Site icon Book PDF Down.com

ম্যাপ অব বোনস PDF Download জেমস রোলিন্স

ম্যাপ অব বোনস PDF Download জেমস রোলিন্স

জনপ্রিয় থ্রিলার, এডভেঞ্চার লেখক ‘জেমস রলিন্স’। আর তার এই জনপ্রিয়তার অন্যতম প্রধান কারণ তাঁর লেখা থ্রিলার, এডভেঞ্চার সিরিজ ‘সিগম ফোর্স’। সিগমা ফোর্সের প্রথম বই হলো ‘স্যান্ডস্টর্ম’। যেটার রিভিউ আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। আর দ্বিতীয় বই হলো ‘ম্যাপ অব বোনাস’। বরাবরের মতই এই বইটাও বেশ জনপ্রিয়। এবং অনুবাদও বেশ ভালো। যারা ৩৮৪ পৃষ্ঠার এই অসাধারণ বইটি পড়েন নি, তারা অবশ্যই ভালো কিছু মিস করেছেন। তাই মিস না করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ ফাইল পড়ে ফেলুন।

কাহিনী সংক্ষেপ

জার্মানির কোলনে অবস্থিত একটা প্রাচীন ক্যাথেড্রালে প্রার্থনারতদেরকে জিম্মি করলো খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের পোষাক পরিহিত কিছু মানুষ। অদ্ভুত উপায়ে অথচ বিভৎসতার সাথে খুন করা হলো ওদেরকে। দুর্বৃত্তরা সেই ক্যাথেড্রাল থেকে সরিয়ে ফেললো প্রাচীন কিছু হাড়। ভয়াবহ ও ঘৃণ্য এই ঘটনা পুরো খ্রিস্টীয় সমাজকে কাঁপিয়ে দিলো এক নিমেষে।

রোমের ভ্যাটিকানের শান্ত পরিবেশ বিঘ্নিত হলো ড্রাগন কোর্ট নামের এক আন্ডারগ্রাউন্ড কাল্টের দৌরাত্মের কারণে। হাজার বছরের পুরোনো এক অমীমাংসিত রহস্যের সন্ধানে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। যে রহস্যের সাথে জড়িয়ে আছে খ্রিস্টীয় ইতিহাসের বিখ্যাত তিন রাজা, যারা তিন ম্যাজাই হিসেবে পরিচিত তাদের নাম। এই ম্যাজাইদের হাড়ের জন্য পাগল হয়ে উঠেছে ড্রাগন কোর্ট। যেখানে যাচ্ছে সেখানেই বইয়ে দিচ্ছে রক্তগঙ্গা। ভ্যাটিকানের মতো পবিত্র স্থানও বাদ পড়ছেনা তাদের তাণ্ডব থেকে।

সিগমা ফোর্সের দক্ষ দুই অপারেটিভ মঙ্ক কোক্কালিস ও ক্যাট ব্রায়ান্টকে নিয়ে মাঠে নামলো কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্স। তাদেরকে সাহায্য করার জন্য ভ্যাটিকান থেকে নিয়োগ দেয়া হলো মনসিগনর ভেরোনা ও ক্যারিবিনিয়ারি অফিসার র‍্যাচেল ভেরোনাকে। উদ্দেশ্য একটাই – এতোগুলো মানুষকে কেন খুন করা হলো সেটা জানা আর ড্রাগন কোর্টকে ঘৃণ্য এই ধ্বংসের খেলা থেকে থামানো।

কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এলো সাপ। একাধিকবার কমান্ডার গ্রে ও তার টিমের ওপর প্রাণঘাতী হামলা করা হলো। যতোটা ভাবা গিয়েছিলো, ড্রাগন কোর্টের ষড়যন্ত্রের শেকড় তার চেয়েও যেন আরো অনেক গভীরে প্রোথিত! সিগমা নাকি ড্রাগন – কে কাকে তাড়া করে ফিরছে, সেটা বোঝাই একটা সময়ে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ালো। ধুলিমলিন ইতিহাসের অলিতেগলিতে ঘোরাঘুরি শুরু হলো।

চলতে লাগলো দারুন এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। রোম, ইতালি, মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া – চষে বেড়ানো শুরু হলো একে একে। সিগমা ফোর্স ও ড্রাগন কোর্টের এই দ্বৈরথকে আরেকটা ভিন্ন মাত্রা দিতেই যেন যুক্ত হলো সিগমা’র চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দ্য গিল্ডের অপারেটিভ শেইচান। আধুনিক বিজ্ঞান আর প্রাচীন ইতিহাস এই কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে চললো একেবারে পাশাপাশি।

জনপ্রিয় লেখক জেমস রোলিন্সের সিগমা ফোর্স সিরিজের দ্বিতীয় বই ‘ম্যাপ অব বোনস’ এর আগের বই ‘স্যান্ডস্টর্ম’-এর মতোই দারুন উত্তেজনায় পরিপূর্ণ। খ্রিস্টীয় ইতিহাসের সাথে এই বইয়ে লেখক মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন টেকনোলজিক্যাল নানা বিষয়ের। ‘ম্যাপ অব বোনস’-এ সিগমা টিমের নাছোড়বান্দা প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখানো হয়েছে বিতর্কিত আন্ডারগ্রাউন্ড কাল্ট ড্রাগন কোর্টকে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে অসামান্য স্মার্টনেসের পরিচয় দিয়ে ড্রাগন কোর্ট সিগমা ফোর্সের চেয়ে একধাপ হলেও এগিয়ে থাকছে। তাদের এই হাড্ডাহাড্ডি টক্কর একজন থ্রিলারপ্রিয় পাঠক হিসেবে আমি দারুন উপভোগ করেছি। সেই সাথে ভালো লেগেছে র‍্যাচেল ভেরোনা ও গ্রেসন পিয়ার্সের মধ্যেকার কেমিস্ট্রি। ইতিহাসের অলিতেগলিতে বিচরণ তো এই উপন্যাসের রসাস্বাদনে হয়ে উঠেছে আরো সহায়ক।

এবার অনুবাদ সম্পর্কে কিছু বলি– রিভিউ এর প্রথমেই বলেছিলাম অনুবাদ বেশ ভালো, যেটা পুরোপুরি সত্যি। অনুবাদক হলেন ‘রবিন জামান খান’। এটি রবিন জামান খানের তৃত্বীয় অনুবাদ গ্রন্থ। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, অনুবাদকের পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে। অনুবাদ পড়তে গিয়ে আমাকে কোনো যায়গায় আটকাতে হয়নি। বেশ সাবলীল ভাবেই পড়ে গেছি।

শেষমেশ বলবো, দ্রুত বইটি পড়ে ফেলুন। এছাড়া আর কিছু বলার নাই!

 Link :-1 | Link :-2 | Link :-3

Exit mobile version