মিসির আলি Unsolved PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

হুমায়ূন আহমেদ হলেন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক। তাঁর রচিত বিখ্যাত একটি চরিত্র হল মিসির আলি। মিসির আলি সিরিজের অন্যতম একটি বই হল ‘ মিসির আলি unsolved ‘। মিসির আলি সিরিজের ৫ম বই এটি। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯২ সালে। অসাধারণ এই বইটির প্রকাশক সময় প্রকাশনী। বইটির অনলাইন পিডিএফ সাইজ ৮ এমবি। বইটির মোট পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৯৮টি। বইটির বাংলাদেশী মূল্যঃ ১৬০ টাকা।

‘মিসির আলি unsolved’ একটি সমকালীন উপন্যাস। বইটির নাম দেখলেই বোঝা যায় সম্পূর্ণ রহস্যে পরিপূর্ণ একটি বই। অসাধারণ কাহিনী নিয়ে রচিত রোমাঞ্চকর এই বইটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। যাঁরা বইটি এখনো পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে ফেলুন। বইটি পড়লেই বোঝা যাবে এটি পাঠক মনে কতটা আনন্দের খোরাক যোগাবে।

হুমায়ূন আহমেদ এর মিসির আলি আনসলভ্‌ড উপন্যাসের মূল কাহিনী

উপন্যাসের সূচনা হয়েছে ওসমান গনি নামক একজন লোকের মাধ্যমে। তিনি একজন বিশিষ্ট বেহালা বাদক ও শিল্পপতি। তার বয়স প্রায় পঞ্চাশের কাছাকাছি হবে। তার তিনটি দাঁত সোনা দিয়ে বাঁধাই করা এবং হাতে তিনটি আংটি রয়েছে। আজকের এই ভালো অবস্থানে আসতে তার অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। তিনি যখন বিয়ে করেছিলেন তখন তার বয়স ছিল একুশ আর তার স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র পনেরো বছর। তখন তার অনেক খারাপ সময় গেছে।

হাতে টাকা পয়সা ছিল না, অন্যের বাড়িতে আশ্রিত ছিলেন। নানা দুঃখ আর কষ্টের মাঝে জীবন অতিবাহিত করেছেন। তার মধ্যে তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এই দুঃখ কষ্টের মধ্যে সন্তান পৃথিবীতে নিয়ে এসে মানুষ করবেন কীভাবে। সেই চিন্তায় তারা সন্তান নষ্ট করে দেয়। ফলে তার স্ত্রীর সন্তান ধারণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। পরে একসময় অর্থকষ্ট দূর হলেও সন্তানের অভাব পূরণ হয়না আর কখনই।

সন্তানের অভাব পূরণ করার জন্য তারা একটি ছেলে দত্তক নিল। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ছেলে দত্তক নেওয়ার পর আবার ওসমানের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লো। একটি ফুটফুটে মেয়ে শিশুর জন্ম দিল তার স্ত্রী। তখন ওই বাড়িতে দুটো বাচ্চা একসাথে বড়ো হতে লাগলো। কিন্তু ওসমান সাহেবের স্ত্রী ছেলেটিকে আর সহ্যই করতে পারেন না। সব স্নেহ যেনো তার মেয়ের উপর। কারণে অকারণে তিনি ছেলেটিকে শাস্তি দিতেন। বাথরুমে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিতেন। তেমনি একদিন শাস্তি দিয়েছিলেন আর সেই রাতে প্রচন্ড বৃষ্টি ছিল।

বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ করেই বাসার পেছনের গাছটা ভেঙে পড়লো বাড়ির উপর। এইসব বিরাট বিশৃঙ্খলার মধ্যে সবাই ছেলেটির কথা ভুলে গেল। পরদিন সকালে বাথরুমের দরজা খুলে দেখা গেল ভেতরে সে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। সে ভেতরে হার্টফেল করে মারা গেছে। এই ঘটনার পর ওসমান গনি মিসির আলির কাছে আসেন। তাকে বলেন তিনি নাকি ভুত দেখতে পান আর তারা নাকি তাকে পানির কাছে যেতে নিষেধ করে।

তার মৃত্যু নাকি পানিতে পড়ে হবে। এর ঠিক নয় বছর পর তার স্ত্রী বাথরুমে গোসল করতে গিয়ে মারা যায়। তার কয়েক বছর পর ওসমান গনিও বাথরুমেই মারা যান। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো তিনজনের মৃত্যুই বাথরুমে হয়। আর মিসির আলি সেই মৃত্যুর রহস্য খুঁজে বের করেন। কী সেই রহস্য? জানতে হলে পড়তে হবে হুমায়ূন আহমেদের ‘ মিসির আলি unsolved ‘।

মিসির আলি Unsolved PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top