কিং সলোমন মাইনস মুন অব ইজরায়েল PDF Download হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড

ইংরেজি সাহিত্যের একটি পরিচিত নাম হল হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। অ্যাডভেঞ্চার ও রোমান্স উপন্যাসে হেনরি রাইডারের নাম এক কথায় সবাই চেনে। তার প্রত্যেকটা উপন্যাস সবার কাছে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তার উপন্যাসগুলোতে আমরা বরাবর বাস্তবধর্মী জিনিস দেখতে পাই। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে বাস্তব ঘটনাকে খুব সহজ উপায় সবার সামনে তুলে ধরেন।

ছোট থেকে বড় সব বয়সী পাঠকরাই তার বই অনেক বেশি পছন্দ করে। তাঁর উপন্যাসের ভাষা গুলো অনেক সহজ সরল ও সাবলীল হয়। তার প্লট নির্বাচন করার ব্যাপক দক্ষতা লক্ষ্য করা যায়। তাঁর উপন্যাসে বেশিরভাগই আফ্রিকা মহাদেশের অনেক অজানা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি ইতিহাসের বিখ্যাত রোমাঞ্চকর ও অ্যাডভেঞ্চারাস উপন্যাসের লেখকদের মধ্যে অন্যতম একজন। তার রচিত”কিং সলোমন্স মাইন্স মুন অফ ইজরায়েল” বিখ্যাত একটি উপন্যাস।

“কিং সলোমন্স মাইন্স মুন অফ ইজরায়েল” হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর বিখ্যাত রহস্য, গোয়েন্দা ও অ্যাডভেঞ্চারাস অনুবাদ উপন্যাস। এই বইটির বাংলা অনুবাদ করেছেন পার্থ মজুমদার। বইটি প্রকাশ করেছে মুক্তদেশ প্রকাশনী। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2016 সালে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 160 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মূল্য 215 টাকা। আপনারা যদি চান তাহলে কোন ঝামেলা ছাড়াই বইটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

এ বইটিতে একসাথে দুইটি উপন্যাস পাওয়া যাবে। এই বইটি সবদিক দিয়ে এতটাই মজার যে, কেউ পড়তে লাগলে শেষ না করে উঠতেই চাইবেন না। যারা অ্যাডভেঞ্চার মূলক উপন্যাস পড়তে ভালোবাসেন আমি তাদের ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করবো তারা একবার হলেও এই বইটি পড়ে দেখুন। আমি গ্যারান্টি দিতে পারি বইটি অসম্ভব ভাল লাগবে।

কিং সলোমন্স মাইন্স:

এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র গুলো হল আ্যলান,এলিজাবেথ, গুড, খিরা ও হেনরি। এই উপন্যাসের পটভূমি হলো আফ্রিকা মহাদেশ। ব্রিটিশ নাগরিক হেনরী কার্টিস সলোমনের হীরার খনি খুঁজতে গিয়ে নিজেই হারিয়ে যান এক অদ্ভুত জায়গায়। সেই জায়গাটি হল দক্ষিণ আফ্রিকা মহাদেশের কালুয়ানা গ্রামে। এই গ্রামে বাস করত কাফ্রি নামের উপজাতিরা। যারা ছিল অনেক ভয়ংকর।

স্বামীকে খুঁজতে আসে এলিজাবেথ কার্টিস। খুঁজতে এসে সে শরণাপন্ন হয় অ্যালান কোয়াটারমেইন এর সাথে। তাদের সাথে আসে এলিজাবেথের ভাই জন গুডস। শুরু হয় তাদের হেনরিকে খোঁজার বিশাল অভিযান। তারা পথে অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়। শেষ পর্যন্ত কি তারা তাদের অভিযান সফল করে ফিরে আসতে পারে? জানতে হলে পুরো গল্পটা একবার হলেও পড়তে হবে।

মুন্স অফ ইজয়েল:

এই উপন্যাসের পটভূমি হলো মিশর। এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হলো মেরাপি। এই মেরাপি হল মুন অফ ইজরায়েল। এই উপন্যাসের কাহিনী শুরু হয় ফারাও পুত্র যেটাকে দিয়ে জেঠিমেনাপটাকে দিয়ে। অনিন্দ্যসুন্দর এই নারী মিশরের যুবরাজ কে নিয়ে জড়িয়ে পড়ে নানা ঘটনার সাথে। এই উপন্যাসের মূলকথা হলো এ্যানা।

এক পর্যায়ে ইজরায়েলিদের রাজবংশের সাথে বিরোধে মেরাপি এবং শেঠির প্রথম সন্তানকে অভিশাপ দেয়। শুধুমাত্র শেঠী নয় অদ্ভুত মিশরের প্রায় সকল রাজ পরিবারের প্রথম সন্তান কে কায়রো অভিশাপে বলি হতে হয়। সন্তানকে হারিয়ে মেরাপি প্রায় পাগলের মত হয়ে যায়। যুবরাজ একের পর এক ষড়যন্ত্রের শিকার হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তার এই সমস্যা থেকে কিভাবে রক্ষা পায়? জানতে হলে পুরো বইটা পড়তে হবে।

এই বইয়ের প্রথম উপন্যাসটি হল আফ্রিকার জঙ্গলের আনন্দ আর অন্যটি হলো মিশরের কালক্রমে হারিয়ে যাওয়া যুবরাজের ভালোবাসার গল্প। অ্যাডভেঞ্চার মূলক উপন্যাস হিসেবে শ্রেষ্ঠ উপন্যাস এটি আমার মনে হয়। তাই সবাই আর দেরি না করে বইটি পড়ে নিন। আশা করি কিছুটা সময় অনেক ভালো কাটবে এবং অনেক অজানা তথ্য জানতে পারা যাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top