যারা প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের রোমান্টিক বই পড়তে ভালবাসেন তাদের জন্য কৃষ্ণপক্ষ বইটি হবে চমৎকার একটি বই। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে হুমায়ূন আহমেদের কৃষ্ণপক্ষ বইটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন। যারা বই পড়তে ভালবাসেন এবং অবসর সময়ে বই নিয়ে কাটাতে ভালবাসেন তাদের জন্য এই বইটি হবে অতি উত্তম বই। তাই বইটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করুন এবং আপনাদের অবসর সময়কে এ বইটি পড়ে আনন্দময় করে তুলুন।
আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে কৃষ্ণপক্ষ বইটির পিডিএফ ফাইল সংযুক্ত করা হয়েছে। তাই কৃষ্ণপক্ষ বইটি ডাউনলোড করুন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং হুমায়ূন আহমেদের যদি আরও বই ডাউনলোড করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের সূচিপত্র দেখুন।
জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ যেমন মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে তুলে ধরেছেন তেমনিভাবে তুলে ধরেছেন রোমান্টিক কথাবার্তা। তবে গতানুগতিক হবে না লিখে তিনি আলাদাভাবে রোমান্টিক বই গুলো লিখেছেন। ফলে বর্তমান সময়ের উঠতি বয়সের পাঠক এই বই পড়তে অনেক ভালোবাসেন।
কৃষ্ণপক্ষ বইটা নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রকার রিয়াজ এবং মাহিয়া মাহি। আপনি যদি কৃষ্ণপক্ষ বইটি ডাউনলোড করতে চান তাহলে করে নিতে পারেন এবং এ বইটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিতে পারেন। কৃষ্ণপক্ষ বইটি সুবর্ণ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা 84 . তাছাড়া বর্তমান বাজারে এই বয়সের মধ্যে মূল্য 150 টাকা।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে ধরা হয়েছে অরুকে। সে তার মেয়ের বিয়েতে তার স্মৃতি মন্থন করতে থাকে। আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে যে মানুষটার সঙ্গে সে একত্রিত হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল সেই দিনটির কথা ভাবতে থাকে। সেই সময়ের কথা মনে পড়ে তার।
সদ্য এম এ করা মুহিবের সঙ্গে ভালোবাসার পরিণতিতে বিয়ে করে ফেলে। মুহিব ছোটকাল থেকে বিয়ে হয়েছে তার বড় বোনের বাড়িতে। বড় বোন যেমন তাকে মায়ের মত করে বড় করে তুলেছে এতে সে তার মায়ের অভাব বুঝতে পারেনি। অপরদিকে তার দুলাভাই একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির মানুষ। আবেগ অনুভূতিহীন এক মানুষ যার থেকে সবসময়ই মুহিব দূরে থাকে।
একদিকে বোনের ভালোবাসা অন্যদিকে দুলাভাইয়ের অনীহা প্রকাশ, মুহিবকে পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। তাইতো বোন জামাইয়ের ভয়ে সে বিয়ে করে ফেলে অরুকে। বিয়ের দিন তার বন্ধুরা তাকে যথাসম্ভব সাহায্য করে। বিয়ের রাতের ব্যবস্থা করে বন্ধুর বাড়িতে। পরের দিন যখন তার দুলাভাই থাকে অফিসে ডাকে তখন সে অফিসে উপস্থিত হয়। দুলাভাই থাকে অফিসের কাজে একটা জায়গায় গাড়িতে করে পাঠায়। কিন্তু গাড়ি পথের মধ্যে অ্যাক্সিডেন্ট করে এবং মুহিব মারাত্মকভাবে আহত হয়ে যায়।
পাগলের মতো ছুটে আসে তার বোন এবং বন্ধু-বান্ধবেরা। কিন্তু তার দুলাভাই তার বোনকে হাসপাতালে মতো জায়গায় আসতে দিতে নারাজ। তার বোন আজীবন স্বামীর কথার বাইরে চলে নি বলে আমরা জেনেছি। কিন্তু এই গ্রীষ্মে মুহিবের বোন নিজেকে আর সামলাতে পারেনি। তাই স্বামীর আদেশকে উপেক্ষা করে ছুটে আসে ভাইকে দেখতে হসপিটালে।
ছুটে আসে অরু। মুহিবের বোন জানতে পারে যে তার ভাই বিয়ে করেছে। সকল কিছু জানা সত্ত্বেও মুহিব পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুর সঙ্গে। মহিম কি বাঁচাতে পারবে? এই দোলাচলে আপনি দোলতে থাকবেন। তার জন্য আপনাকে পুরো বইটি পাঠ করতে হবে। ৮৪ পৃষ্ঠার সহজ সাবলীল ভাষায় লেখা হলেও বইটি অনেক গভীর এবং রোমান্টিক।