বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত ‘ কুহক’ একটি অসাধারণ উপন্যাস। এটি একটি সায়েন্স ফিকশন ধরণের বই। বইটি প্রকাশিত হয়েছে 1 991 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বইটির প্রকাশনা করেছে প্রতীক প্রকাশনা সংস্খা। বইটির অষ্টম তম সংস্করণ হয় 2013 সালে। বইটির মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা 64 টি। বইটির বাংলাদেশি মুদ্রিত মূল্য 120 টাকা। বইটি হার্ডকভারে লিখিত হয়েছে। বইটির অনলাইন পিডিএফ সাইজ 07 এমবি।
‘কুহক ‘উপন্যাসটি সাইন্স ফিকশন হিসেবে লেখা হয়েছে। মূলত সমকালীন ভাবধারার উপন্যাস এটি। হুমায়ূন আহমেদ রচিত সবগুলো রচনার মধ্যে এটি একটি অন্যতম উপন্যাস । বইটি পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রী পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। যারা বইটি এখনো পড়েনি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে ফেলুন।
কূহক উপন্যাসের মূল কাহিনী
উপন্যাসটির প্রথমে কুহক শব্দের অর্থ নিয়ে বলা হয়েছে। কুহক শব্দের অর্থ মূলত ব্ল্যাক ম্যাজিক, সম্মোহনী ইত্যাদি। বইটি একটি চমৎকার বই যা পড়লেই বোঝা যায়। নিশিনাথ নামের একজন বৃদ্ধ লোক এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তার জীবনে ঘটে যাওয়া সব অদ্ভুত ঘটনা নিয়েই গল্পটি রচিত হয়েছে। নিশিনাথের সব আত্মীয় স্বজন দেশ ছেড়ে বিদেশ চলে গেছে। শুধুমাত্র নিশিনাথ দেশের টানে এইখানে রয়ে গেছেন। পরিবার বলতে এখন তার কেউ নেই। তিনি পেশায় একজন শিক্ষকত ছিলেন। তার একজন প্রাক্তন ছাত্র তাকে তার বাসায় থাকতে দিয়েছে। বিনিময়ে তার দুই ছেলেমেয়েকে পড়াতে হবে।
নিশিনাথের প্রাক্তন ছাত্রের নাম মহসিন সাহেব। তার স্ত্রী আর সন্তানরা নিশিনাথকে খুব ভালোবাসে। একবার নিশিনাথের মাথা ব্যাথা শুরু হয়। তিনি তখন ডাক্তারের কাছে যান। আর সেখান থেকেই গল্পের মূল কাহিনী শুরু হয়। তার মাথা ব্যাথার জন্য এক্সরে করাতে গেলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এক্সরে মেশিনের হঠাৎ ত্রুটির কারণে তার মস্তিষ্কের ভেতরে রশ্নি বেশি প্রভাবিত হয়। যার কারণে তার মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও তিনি তখন প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু সেই ত্রুটির কারণে তার মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটে। এই সমস্যার কারণেও তার শরীরেও অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটে। সেই অসাধারণ পরিবর্তনের কারণ নিয়েও বেশ মজার কাহিনী রয়েছে যা পড়ে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যাবে।
নিশিনাথের এই ত্রুটির কারণে তিনি এক অদ্ভুত ক্ষমতা লাভ করেন যার মাধ্যমে তিনি অন্য জনের মস্তিষ্কে ঢুকতে পারেন। তিনি মানুষের মস্তিষ্কে ঢুকে মানুষের চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করে দিতে পারেন। মহসিন সাহেবের একটি বোবা কালা মেয়ে আছে যাকে তিনি মস্তিষ্কের সাহায্যে পড়ালেখা শিখান। তিনি মানুষের বিভিন্ন ধরণের খারাপ চিন্তা দূর করে দিয়ে ভালো চিন্তা ভাবনা ঢুকিয়ে দেন।
তিনি মানুষের খারাপ পরিকল্পনা দূর করে দিয়ে সেখানে ভালোর বসবাস করান। তিনি যে পরিবারে বসবাস করেন সেই পরিবারের জন্য তিনি ভালো কিছু করে যেতে চান। তিনি চান পরিবারের কেউ যেনো বুঝতে না পারে।
এই উপন্যাসটিতে আরো একজন লোক আছে যাকে নিশিনাথ খুব ভালো হিসেবে জানে। কিন্তু সেই লোকটা খুব খারাপ। তার ভিতরে যে খারাপ পরিকল্পনা আছে তা নিশিনাথ জানতে পারে। এইসব জানতে পেরে তিনি ভয়ে কেঁপে ওঠে। নিশিনাথ ভাবেন যেভাবেই হোক তার এই খারাপ পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে হবে। তবে এই পরিকল্পনা নষ্ট করতে গিয়ে তার জীবনে মহা বিপদ নেমে আসে।