বাংলাদেশের বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস হলো “যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ”। হুমায়ূন আহমেদের সবগুলো উপন্যাসের মধ্যে এটি একটু অন্যরকম ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি হুমায়ূন আহমেদের সবগুলো উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম একটি উপন্যাস। উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে 1994 সালের ফেব্রুয়ারীতে। এটি প্রকাশিত হয়েছে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী থেকে। উপন্যাসটি পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 64 টি এবং এটির মূল্য 100 টাকা। এই উপন্যাসটি একাদশ মুদ্রণ হয়েছে জুন 2015 তে।
এটি একটি অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক উপন্যাস। হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য উপন্যাস গুলোর চেয়ে একটু আলাদা। তবে এই উপন্যাসটি বিষয়বস্তু অন্যান্য উপন্যাস গুলোর মতই জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয়। অসাধারণ এই বইটি পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রী পিডিএফ ডাউনলোড করে পরতে পারবেন। অসাধারণ এই ভৌতিক উপন্যাস টি এখনো যারা পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আজকেই পড়ে ফেলুন।
এই উপন্যাসটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র সমূহ:
মিজান সাহেব, রুবা, ওসি মকবুল সাহেব ,অরুন ও মনসুর।
কাহিনী সংক্ষেপ
মিজান সাহেব অত্যন্ত যুক্তিবাদী একজন ভদ্রলোক। তার স্ত্রীর নাম রূবা। রুবা একজন সুন্দরী মহিলা সে দৃষ্টিতে মিজান সাহেব অতটা সুন্দর নন। এজন্য মিজান সাহেব নিজেই নিজেকে খুব ছোট মনে করেন। তাদের বৈবাহিক জীবন তেমনটা স্বাচ্ছন্দ্যময় ছিল না ,রুবা প্রতিদিনই তার বন্ধু-বান্ধবের সাথে ঘুরতে বের হয়ে যেত,কিন্তু মিজান সাহেবের সাথে বের হতে চাইত না। এ কারণে মিজান সাহেবের খুব রাগ হতো তিনি ভাবতেন তার স্ত্রী তার সাথে সুখী নয়।
এজন্য প্রথম দিকে তিনি অভিমান করতেন কিন্তু ক্রমে ক্রমে তার এই অভিমানটা ঈর্ষা তে পরিণত হয়েছিল। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তিনি তাঁর স্ত্রীকে মেরে ফেলবেন। সে অনুযায়ী তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন যাতে কেউ কিছু বুঝতে না পারে। একদিন তার পরিকল্পনা অনুযায়ী তার স্ত্রীকে তিনি খুন করেন। খুন করার পর তিনি চিন্তায় পড়ে যান ঠিক কীভাবে তিনি লাশটাকে এখান থেকে সরিয়ে ফেলবেন? কাজটা শেষ করার পর তিনি যখন ফ্রিজ থেকে পানি নিতে আসেন তখন রুবার ঘর থেকে কিছু একটা শব্দ শুনতে পায়।
তখন তিনি ভাবেন এই বাড়িতে তো তার স্ত্রী এবং তিনি ছাড়া আর কেউ থাকেন না তাহলে শব্দ টা কিসের? সেসময়ের রুবার ঘরে গিয়ে কিছু অশরীরী ঘটনা তিনি লক্ষ্য করেন। এই উপন্যাসটিতে অনেক মজার রহস্যময় কিছু ঘটনা আছে যেগুলো জানতে হলে অবশ্যই পুরো বইটা পড়তে হবে। লেখক এখানে যেমন কিছু অশরীরী ঘটনার কথা বলেছেন, এখানেই বুঝিয়ে দিয়েছেন অশরীরী ঘটনা বলে কিছু নেই।
এই উপন্যাসটি সাইকলজিক্যাল ফিকশন এর মধ্যে পড়ে।
অন্যান্য উপন্যাসগুলোর চেয়ে এটি ছোট হলেও এইখানেও আমরা বিস্তার ধারণা লাভ করতে পারি। হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য উপন্যাস গুলোর মতই এই উপন্যাসটি ও অত্যন্ত জনপ্রিয় ও বিখ্যাত। তাই এখনও যারা এই বইটির হার্ডকপি পাননি তারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে ফ্রী ডাউনলোড করে পড়তে পারেন আশা করি ভালো লাগবে।