আত্মজৈবনিক গ্রন্থ

লং ওয়াক টু ফ্রিডম PDF Download নেলসন ম্যান্ডেলা

‘লং ওয়াক টু ফ্রিডম’ গ্রন্থটি একটি আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ, এই আত্মজীবনীর রচয়িতা হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা। আত্মজীবনীটি প্রথম বই আকারে প্রকাশ পেয়েছিল ১৯৯৪ সালে। বইটির প্রকাশনা সংস্থা ছিল ‘লিটল ব্রাউন & কো:’।

বইটির প্রেক্ষাপটে ফুটে উঠেছে ম্যান্ডেলার শৈশবের কথা, কৈশোরের কথা, শিক্ষাজীবনের কাহিনী ও দীর্ঘ ২৭ বছর কারাগার জীবনের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার আপার্থেইড সরকার নেলসন ম্যান্ডেলাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে কুখ্যাত রবেন আইল্যান্ডে বন্দী করে রাখে।

বইয়ের শেষ ভাগের অধ্যায়গুলোতে জায়গা পেয়েছে ম্যান্ডেলার রাজনৈতিক দর্শন এবং তার আশংকা যে বর্ণবাদ এখনো পুরোপুরি নির্মূল হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে, আর এই অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। বইটি প্রকাশিত হবার পর বিপুল সাড়া ফেলে দিলে তা বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়।

বাংলা ভাষায় ও বইটি অনূদিত হয়েছে, এই বইটির প্রকাশক অন্যধারা। বইটি লেখার পেছনে একটি ইতিহাস আছে। ম্যান্ডেলা তার আত্মজীবনীতে বহুবারই বলেছেন তার একার পক্ষে বইটি লেখার কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব ছিলো না। তিনি বইটিতে বারবার উল্লেখ করেছেন ম্যাক মহারাজ, ওয়াল্টার সিসুলু ও আহমেদ কাদারদার কথা, যাদের সাহায্যের জন্যই ম্যান্ডেলা তার আত্মজীবনীটি সম্পূর্ণ রূপে লেখতে পেরেছিলেন।

বইটিতে স্থান পেয়েছে এমন বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কথা ম্যান্ডেলার মনে ছিলো না, কিন্তু উপরিউক্ত তার তিন সহযোগীর জন্যই যে তিনি সেসব বর্ণনা করতে পেরেছেন তা তিনি বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্ত করেছেন। আত্মজীবনীটির মূল পান্ডুলিপিটি রবেন আইল্যান্ডের কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থাতেই ম্যান্ডেলা তৈরি করে ফেলেন।

বইটিতে বর্ণবাদের যেই ভয়ংকর রূপটি স্থান পেয়েছে তা অন্য কোথাও পরিলক্ষিত হয় না। বইটির অন্যতম একটি দিক হলো নেলসন ম্যান্ডেলা যে তার দেশের মানুষকে নিয়ে কতটা ভাবতেন এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন করে কীভাবে শান্তির চর্চা করা যায় তার উওঅঅর সব সময় গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

ম্যান্ডেলা একজন সাহিত্যিক না হয়েও যেভাবে তার জীবনের ঘটনাগুলোর প্রতিফলন আ আত্মজীবনীতে তুলে ধরেছেন তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। বইটি যারা পড়েননি তারা নিঃসন্দেহে পৃথিবীর ইতিহাসের এক বড় অধ্যায় থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন।

গত শতাব্দীর ইতিহাসকে পরিপূর্ণ রূপে জানতে ‘লং ওয়াক টু ফ্রিডম’ পাঠের কোন বিকল্প নেই। এই আত্মজীবনীতে যেই সাধনা, কষ্টের মধ্য দিয়ে নিজের গন্তব্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার যেই ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে তা সত্যিই যে কারো মনে অনুপ্রেরণা যোগাতে সাহায্য করবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *