Site icon Book PDF Down.com

মহেশ PDF Download শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

মহেশ PDF Download শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

মহেশ পিডিএফ ডাউনলোড শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
মহেশ গল্পটি বিখ্যাত বাঙালি উপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি ছোটগল্প। গল্পটি পাঠক সমাজে খুবই বিখ্যাত। এই গল্পের মূল বিষয়বস্তু হল একটি গরিব পরিবারের দুঃখ দৈনতা এবং একটি নিরীহ গরুর গল্প। গল্পটির প্রধান চরিত্র হলো গফুর যে খুবই দরিদ্র দিনমজুর এবং তার একমাত্র দশ বছরের মেয়ে কে নিয়ে তার বসবাস।

তাদের একমাত্র ভালবাসার প্রাণীটি ছিল একটি নিরীহ গরু এবং তার নাম ছিল মহেশ। এ বিখ্যাত এবং সুন্দর গল্পটি পড়তে চাইলে আপনি যখন তখন আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে পিডিএফ লিংক ডাউনলোড করতে পারেন এবং পড়ে ফেলতে পারেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত ছোটগল্প মহেশ।

গফুর দরিদ্র দিনমজুর ও কৃষক নিজেদের জন্য দু’বেলা ভাত জোগাড় করতে পারেন না এমনকি চৈত্রের দাবদাহে পান করার যোগ্য জলটুকু পর্যন্ত গ্রামে এক অসম্ভব বস্তু হয়ে পড়ে সেখানে একটি নিরীহ গরুকে কি খেতে দেবে তারা। মহাজন’ মিথ্যা কর্যের নামে তার সমস্ত ধানের খড় গুলো নিয়ে নেয়। মহাজনকে অনেক অনুরোধ করা সত্ত্বেও মহাজন’ একটি খর মহেশের জন্য দেয় না এবং গফুর কোনভাবেই মহেশের জন্য কোন খাবার জোগাড় করতে পারেনা।

এত অভাব সত্ত্বেও গফুর কখনোই মহেশকে বিক্রি করতে চায় না। মহেশ যেন সাধারণ কোন গরু নয় বরং গফুরের আরেক সন্তান যাকে সে সন্তানের মত লালন-পালন করে বড় করেছে। যেন তারই নিজের সন্তান এবং মহেশের প্রতি যে গভীর ভালোবাসা ও স্নেহ গল্পটিতে প্রকাশ পেয়েছে তো সত্যিই অসাধারণ। গ্রামীণ সমাজের দরিদ্র ও অশিক্ষিত দিনমজুর গফুরের মনে এতটা ভালোবাসা, স্নেহ ও পশুপ্রেম সত্যিই অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

মহেশ গল্পটি যেন সমাজের নিচু শ্রেণীর প্রতি উচ্চশ্রেণীর বৈষম্য, অত্যাচার ও নির্যাতনের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কিভাবে দরিদ্র দিনমজুরের পেটের ভাত ও জীবিকা নির্বাহের সবকিছু সমাজের উঁচু শ্রেণীর মহাজনরা কেড়ে নেয় তাই তুলে ধরা হয়েছে গল্পটিতে। এমনকি গফুর নিজের ভাঙ্গা ঘরের চাল থেকে খর পর্যন্ত খেতে দিয়েছে আজকে।

চৈত্রের দিনে সামান্য জল টুকু সে মহেশকে দিতে পারেনি এবং তার হাতেই শেষ পর্যন্ত মহেশের মৃত্যু হয় একটি ছোট্ট দুর্ঘটনার মাধ্যমে। অসাধারণ গল্পটি পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে পিডিএফ লিংক টি download করুন এবং সুন্দর গল্পটি পড়ে ফেলুন।

মহেশ PDF

মহেশ গল্পে মহেশ কিভাবে মারা গেছিলো

অপারেজেয় কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মহেশ গল্পটি একটি অনবদ্য সৃষ্টি। একটি জীবনমুখী এই গল্পে সুন্দর ভাবে সেই সময়ে মুসলমান সমাজের প্রতি হিন্দু সমাজের ব্যবহার এবং দারিদ্রতা খুব সুন্দর ভাবে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন। পরিবারের প্রধান কর্তা গফুর যখন বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে ইনকাম করতে পারে না এবং কন্যা আমেনার মুখে আহার তুলে দিতে পারে না তখন তার মাথায় আরো একজনের কথা চলে আসে।

দীর্ঘ সময় ধরে তার পরিবারে কৃষি কাজে সাহায্য করে আসছিল মহেশ নামের একটি গরু। পরবর্তীতে বিভিন্ন অপমান এবং দারিদ্রতার কারণে এবং ধর্মীয় বিভিন্ন কারণে সেই গ্রাম থেকে তারা চলে যায় এবং অবশেষে মহেশকে লাঙ্গলের ফাল দিয়ে গফুর হত্যা করে সেই স্থান ত্যাগ করে। মহেশ একটি গরু হলেও সব সময় গফুর তাকে সন্তান এর সমতুল্য মনে করত এবং এই গল্পে এমন এক পিতৃ ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে যা সকলের মনে কষ্টের অনুভূতি জাগাবে।

মহেশ গল্প অবলম্বনে মহেশের ভূমিকা আলোচনা করো

মহেশ গল্পে মহেশ হলো একটি গরুর নাম এবং এই গরু দীর্ঘ সময় ধরে গফুর নামক এক মালিকের কৃষিকাজে সেবা প্রদান করে আসছিল। দুর্দিনের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে মহেশ কৃষিকাজে লাঙ্গল দানার কাজ করতো এবং এই পরিবারের জন্য সবসময় মহেশ ছিল আশীর্বাদস্বরূপ। দীর্ঘসময় মহেশ গফুর এবং আপনার পরিবারে থাকার জন্য সবসময় গফুর এবং আমেনা তাকে এই পরিবারের একজন সদস্য বলে মনে করতো।

যখন ভাঙ্গা ঘরের খড় দিয়ে পানি পড়ে তখন মহেশের খাবার ছিল না বলে গফুর সেই ভাঙ্গা ঘরের আরো কিছু খরচ এর সামনে দিয়ে দেয়। পরিবারের চরম অভাবের সময় ও যখন দুমুঠো ভাতের ব্যবস্থা হয় তখন গফুর তার সন্তান সমতুল্য মহেশকে সেই ভাত খেতে দেয়। প্রাণীকুলের প্রতি গফুরের এই ভালোবাসা আমাদের মনে এক করুনার সৃষ্টি করে। অবশেষে বিভিন্ন অপমানের শিকার হয়ে এবং এই গ্রামে বসবাস করতে না পেরে মহেশ কে হত্যা করে গফুর এবং আমেনা চট কলে কাজ করার জন্য এই গ্রাম ত্যাগ করে।

মহেশ গল্পের বিষয়বস্তু বর্ণনা করো

মহেশ গল্পের প্রধান বিষয়বস্তু হলো তৎকালীন সময়ের আর্থিক অনটন। বিভিন্ন হিন্দু পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল হলেও শুধু মুসলমান বলে গফুরের পরিবারের প্রতি হিন্দুরা সব সময় খারাপ ব্যবহার করত। গফুর একসময় ধার চেয়েও কারো থেকে ধার পাইনি। যখন মহেশ খাবারের অভাবে অন্য কারো খেতে মুখ দেয় তখন তাকে অপমান অপদস্ত করা হয়। রাগ সামলাতে না পেরে মহেশকে যখন অনেক মারতে থাকে তখন সেই মারের আঘাত যেন গফুরের গায়ে লাগতে থাকে।

গফুর সবসময়ই মহেশকে নিজের সন্তানের মত ভালবাসত। যদি সেই সময় হিন্দু সমাজ গফুরকে সাহায্য করতো তাহলে কখনই গফুর মহেশ কে হত্যা করে এই গ্রাম ছেড়ে চলে যেত না। সামাজিক পরিবেশ এবং আর্থিক অনটন গফুরকে অন্য এক মানুষের পরিণত করে এবং গল্পের শেষ পরিণতি আমাদের মনে কষ্টের সৃষ্টি করে।

Exit mobile version