Site icon Book PDF Down.com

নিশাচর PDF Download বাপ্পী খান

নিশাচর PDF Download বাপ্পী খান

বাংলাদেশের বর্তমান সময়ে একজন জনপ্রিয় লেখক হল বাপ্পী খান। তিনি যদিও এই পেশায় নতুন তারপরেও খুব তাড়াতাড়ি পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন। তিনি মূলত বই লেখা শুরু করেছেন খুবই অল্প কয়েকদিন হল। তিনি আসলে বই পড়তে অনেক ভালোবাসেন আর সেই ভালোলাগা থেকেই বই লিখতে শুরু করেন। কার রচিত নভেলা অনেক পরিচিত সবার কাছে। তেমনি এক জনপ্রিয় উপন্যাস হলো “নিশাচর”।

“নিশাচর”বাপ্পী খানের একটি জনপ্রিয় সমকালীন উপন্যাস। এটি তার দ্বিতীয় নভেলা। বইটি প্রথম প্রকাশ করে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটি 2017 সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি হার্ডকভারে ছাপা রয়েছে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 111 টি। বর্তমান বাজারে মূল্য 98 টাকা। অসাধারণ এই বইটির হার্ডকপি যারা এখনো সংগ্রহ করতে পারেননি তারা আর দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে পড়ে ফেলুন।

কাহিনী সংক্ষেপ

লেখক মূলত বইটি উৎসর্গ করেছে হলি আর্টিজান হামলায় নিহত 22 জন মানুষকে। লেখক এই উপন্যাসে বিষয়বস্তুকে অনেক সহজ ভাবে পাঠকদের সামনে তুলে ধরেছেন। উপন্যাসটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটি লাইনে অনেক সাসপেন্স লুকিয়ে ছিল। এককথায় বইটি কেউ অর্ধেক পড়ে রেখে দিতে পারবে না পুরোটা শেষ করতে হবে।

একটি বিল্ডিং এর চার তলায় একটা অন্ধকার ঘরে বসে আছে সিকান্দার সাহেব। কিছুদিন আগে তার এক ভয়াবহ পরিকল্পনায় ঢাকা শহরে একটি মারাত্মক ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। সিকান্দার সাহেবের পরিকল্পনায় ঢাকা শহরের অভিজাত রেস্টুরেন্টে 22 জন মানুষের নিরীহ প্রাণ চলে গিয়েছে। আবার হয়তো সে এইরকমই কোন পরিকল্পনা করছেন যেটা তার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তার মুখে কোথাও যেন একটা হাসি লুকিয়ে ছিলো যার মধ্যে ছিল ভয়াবহ পৈশাচিকতা।

এই থেকে নাফিস নামের একটা ছেলের জীবনে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। একদিন রাতের আধারে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যে যাচ্ছিল নাফিস। নাফিস মনে করে অন্ধকার তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কারণ তার জীবনে শুধু এখন হতাশা আর হতাশা। ছোটবেলায় নাফিসের মা-বাবা আলাদা হয়ে যায়। সেই থেকে নাফিস সম্পর্কগুলোকে নিয়ে খুব ভয়ে থাকে।

আবার ঠিক সেরকমই একটা ঘটনা ঘটল তার সাথে। নাফিসের সবথেকে কাছের ও ভালবাসার মানুষটির অন্য একজনের সাথে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এদিকে ধানমন্ডি থানার ওসি এমদাদুল হাসান বাংলা নতুন বছর উদযাপন নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে আছেন।

হঠাৎ করেই ডিসি অফিস থেকে ফোন আসে এবং জানায় আজ রাতে কোন একটা নাশকতামূলক ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য সবাইকে তৎপর থাকতে হবে। ঢাকা শহরে রাতের আধারে এমন অনেক মানুষ ঘুরে বেড়ায় তাদের প্রত্যেকটি গল্প একই সুতোয় বাঁধা।

নাফিস যখন মৃত্যুর আগে শেষ ছবি তুলতে চায় তখন লক্ষ্য করে মারাত্মক কিছু প্রমাণ নিয়ে শিকারে বের হয়েছে গানিউল। এক ট্রাফিক পুলিশকে খুন করতে গিয়েও খুন করতে পারে না সন্ত্রাসীরা। এই কেসের এর তদন্ত করতে করতে এমন অনেক কিছু রহস্য ফাঁস হয় যার জন্য পুলিশ ডিপার্টমেন্ট প্রস্তুত ছিল না। নাফিসকে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করবে? পুলিশ ডিপার্টমেন্ট কি গানিউলকে আটকাতে পারবে তার ভয়ঙ্কর হাতের থাবা থেকে? কোন ভয়ঙ্কর নাশকতার শিকার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

যারা অ্যাডভেঞ্চার মুলক বই পড়তে পছন্দ করেন,তারা আর দেরি না করে বইটি পড়ে ফেলুন। আশাকরি অনেক ভালো লাগবে।

Exit mobile version