Site icon Book PDF Down.com

মায়াস্বর্গ PDF Download মোশতাক আহমেদ

মায়াস্বর্গ PDF Download মোশতাক আহমেদ

বাংলাদেশের সফল লেখকদের মধ্যে মোশতাক আহমেদ একটি উল্লেখযোগ্য নাম। তাকে চিনে না এমন পাঠক নেই বললেই চলে। তার সুখ্যাতি পুরো বাংলাদেশ জুড়ে বিস্তৃত। তার রচনা গুলো ছোট থেকে বড় সবার কাছে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে। তার লেখাগুলোতে কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার ছোঁয়া পাওয়া যায়। তার রচনার ভাষা গুলো সহজ,সরল, সাবলীল হয়। প্রাণবন্ত হয় তার বিষয়বস্তু। এজন্য পাঠকরা বেশি পছন্দ করে। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে “মায়াস্বর্গ” অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

লেখক মোশতাক আহমেদ পেশায় একজন ডিআইজি ছিলেন। রুটিনমাফিক জীবনের পাশাপাশি লেখালেখিকেউ প্রাধান্য দিয়েছেন এই লেখক। তিনি তার সমস্ত দায়িত্ব কর্ম পালনের পরে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করতেন। ছোটবেলা থেকেই তার লেখালেখির প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি। তার সফল ক্যারিয়ার বাদ দিয়ে আবার লেখালেখিতে মনোনিবেশ করতে চাই লেখক।

“মায়াস্বর্গ”মোশতাক আহমেদের একটি উল্লেখযোগ্য প্যারাসাইকোলজিক্যাল উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2020 সালে। বইটি হার্ডকভার এ রচিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশনী।

কাহিনী সংক্ষেপ

প্যারাসাইকলজিক্যাল উপন্যাস খুবই মনস্তাত্ত্বিক ধরনের হয়ে থাকে। এটি সাধারণত পাঠকদের হৃদয় স্পর্শ করে। এই ধরনের উপন্যাসের বিষয়বস্তু গুলো এতটাই মর্মস্পর্শী হয়ে থাকে যেটা খুব সহজে পাঠকদের হৃদয়কে আকৃষ্ট করে। উপন্যাসটির মূল বিষয় হলো অতি প্রিয় কাউকে খুঁজে পাওয়ার স্বপ্নস্বর্গ।

এই উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র হলো শারমিন। আজাদ আর শারমিনের ছিল সুখের সংসার। আজাদ সম্পর্কে শারমিনের স্বামী। তাদের জীবনের সব সুখ থাকলেও কিছুর কমতি ছিল। সেই কিছুটা হল তাদের কোনো সন্তান ছিল না। এই বিষয়টি নিয়ে তারা খুবই দুঃখ প্রকাশ করত। কিন্তু আজাদ মনে মনে বিশ্বাস করত আজ না হয় কাল ঠিক তাদের ঘরে সন্তান আসবে। তার সংসারে কোন দুঃখ বাসা বাঁধে পারবে না।

কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের এই সুখের সংসার যেন এলোমেলো হয়ে গেল। শারমিন হঠাৎ হঠাৎ হারিয়ে যেতে শুরু করল মায়াস্বর্গ নামক অদ্ভূত এক কাল্পনিক জগতে। সেই কাল্পনিক জগতে নাকি শারমিনের দ্বিতীয় স্বামী ছিল। অদ্ভুতভাবে সে দ্বিতীয় স্বামীর নাম ও আজাদ। আর চেহারাও হুবহু একই রকম। আর সেই কাল্পনিক জগতে তার একটি ফুটফুটে মেয়ে আছে।যার নাম নওমি।

সময় যত বাড়তে থাকে শারমিনের ওই মায়াস্বর্গের প্রতি টানও বাড়তে থাকে। এক সময় শারমিন ভুলে যেতে থাকে তার বাস্তব জগতের স্বামী ও সংসারকে। এই সবকিছু দেখে আজাদ খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ে। সে একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। ডাক্তার টির নাম হল ডাক্তার তরফদার। ডাক্তার তরফদার শারমিনের রোগটিকে প্রথমে সিজোফ্রেনিয়া ভেবেছিল। কিন্তু পরে তরফদার তদন্ত করতে করতে আসল রহস্য বের করে।

ডাক্তার তরফদার বুঝতে পারে শারমিনের এমন অনেক অজানা কাহিনী আছে যেটা বাস্তব জগতের স্বামী আজাদ অনেক কিছু জানেনা।
শারমিনের রয়েছে অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা। ক্ষমতার বলে শারমিন কাল্পনিক রাজ্যে হারিয়ে যেতে পারে। এই ক্ষমতার মাধ্যমে মানুষ দূরে থেকেও কাছের মানুষদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। সময় কাটাতে পারে অতি প্রিয় ভালোবাসার মানুষের সাথে।

পৃথিবীতে এই ক্ষমতার অধিকারী খুব অল্প সংখ্যক মানুষ হয়ে থাকে। কিন্তু শারমিনের সময় শেষের পথে চলে এসেছে। দরজায় মৃত্যু এসে কড়া নাড়ছে। শেষ পর্যন্ত ডাক্তার তরফদার কী পেয়েছিল মায়া স্বর্গের সন্ধান? আর কি বা পরিণত হয়েছিল শারমিন আজাদের সংসারে? জানতে হলে অবশ্যই বইটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

Exit mobile version