মেঘ বিষাদের গল্প PDF Download শরীফুল হাসান

বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন লেখক হলেন শরীফুল হাসান। যিনি তাঁর রচিত বিভিন্ন বিখ্যাত উপন্যাসের মাধ্যমে বেশ সমাদৃত সকলের কাছে। তার রচিত বিখ্যাত উপন্যাস গুলোর মধ্যে “মেঘ বিষাদের গল্প” অন্যতম। তিনি তাঁর রচনারগুলোর বিষয়বস্তু এমনভাবে সবার সামনে তুলে ধরেন যেন পাঠকরা নিজের চোখে বাস্তব চিত্র দেখেন। সমসাময়িক যুগে তিনি একজন স্বনামধন্য লেখক।

“মেঘ বিষাদের গল্প” শরীফুল হাসানের একটি অনন্য সমসাময়িক উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশ হয় 2017 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বইটি প্রথম প্রকাশ করেছে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 191 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য 140 টাকা।

বিখ্যাত এই বইটি এর হার্ডকপি যারা এখন পর্যন্ত নিজেদের আয়ত্তে আনতে পারেননি তাদের চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ শুধুমাত্র তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা অনেক বইয়ের পিডিএফ দিয়ে থাকি। তেমন ভাবেই এই বইয়ের ও পিডিএফ দেয়া আছে আমাদের ওয়েবসাইটে। আপনারা চাইলে খুব সহজ উপায়ে ও বিনামূল্যে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আমার মনে হয় এই বইটি না পড়লে অনেক কিছুই মিস হয়ে যাবে।

কাহিনী সংক্ষেপ

উপন্যাসটি মূলত আমাদের সবার জীবনের সাথে সম্পৃক্ত। আমাদের জীবনের কঠিন কিছু বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে এই উপন্যাস। গল্পটা শুরু হয় একটি পরিবারের হাত ধরে। যেখানে রয়েছে শাওন, বাদল ও বৃষ্টি। তাঁরা সম্পর্কের ভাইবোন। তাদের সাথে তাদের মা ও থাকে।

তাদের বাবা মারা গেছে অনেক আগে। সাধারণভাবে শাওন পরিবারের বড় ছেলে। গতানুগতিকভাবে শাওনের উচিত পরিবারের ভার নেওয়া। কিন্তু শাওন এখন তার পরিবারের ভার নিতে নারাজ। সে এখন বর্তমানে পড়াশোনা করছে। চাকরি-বাকরির ও তেমন কোন খোঁজ করে না সে। তার স্বভাব হল ঘুরে বেড়ানো। বাধ্য হয়ে শাওনের ছোট ভাই বাদলকে নিতে হয় এই বিশাল দায়িত্ব।

এদিকে রেনু, মিন্টু, রিন্টু সম্পর্কে শাওনের মামাতো ভাই বোন। এদের তিন জনের মধ্যে মিন্টু পড়াশোনায় ভালো। রেনুও অনেক ভালো। তাদের বাবার একটা বড় ব্যবসা ছিল। শাওনের সাথে তার মামা রেনুর বিয়ে ঠিক করে। শাওন রেনুকে পড়াতো। শাওন এমনিতে ছেলেটা ভালো কিন্তু কোন কাজ করতে চায় না এটাই তার খারাপ দিক।

এদিকে বাদল সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিল। সে সংসার চালানোর জন্য খারাপ দিক বেছে নেয়। এই কথা শাওন জানতো, যে তার ভাই এইসব টাকা সৎপথে উপার্জন করতো না। শাওন ভাবতো তার ভাই হয়তো ছোটখাটো কিছু অসৎ কাজ করে। কারন সে জানতো সৎপথে আয় করলে কিছুতেই তাদের সংসার চালানো যাবে না।

একদিন বাদল টাকার লোভে এমন কিছু করে ফেলে যা তার পরিবারের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আসলে মানুষ টাকার পেছনে ছুটতে গিয়ে কখন কি করে বসে সে নিজেও বুঝতে পারে না। কেউ বাদলকে বিখ্যাত রাজনীতিবিদ হায়দার আলীকে খুন করার জন্য অনেক টাকা দেয়। বাদল এইসব কাজে তেমন পারদর্শী না হওয়ায় সে ভুল করে তার ছোট্ট মেয়ে নিধিকে খুন করে ফেলে।

আমি এখানে গল্পের সামান্য কিছু অংশ তুলে ধরলাম। পুরো গল্পটা জানতে হলে অবশ্যই বইটা শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। হায়দার আলি কি বাদলকে খুঁজে পায়? শাওন কি আদৌ রেনুকে বিয়ে করতে পারে? শেষ পর্যন্ত কি হয় তাদের পরিবারের পরিণতি? এইসব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে গল্পের শেষে। তাই আপনারা একবার হলেও এই বইটা পড়ুন। কথা দিতে পারি নিরাশ হবেন না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top