Site icon Book PDF Down.com

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল PDF Download কল্লোল লাহিড়ী

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল PDF Download কল্লোল লাহিড়ী

আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ইন্দুবালা ভাতের হোটেল ফ্রী পিডিএফ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। চমৎকার এই বইটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করার খুব সহজ ভাবে ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে গিয়ে ইন্দুবালা ভাতের হোটেল ফ্রী পিডিএফ ডাউনলোড করতে পারবেন। তাই দেরি না করে যারা এই বইটি এখনো পড়েননি তারা অবশ্যই করে ফেলবেন।

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল কল্লোল লাহিড়ী

ইন্দুবালা বইটি লিখেছেন ভারতের একজন প্রখ্যাত লেখক কল্লোল লাহিড়ী। এ বইটি যদি আপনি ইন্ডিয়ান প্রিন্ট সংগ্রহ করতে চান তাহলে তার দাম পড়বে 414 টাকা। আর যদি লোকাল প্রিন্ট বা প্রিমিয়াম প্রিন্টার বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করতে চান তাহলে আপনারা 150 টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 157।

এই বইটি ভারতের সুপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। আমার পড়া মতে এই বইটি সবচাইতে ভালো লেগেছে। যারা বই পড়ার সঙ্গে খাদ্য রসিক আছেন তারা এ বইটি পড়ে দেখবেন। রান্নার বিভিন্ন ব্যঞ্জন এর সঙ্গে ইন্দুবালার অতীত স্মৃতি থেকে বর্তমান সময়ের গল্প গুলো খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে বইটিতে।

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল Price

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল প্রাইস উপরে উল্লেখ করা আছে। আপনারা যারা বইয়ের হার্ড কপি পড়তে পছন্দ করেন তারা বইটি সংগ্রহ করে পড়ে নিবেন। আর যারা বিভিন্ন সমস্যার কারণে বইটি সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিয়ে পড়ে নিবেন।

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল বইটির কাহিনী সংক্ষেপ

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল বইটিতে প্রধান চরিত্র হচ্ছে ইন্দুবালা। অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে পার হয়ে এসেছে কলকাতায়। অপরিচিত এক জায়গায়ই নতুন একটি মেয়ে হিসেবে স্বামীর সান্নিধ্য পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই ইন্দুবালা লক্ষ্য করলেন তার স্বামী একজন মদ্যপ ব্যক্তি। স্বামীর সংসারে সুখের পরিবর্তে ইন্দুবালার দিনে দিনে তার গায়ের গহনা সব হারাতে থাকে।

বাবার কাছ থেকে শুনে ছিলেন তার স্বামী একজন মাস্টার। স্বামীর সংসারে ভালো থাকবে বলে প্রবেশ করেছিলেন ইন্দুবালা রতনলাল মল্লিকের সংসারে। কিন্তু দিনে দিনে সংসারে সুখের পরিবর্তে অবনতি ঘটতে থাকে। একসময় মাস্টার ও রতন মল্লিক পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে ওপারে চলে যান। ইন্দুবালা তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে পড়েন বিপদে।

ছেলে মেয়েদের মুখের আহার কিভাবে জুটবে এ সম্পর্কে তার কোন ধারণা ছিল না। কোন একদিন তার বাড়িতে উনুন জালানোর মতো খাবার সংগ্রহ ছিল না। সেই বিপদের মুহূর্তে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল একজন মাছ বিক্রেতা। মদ বিক্রেতার নাম লছমী বাই। মাছ বিক্রেতা তাকে দুটো টাকা দিয়ে বলেছিল যে মাসি তোমার এখানে আমি খাব।

ইন্দুবালাকে রান্নার ব্যবস্থা করতে বলেছিল। ইন্দুবালা সেই সময়ে সেই দুটো টাকাকে বেঁচে থাকার আশা হিসেবে হাত পেতে নিয়ে ছিল। তার খাবার খেয়ে মাছ বিক্রেতা পরদিন আরো কয়েকজন মানুষকে নিয়ে আসে ইন্দুবালার হাতের খাবার খাওয়ানোর জন্য।

তারপর থেকে ইন্দুবালাকে থেমে থাকতে হয়নি। দিনে দিনে তার ব্যবসার প্রসার বেড়েছে। ছেলেমেয়েগুলোকে মানুষের মত মানুষ করে ভাল কর্মের যোগদান করার ব্যবস্থা করেছে। তার হাতের কাজের সাহায্য করার জন্য দূর দেশ থেকে এসে তার কাছে আশ্রয় নিয়েছিল ধনঞ্জয় নামে এক ব্যক্তি। ধনঞ্জয় ইন্দুবালাকে মা বলে ডাকে।

তারপর থেকে ইন্দুবালার হোটেল খুব ভালভাবে চলছে। পাশের মেসের ছেলেমেয়েরা নিয়মিত তার কাছে খেতে আসে। কোন এক ইউনিভার্সিটি তে হোম সাইন্স নিয়ে পড়া একজন মেয়ে ইন্দুবালার কাছ থেকে রান্না শিখতে আসে। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইন্দুবালা বিভিন্ন রান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।

ছেলেমেয়েরা মায়ের বয়স এর দিকে এবং স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য করে তাকে তাদের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইন্দুবালা চেয়েছিল স্বাধীনতা। তিনি কখনোই তার ছেলে মেয়ের কাছে যাননি। এর জন্য তার প্রতি ছেলেমেয়েদের অভিমানের শেষ ছিল না। তার পরেও ছেলেমেয়েরা তাকে খুব ভালবাসে।

ইন্দুবালা সেই কবে তার বাবার দেশ খুলনার কলাপোতা থেকে কলকাতা এসেছিল। বইটিতে বিভিন্ন ধরনের রান্নার অধ্যায় উঠে এসেছে। তার সঙ্গে উঠে এসেছে সে সকল রান্নার পেছনের অতীত স্মৃতি এবং গল্পগুলো। উঠে এসেছে খুলনার দেশের বাড়ির গল্প। বইটিতে উঠে এসেছে এক যুবকের যিনি ইন্দুবালার বাল্যকালের বন্ধু এবং যৌবন কালের ।

স্বাধীনতা যুদ্ধে মনিরুলকে এবং নিজের ভাইকে হারানোর পর ইন্দুবালা অনেকটাই ভেঙে পড়েন। তারপরও তার জীবন থেমে থাকেনি। ইন্দুবালা ভাতের হোটেল তাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। ছেলে-মেয়ে তাদেরকে নিয়ে যেতে চাইলেও এই বয়স্ক মহিলা তার হোটেলকেই ভালোবেসে কাটিয়ে দিতে চাই আজীবন। আপনি যদি সাহিত্য ভালবাসেন তাহলে আপনার জীবনে অবশ্যই এই বইটি পড়বেন।

Exit mobile version