ইংরেজি সাহিত্যে অতি পরিচিত নাম হল হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। তিনি যেমন ইংরেজি সাহিত্যে সুনাম অর্জন করেছেন তেমনি বাংলা সাহিত্যেও তার প্রভাব অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায়। তার রচিত সবগুলো উপন্যাসই পাঠকদের কাছে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তিনি তার লেখার দক্ষ কৌশলের জন্য অল্প সময়ের মধ্যেই অনেকটা প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছেন পাঠকদের কাছে। তার লেখা জনপ্রিয় একটি উপন্যাস হলো “মেরি”। অন্যান্য উপন্যাসের মতো এটিও সবার কাছে অধিক জনপ্রিয়। হেনরি রাইডার তার লেখায় সব সময় এমন কিছু জিনিস ব্যবহার করেন যেটা তার লেখার দক্ষতার পরিচয় দেয়।
হেনরি রাইডারকে ইংরেজি সাহিত্যের জনপ্রিয় লেখকদের মধ্যে একজন হিসেবে ধরা হয়। তিনি ইতিহাসে সেরা রোমাঞ্চকর ও দুঃসাহসিক গল্পের স্রষ্টা। তার লেখাগুলোতে আমরা একসাথে অ্যাডভেঞ্চার, রোমান্স, থ্রিলার পাওয়া যায়। তিনি কর্মসূত্রে আফ্রিকা তে থাকাকালীন ওখানকার নিয়ম নীতি ও অনেক জ্ঞান সঞ্চয় করে। সেকেনান জণ কে সেই জ্ঞানার্জন করে এবং সেটা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তার লেখনীর মাধ্যমে। লেখক এর এমন অনেক গল্প আছে যেটা পাঠকদের কাছে বরাবরই প্রিয়।
“মেরি”হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর একটি অনুবাদ উপন্যাস। বাংলায় বইটির অনুবাদ করেছে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম লেখক সায়েম সোলায়মান। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2012 সালে। বইটি প্রকাশ করে সেবা প্রকাশনী। বইটি হার্ডকভার এ ছাপা হয়েছে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 527 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 160 টাকা। আপনারা যারা এই বইটি পড়তে চান শুধুমাত্র তাদের ভালোর জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এই বইয়ের লিংক দেয়া হয়েছে। চাইলে ওখান থেকে ডাউনলোড দিয়ে পড়তে পারবেন।
কাহিনী সংক্ষেপ
আমি এখানে উপন্যাসটির সংক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা তুলে ধরব। বাকিটুকু জানতে হলে বইটি পড়ে দেখতে হবে। আমার ব্যক্তিগত মতামত হল এই বইটি একটি ভিন্নধর্মী বই,যেটা পড়ে কিছুক্ষণের জন্য পাঠক নিজের জগৎ থেকে বইয়ের জগতে চলে যেতে বাধ্য হবে।
লেখক তার অন্যান্য উপন্যাস এর মতই এই উপন্যাসে হিরো হিসেবে রেখেছেন কোয়াটারমেইন কে। এই লেখক এর উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হলো এটি। এই উপন্যাসটিতে কোয়াটারমেইন তার অতীতের স্মৃতি গুলোকে জাগরিত করছিল। কোয়াটারমেইন তার ছোটবেলা থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত সব কিছু তুলে ধরেছেন এখানে। তার কৈশোরের গল্প, প্রথম প্রেমের কাহিনী, রাতের আকাশে তাকিয়ে তাকিয়ে তারার ভিড়ে কাউকে মনে করা। কিশোর জীবনে কোয়াটারমেইন একটা মেয়েকে অনেক পছন্দ করত। আর সেই মেয়েটির হলো মেরি।
হঠাৎ করে কোয়াটারমেইন একটি ছায়াকে দেখতে পায় স্যার সেটাই হলো মেরি ম্যারাইস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেরির সাথে কোন সম্পর্কে জড়াতে পারেন না কোয়াটারমেইন। মেরি কে হিরো পছন্দ করে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা দুজন এক হতে পারেনা এইজন্য তার মনে সব সময় মেরির ছবি ভেসে ওঠে। পাঠকদের কাছে আমার প্রশ্ন হল কে এই মেরি? কি ওর পরিচয়? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে গেলে বইটি অবশ্যই আপনাদের পড়তে হবে।
এই উপন্যাসটিতে মূলত কেপকলোনিদের সংঘাতময় ইতিহাস ও ইংরেজ আর আফ্রিকার আদিবাসীদের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির মাঝে জন্ম নেয়া এক পবিত্র প্রেমের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। উপন্যাসটিতে লেখক অনেক দার্শনিক কথাবার্তা বর্ণনা করেছেন যেটা পাঠকদের বাস্তব জীবনের পথ চলার ক্ষেত্রে অনেকটাই কার্যকর হবে।তাই বলব এই উপন্যাসটি কেউ মিস করবেন না। একবার হলেও পড়ে দেখুন।