইতিহাস আশ্রিত। সুতরাং ইতিহাস প্রেমিরা লুফে নিবে!

তাছাড়া একটানা পড়ে শেষ করার মতো একটি বই।
‘ইন্দ্রজাল’ শব্দটির একটি অর্থ হচ্ছে, জাদুবিদ্যা। যদিও উপন্যাসে কোনো জাদুকর বা জাদুবিদ্যা সম্পর্কিত কোনো তথ্য নেই তবুও উপন্যাসের মূল যে বিষয়টি সেটি ঘটেছে অনেকটা ম্যাজিকের মতোই। এছাড়া ‘ইন্দ্রজাল’ শব্দের আরেকটি অর্থ আছে তা হচ্ছে, বিমোহিত করা বা মায়া, মায়াজাল। এই অর্থটার দিক থেকে চিন্তাভাবনা করলে বইয়ের শিরোনাম একদম ঠিক আছে।

এছাড়াও যেহুতু এটি একটি ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস সেহুতু বেশকিছু ঐতিহাসিক চরিত্রের দেখা মিলেছে, উপন্যাসে। জুলিয়াস সিজারের শাসনামলের একটি চিত্র ফুঁটিয়ে তোলার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন লেখিকা।
চরিত্র ডেভেলপের ব্যাপারে বলতে গেলে বলবো, এটায় বেশি সময় লাগাননি। ধরতে গেলে, সরাসরি মূল কাহিনিতে ঢুকে গেছেন। যেহুতু বইটি আকারে ছোট সে হিসেবে ঠিক আছে।

সবশেষে বলবো, দারুন ঐতিহাসিক ছোট কোনো উপন্যাস উপভোগ করতে চাইলে বইটা নির্দ্বিধায় পড়তে পারেন।

Exit mobile version