কুটু মিয়া PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের কুটু মিয়া বইটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন। অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হওয়ায় বইটির মূল্য 280 টাকা। কুটু মিয়া বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 112 টি। চমৎকার রহস্যময় এই বইটি পাঠ করলে আপনারা শেষ না করা পর্যন্ত স্বস্তি পাবেন না।

তাছাড়া স্যারের লেখনীর মাধ্যমে আপনাকে বইয়ের প্রতিটি চরিত্রের মাঝে টেনে নিয়ে যাবে। তাই সময় নষ্ট না করে অবশ্যই এই বইটির পিডিএফ ফাইল আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিন এবং আপনার অবসর সময়ে এই বইটিকে আপনার চমৎকার সঙ্গী বানিয়ে ফেলুন।

কুটু মিয়া কাহিনী সংক্ষেপ

কুটু মিয়া উপন্যাসটিতে যাকে কেন্দ্র করে গল্প আবর্তিত হয়েছে তার নাম আলাউদ্দিন। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে ঢাকাতে চলে এসেছেন একটি কোচিং এর সন্ধানে। ঢাকা শহরে এসে তিনি সাইফুদ্দিন নামক একজন লোকের সঙ্গে ফ্ল্যাটে থাকেন। কোচিং এর ব্যবস্থা না হওয়ায় তিনি ঘরে বসে সময় কাটান এবং লেখালেখি করেন। বিভিন্ন বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তিনি নিজের মতো করে বই লিখে দেন প্রকাশনী কে। পরবর্তীতে প্রকাশনী সেই বই অন্যের নামে চালিয়ে দেয়। এক কথায় বলতে গেলে তিনি একজন ছদ্মনামের লেখক।

একদিন তার কাছে হঠাৎ করে একটি লোকের আগমন ঘটে। এই লোকটির নাম হল কুটু মিয়া। যেহেতু আলাউদ্দিন সাহেবের একজন কাজের লোক দরকার ছিল সেহেতু তিনি কুটু মিয়াকে রেখে দেন। কুটু মিয়াকে রেখে দেওয়ার কারণে তার অনেক লাভ হয়। কারণ কুটু মিয়া তার পূর্ব অভিজ্ঞতা দ্বারা আলাউদ্দিন সাহেবকে নানা পদের রান্না খাওয়ান। তা ছাড়া কুটু মিয়ার হাতের রান্না চমৎকার।

দিনে দিনে এভাবে সময় চলে যায়। একদিন প্রকাশনীর মালিক একরামুল সাহেব আলাউদ্দিনকে একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রস্তাব দেন। একরামুল সাহেবের দুর সম্পর্কের ভাগ্নী রয়েছে। সে ভাগ্নির দুই মেয়ে ছিল এবং তাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ফলে তার ভাগ্নি এখন একাকী জীবন কাটাচ্ছে। তাই তিনি লেখক আলাউদ্দিনকে তার ভাগ্নির জন্য পছন্দ করেন।

কিন্তু আলাউদ্দিন সাহেব এই বয়সে এসে আর বিয়েতে রাজি হন না। তাছাড়া কুটু মিয়ার হাতের রান্নার যে তিনি পেয়েছেন তাতে তিনি অন্য কোন জীবনে জড়াতে চান না। ঘটনাক্রমে একদিন তিনি প্রশাসনের মালিক একরামুল হকের সঙ্গে তার ভাগ্নির বাড়িতে চলে যান। তোর ভাগ্নে এ বিষয়টি বুঝতে পারে এবং তিনিও এই বিয়েতে অবাক হন। তবে ঘটনাক্রমে এক সময় তারা দুজন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

আলাউদ্দিন সাহেব যে ফ্ল্যাটে থাকছিলেন সে ফ্লাটের মালিক একদিন জানান যে, গ্রাম থেকে তার বাবা এই ফ্ল্যাটে এসে থাকবে বলে তাকে ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে হবে। তবে এ প্রস্তাব দেওয়ার পরের দিন রাতেই সাইফুদ্দিন সাহেব মৃত্যুবরণ করেন। সুতরাং আলাউদ্দিন সাহেবের এই ফ্ল্যাট ছাড়া আর হয় না। তবে কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে একদিন তিনি তার বিয়ে করা স্ত্রী বাড়ীতে গিয়ে ওঠেন। কিন্তু তার বিয়ে করা স্ত্রী কুটু মিয়া কে দেখে এবং বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক ঘটনার প্রেক্ষিতে এই বাড়িতে থাকতে নারাজ হয়ে যায়। ফলে তিনি তার বাড়ি ছেড়ে মামার বাড়িতে চলে যান এবং সেই বাড়িতে থাকেন আলাউদ্দিন সাহেব এবং কুটু মিয়া।

ঘটনাক্রমে একদিন কুটু মিয়া তার কাছে গল্প করেন যে কুটু মিয়া শুক্রবারে মারা গিয়েছেন। তাছাড়া এই বইয়ে লেখক খুব সুন্দর ভাবে কুটু মিয়া চরিত্রের ভেতর দিয়ে রহস্যের সৃষ্টি করেছেন। সাইফ উদ্দিনের মৃত্যু, তার স্ত্রীর এ বাড়ি থেকে চলে যাওয়া এবং কুটিমিয়ার আগের চাকরি গুলো ছেড়ে দেওয়ার কারণ যদি জানতে চান তাহলে আপনারা এই বইটি পাঠ করবেন। তাহলে আপনাদের সামনে সকল ধরনের রহস্যের জট আস্তে আস্তে খুলে যাবে। চমৎকার এই বইটি আপনারা নির্দ্বিধায় পাঠ করতে পারেন।

কুটু মিয়া PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top