Site icon Book PDF Down.com

মেঘ বলেছে যাব যাব PDF Download হুমায়ূন আহমেদ পিডিএফ ডাউনলোড

মেঘ বলেছে যাব যাব PDF Download হুমায়ূন আহমেদ পিডিএফ ডাউনলোড

মেঘ বলেছে যাব যাব PDF Download হুমায়ূন আহমেদ পিডিএফ ডাউনলোড, হুমায়ূন আহমেদ রচিত মেঘ বলেছে যাব যাব উপন্যাসটির পিডিএফ ডাউনলোড লিংক আমাদের ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হয়েছে। আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বই ডাউনলোড করতে পারবেন। প্রথমে উপন্যাসটির কাহিনী সংক্ষেপ জেনে নেওয়া যাক। পোস্টের শেষে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে হবে বইটি।

মেঘ বলেছে যাব যাব হুমায়ূন আহমেদ

“মেঘ বলেছে যাব যাব “হুমায়ূন আহমেদের অসাধারন একটি উপন্যাস। অবশর প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশিত হয়। বইটির মুদ্রিত মূল্য 400 টাকা। আপনি যদি যুবক হন তাহলে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হাসানের সাথে আপনার অনেকটাই মিলে যেতে পারে।

উপন্যাসটি মধ্যবিত্তদের জীবনব্যবস্থা, টানপোড়েন, পাওয়া, না পাওয়া, প্রেম-ভালোবাসা, হতাশা, ব্যর্থতা ইত্যাদির উপর করে লেখা হয়েছে।

গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হাসানুজ্জামান হাসান একজন গ্র্যাজুয়েট কমপ্লিট করা বেকার যুবক। আসলে তাকে বেকার বললে ঠিক হবে না। সপ্তাহে একদিন শিল্পপতি হিমাশউদ্দীনের কাছে তার জীবনী লিখে এক ঘণ্টায় 600 টাকা বিনিময় এর কাজ করেন।

মেঘ বলেছে যাব যাব রিভিউ

অর্থাৎ এক মিনিট 10 টাকা। কিন্তু কখনোই তার এক ঘণ্টা লেখা হয়না। একজন সৎ মানুষ হিসেবে সে তার বন্ধু মহলে খুবই ভালো মানুষ। টিউশনি করে এবং সে তার ভাইয়ের সংসারে বাস করে।

বাবা একজন রিটায়ার্ড অফিসার। বাবা-মায়ের প্রায় ঝগড়া লেগে থাকে এবং বাবা-মা আলাদা থাকেন। কিন্তু পরিবারের উল্লেখযোগ্য চরিত্র রিনা ভাবি সবকিছু ম্যানেজ করেন। গল্প এগিয়ে যায় গল্পের মত। হাসান তিতলিকে নিয়ে তার প্রেমকালীন জীবন খুব ভালো কাটাই।

তবে বর্তমান সমাজের আর দশটা প্রেমিক এর মত হাসান নয় ।সে তার ভালোবাসার ব্যাপারে খুবই নিষ্ঠাবান এবং সৎ।প্রথমদিকে হাসানের পরিবার এবং তিতলির পরিবার অর্থাৎ দুই পরিবারই তাদের সম্পর্কটা এক রকম ভাবে মেনে নিয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে তিতলির বাবা যখন ভাল একটি পাত্রের সন্ধান পান যেখানে তার মেয়ের জীবনটা নিশ্চিত তখন তিনি তার মেয়েকে সেখানে বিয়ে দিয়ে দেন।

মেঘ বলেছে যাব যাব উপন্যাস

আসলে তিতলিও মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা মেয়ে।তার বাবা চাইনা তার মেয়েটার জীবন এরকম একটি বেকার ছেলের হাতে যেন না পড়ে তাই সবদিক বিবেচনা করে তার বাবা তাকে বিয়ে দেয় একটি ইউনিভার্সিটি টিচার এর সাথে। কিন্তু হাসানের প্রেম ভালোবাসা টা আস্তে আস্তে মারা যায়।

নিজের যে একটি চাকরি নেই সেজন্য হিমাশ উদ্দিন সাহেবকে সে কখনো বলতে পারেনি। তার বন্ধু লিটনের প্রয়োজনে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় হিমাশউদ্দিন এর বদৌলতে।এদিকে পরিবারের বড় ভাই তারেক অফিসের এক কলিগ লাবনীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

তারেকের পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার ছায়া। তারেকের সুখের সংসার ভেঙে পড়তে থাকে যখন রিনা খোঁজ পায় যে তারেক একটি সম্পর্কে লিপ্ত।রিনা তারেককে স্বীকার করায় যে তারে কিরকম ধরনের কাজ করেছে এবং এক পর্যায়ে রিনা তার সংসার ছেড়ে চলে গিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয় এবং লাস্টে একটি চাকরি জোগাড় করে।

মেঘ বলেছে যাব যাব উক্তি

হাসানের ছোট ভাই রকিব কলেজ রাজনীতিতে এবং সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়ে ফলে তার বন্ধুদের সাথে বিবাদ বাধে এবং তার বন্ধু কর্তৃক হত্যা করা হয়।

এ যেন সুখের সংসারে তাদের গোদের ওপর বিষফোঁড়া। হাসান এর মাধ্যমে তা ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং হাসান আস্তে আস্তে অসুস্থতার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। একসময় পরীক্ষা করা হয় হাসান ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। বিদেশে গিয়ে উন্নত মানের অস্ত্রোপচার ছাড়া হাসান কে বাঁচানো সম্ভব নয় ।

কিন্তু হাসানের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে বিদেশে যাওয়ার আর্থিক সক্ষমতা রাখে না বলে হাসানকে দেশে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়।হাসানের পরিবারে আরো যেন সুখের ছোয়ায় নামতে থাকে হাসানের ভাই বিভিন্ন চেষ্টা তদবির করেও হাসানের চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারে না।

অবশ্য অতীতে হিমাশউদ্দিন সাহেবের মেয়ে চিত্রলেখার সাথে তার পরিচয় ঘটেছিল ।এখানে চিত্রলেখার সাথে আমরা হয়তো ভাবতে পারি যে হাসানের একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে কিন্তু চিত্রলেখা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং কঠোর চরিত্র যে বাস্তব জীবনে কারো কাছে পরাজয় মাথা পেতে নিতে জানে না যে শিক্ষা সে তার পিতার কাছ থেকে পেয়েছিল।

চিত্রলেখা যখন এগিয়ে আসে তখন হাসান নীরবতা শেষ পর্যায়ে তাকে চলে যেতে হচ্ছে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে। রিনা ভাবি চাকরি পেয়ে আরো উন্নতি লাভ করতে থাকে। উপন্যাসটিতে সেই সংসারে রিনা ভাবির অভাব বড়ই ব্যথাদায়ক।

প্রত্যেকটি পাঠক ভাববে রিনা ভাবি তার সংসার আগের মত ফিরে আসুক এবং সংসারটি আগের মত প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠুক। গল্প এগিয়ে চলে গল্পের মত। তিতলি প্রথমদিকে তার বিয়ের স্বামীকে পছন্দ না করলেও পরবর্তীতে বিদেশে গিয়ে একটি মেঘ তাদেরকে একত্রিত করে দেয়। তাদের দুটি দেহ একত্রিত হয়ে যায়।

কিন্তু……বাস্তব কখনো গল্পের মত হয়না। বাস্তবেরই রিনা ফিরে আসেনা ।বাস্তবের হাসানদের সঙ্গে কখনো বুড়ি গঙ্গার জলের ওপর চিত্রলেখার দেখা হয় না।

মেঘ বলেছে যাব যাব PDF

তবে বাস্তবে সুন্দর সুন্দর কিছু ব্যাপার ঘটে যেমন হাসানের বন্ধু লিটনের ফুটফুটে একটা মেয়ে হয় এবং তার বন্ধু হাসানের পাঠানো দুটি নাম থেকে একটি নাম তার মেয়ের জন্য রাখে।

নামের কোনটাই তার পছন্দ না- তিতলি ,চিত্রলেখা তারপরে সেই বন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মেয়ের নাম রাখল চিত্রলেখা ।জীবন বয়ে চলবে। আবার এক নতুন গল্প শুরু হবে নতুন চিত্রলেখা কে নিয়ে কোনো এক লেখকের লিখবেন নতুন গল্প।

আশা ও আনন্দের অপূর্ব কোন সংগীত।
আপনি যদি আবেগপ্রবণ পাঠক হন তাহলে আপনাকে উপন্যাসটি কাঁদাতে বাধ্য করবে। বই পড়ুন ,বই প্রিয়জনকে উপহার দিন। হ্যাপি রিডিং।

মেঘ বলেছে যাব যাব পিডিএফ ডাউনলোড

এই বইটির পিডিএফ ফাইল আমাদের ওয়েবসাইটে পাবেন। চাইলেই আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন। নিচে প্রদত্ত লিংকে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করুন।

আমাদের ওয়েবসাইট এর আয়োজন আপনার কেমন লেগেছে তা মন্তব্যে জানান। আপনার প্রিয়জনের সাথে আমাদের ওয়েবসাইটটি শেয়ার করুন। এখানে সকল ধরনের বই পাওয়া যায়।

Exit mobile version