Site icon Book PDF Down.com

মাঝরাতে একটা গল্প শুনিয়েছিলেন PDF Download নসিব পঞ্চম জিহাদী

মাঝরাতে একটা গল্প শুনিয়েছিলেন PDF Download নসিব পঞ্চম জিহাদী

নসিব পঞ্চম জিহাদী! বেশ বড় অদ্ভুত একটা নাম। অদ্ভুত নামের মত তাঁর লেখা বইগুলোর নামও অদ্ভুত। সুন্দরও বটে। মূলত থ্রিলার গল্প লিখেন তিনি। এবং থ্রিলার জগতে বেশ ভালো একটা পরিচয় আছে তাঁর। তাঁর অদ্ভুত একটা বইয়ের নাম হলো ‘ফুল লাগলে চেয়ে নিবেন’! অবশ্য আজকে এটা নিয়ে কথা বলবো না। আজকে কথা বলবো তার প্রথম বই নিয়েন। ‘মাঝরাতে একটা গল্প শুনিয়েছিলেন’ তাঁর লেখা প্রথম বই। বইটি ২০১৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হলেও এখনও বইটা বেশ ভালোই জনপ্রিয়। ছোট্ট এই অসাধারণ বইটা যারা এখনো পড়তে পারেন নি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

সৌধ ইবনে মূসা, যে কিনা বই পড়তে ভালোবাসে। একজন খাঁটি বইপোকা বলা যায় তাকে।
তার ডাক নাম সৌধ। ভাগ্যগুণে ‘ক্যাফে বুকওঅর্ম’ নামের দারুন একটি লাইব্রেরীর দায়িত্ব পায় সে। ‘ক্যাফে বুকওঅর্ম’ লাইব্রেরীটি মনসুর সাহেবের। তিনিও একজন বইপোকা। সাথে ভ্রমন পিপাসু। প্রায়ই দেশের বাইরে যান তিনি। তাই তাঁর এই প্রানের লাইব্রেরিটি তাঁর মতই একজন বইপোকা ‘সৌধ’কে লাইব্রেরীটির দায়িত্ব দিয়ে যান। লাইব্রেরীটি একটু আন্ডাররেটেড! প্রচুর বই আছে সেখানে তবে সবাই সেটার খবর জানে না।

প্রবল ঝড়বৃষ্টির এক রাতে সৌধের সাথে পরিচয় হয় ইমতিয়াজ সালেহীন নামের এক রহস্যময় ব্যাক্তির সাথে। হঠাৎ সন্ধ্যা বেলা কাকভেজা হয়ে হাজির হন তিনি। নিজেকে পরিচয় দেন মনসুর সাহেবের ছাত্র হিসেবে। সৌধের সাথে দ্রুতই ঘনিষ্ঠতা হয়ে যায় সালেহীনের। নিয়মিত বাড়িতেও যাতায়াত চলতে থাকে সালেহীনের বাড়িতে।

এমনই একদিন রাতে ইমতিয়াজ ভাই সৌধকে শুনায় এক অস্বাভাবিক গল্প। যা কিনা পাল্টে দেই সৌধের জীবনটাই। গল্পটা শেষ হয়ে যেতে পারত, কিন্তু হয়নি। তা দুঃস্বপ্ন হয়ে গেঁথে থাকে সৌধের মনে।
প্রতিনিয়তই একটা দুঃস্বপ্ন সৌধকে তাড়া করে। তার কানে বাজে অদ্ভুত দুটো লাইন–

‘ওকে ধরো, যেভাবে পারো ওকে ধরো। ওকে আমার লাগবেই!
ওকে মেরে ফেলতে হবে। অল্পবয়সী একটা ছেলেই আমার দরকার!’

আদৌ কি কোনো ব্যাখ্যা আছে এর?

বইটার কাহিনী, প্রারম্ভনা এবং শুরুটা এতই রহস্যময় যে বইটা সম্পর্কে আমার আশা অনেক বেড়ে যায়। সে আশা অবশ্য পুরোনও হয়।
শুরুতে আমি চরিত্রগুলোকে ঠিক ধরতে পারছিলাম না, মনে হচ্ছিল তিনি চরিত্রগুলো ঠিকমতো বিল্ডআপ করতে পারবেন না। কিন্তু পরে বুঝলাম, লেখক মূলত গল্প বলে যেতে চেয়েছেন। এবং গল্প বলাতেই লেখক বেশি ইফোর্ট দিয়েছেন।

লেখকের স্টোরিটেলিং টা বেশ ভালো লেগেছে। একটা আবহ তৈরি করতে পেরেছেন। ফলে খুব দ্রুতই বইটা শেষ করে ফেলতে পারি। ছোট্ট এই বইটাতে আলোচনা করা হয়েছে প্রাচীন এক অপদেবী ‘লিলিথ’ সম্পর্কেও। মনে হতে পারে এখানে ওসবে সম্পর্ক কি? গূঢ় একটা সম্পর্ক আছে। যেটা বইটা না পড়লে কিছুতেই বুঝাতে পারবো না।

এছাড়াও লেখক বেশ কিছু যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। বিনোরাল বিটস’ নামের একটা সাইকোলজিক্যাল বিষয় সম্পর্কে জানতা পারি। পাঠক যাতে বোরিং না হয় এজন্যে সেটাও একটা গল্পের মাধ্যমে বলেছেন। যে গল্পটা সম্পর্কে আমি কখনও শুনিওনি।
ছোট্ট এই বইটাতে কাহিনী নানাদিকে মোড় নিয়েছে এবং বেশ কিছু টুইস্টও আছে। যা পাঠক কল্পনাও করতে পারবেন না।

যে জিনিসটা আরও ভালো লেগেছে সেটা হলো বইটার সন্দুর সমাপ্তি। আঁকা নতুন লেখকদের অনেকে ভালো লিখলেও শেষে এসে গুলিয়ে ফেলে, পাঠকের আর মনপূত হয় না। কিন্তু এই লেখক সেটা করেন নি। এ জন্য তাকে বাহবা দেওয়াই যায়।

সবশেষে বলবো, ছোট্ট অথচ ভালো কোনো বই পড়তে চাইলে কিছু জিনিস সম্পর্কে জানতে চাইলে অবশ্যই বইটি পড়বেন।

Exit mobile version