Site icon Book PDF Down.com

জোছনার ছায়া PDF Download মোশতাক আহমেদ

জোছনার ছায়া PDF Download মোশতাক আহমেদ

লেখক মোশতাক আহমেদ এর নাম শুনলেই প্রথমে মাথায় যা আসে তা হলো ‘বহুমাত্রিক লেখক’। আসলেই তিনি একজন বহুমাত্রিক লেখক। নানান জনরায় লেখালিখি করেছেন। কিশোর এডভেঞ্চার, সাইন্স ফিকশন, ভৌতিক কাহিনী, উপন্যাস, প্যারাসাইকোলজিক্যাল থ্রিলার! তার মধ্যে এই প্যারাসাইকোলজিক্যাল জনরার বইগুলোই বেশি জনপ্রিয়। এই জনরার অন্যতম একটা বই হলো ‘জোছনার ছায়া’। প্যারাসাইকোলজির এই দারুণ বইটা না পড়ে থাকলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

“জোছনা ছায়া” এখানে জোছনা বলতে লেখক উপন্যাসের মূল চরিত্র জোছনা নামে মেয়েকে বুজিয়েছেন। জোছনা অন্ধ একটি মেয়ে। বার বছর বয়সে এক অসুখে তার চোখ অন্ধ হয়ে যায়। কিন্তুু অন্ধ মেয়েটির বিয়ে হয় বাদল নামে এক ছেলে সাথে,যে তাকে প্রচন্ড ভালবাসে। তাদের ঘরে ফুটফুট এক কন্যা সন্তান হয় কিন্তুু নিয়তির কি খেলা মেয়েটি জন্ম থেকে অন্ধ হয়ে জন্মগ্রহণ করে। এই দিকে জোছনার মেয়ে আলো দেখার ইচ্ছা পোষণ করে, এই দিকে বাদল বস্তিতে থেকে সিএনজি চালায় মেয়ে চিকিৎসার জন্য টাকা জামায়, এই ভাবে তাদের ছোট সংসার চলছে।

কিন্তুু ইদানিং জোছনা ভয়ংকর স্বপ্ন দেখে।স্বপ্নে দেখে একটা ছায়া তার পিছে তাড়া করছে,তাড়া করতে করতে একটা অন্ধকার রুমে তাকে আটকে ফেলছে।অন্ধকারে একটা পুরুষের অবয়ব দেখা যাচ্ছে, তার কান দেখা যাচ্ছে কিন্তুু কোনো ক্রমে মুখ দেখা যাচ্ছে না। জোছনা ভাবে ছায়া হয়তো তার ক্ষতি করবে। এই জন্য ভয়ে আতংকিত হয়ে থাকে।

ছায়া হয়তো তাকে কিছু বলতে চাই। কিন্তুু বলতে বলতে চেহারা বিকৃত হতে থাকে।তখন চিৎকার দিয়ে ওঠে জোছনা। তখন বাদল তাকে শান্ত করে, পুরো বিষয়টা স্বপ্ন। এই একই স্বপ্ন বারংবার দেখতে থাকে। এই নিয়ে বাদল খুব চিহ্নিত। হয়তো এই স্বপ্নের বিশেষ কোন অর্থ বহন করে।

বাদল ভাবছে জোছনা হয়তো মানসিক কোনো সমস্যা হচ্ছে তাই সে হাজির হয় ডাক্তার তরফদারের কাছে, জোছনার সমস্যা খুলে বলে।

ডাক্তার তরফদার জোছনার চিকিৎসা করে, তার স্বপ্নের যৌক্তিকতা আছে।জোছনার মন একই সময়ে দু জায়গায় তার মন বন্দি আছে প্রাচীন এক জমিদার বাড়ির কক্ষে। সেটা গোপন কক্ষ যে খানে অনেক ধন সম্পদে ভরপুর। জোছনা ইচ্ছা করলে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না!
এই দিকে জোছনা অবস্হা খুবই খারাপ তাকে এই বন্দি থেকে মুক্ত করতে না পারলে নিশ্চিত মৃত্যু হবে তার।

শেষ পর্যন্ত কি জোছনার মুক্তি হয়েছিলো?ডাক্তার তরফদার কি সে গোপন কক্ষের সন্ধান পেয়েছিলো? আর ঐ ছায়াটা কে? তার উদ্দশ্যে কি? এসবের উত্তর জানতে পড়ে ফেলুন বইটি!

বইটি বরাবরেই মতো উপভোগ করি। দুর্দান্ত প্লট, স্যারের লেখনী চমৎকার ছিলো। বইটি স্যার ডাক্তার তরফদার কে উৎসর্গ- করেছেন স্যারের মতো আমিও এই বইটি পড়ে এই চরিত্রটির প্রেমে পড়ে গেলাম।

বইটিতে যথেষ্ট থ্রিল ও টানটান উওেজনা ছিলো, পৃষ্ঠা পড় পৃষ্ঠা না উল্টালে আসলে টুইস্ট ধরা যাচ্ছে না। লেখক সমানতালে লিখে গেছে যা প্রশংসা দাবিদার যা পড়তে ভালো লেগেছে।

এই বইটা রাত ১২ টার পড়ে শুরু করেছিলাম। পড়ার এক পর্যায়ে বেশ কেমন জানি অনুভব করেছি তখন বইটা রেখে দিয়েছি আবার কেনও জানি মনে হলো এই বইটা সকালে বা দিনে পড়লে এই রকম থ্রিল অনুভব করবো না। তাছাড়া এক বসাতে বা একটানে বই শেষ করার মজাই আলাদা।

বইটি শুরুতে বুজতে অসুবিধা হলেও আস্তে আস্তে মজা পেয়েছি। এতো কঠিন একটা কাহিনীকে লেখক শেষে এসে এমন রুপ দিয়েছে যা ভালো লেগেছে, বইটি হাসিখুশি মুখ নিয়ে রেখে দিতো হলো। বিশেষ করে সমাপ্তি ছিল দারুণ!

সবশেষে বলবো, অসাধারণ উপভোগ্য একটা বই।

Exit mobile version