অমর মানব মোশতাক আহমেদ pdf download

বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে এক পরিচিত নাম হল মোশতাক আহমেদ। বাংলাদেশের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার পেছনে তার অবদান অনস্বীকার্য। সে তার প্রতিভা দিয়ে খুব সহজে পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি। কিন্তু বরাবরই লেখার প্রতি আগ্রহ তার অনেক আগে থেকেই। তিনি সবচেয়ে বেশি সাইন্স ফিকশন বই গুলো লিখেছেন। বাংলা সাইন্স ফিকশন জগতের তার নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। তার বিভিন্ন সাইন্স ফিকশনের মধ্যে “অমর মানব”এটি একটি অন্যতম বই।

মোশতাক আহমেদকে সাহিত্যাঙ্গনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ধরা হয়। তিনি সাইন্স ফিকশন এর পাশাপাশি অন্যান্য অনেক বই লিখেছেন। এগুলোর মধ্যে ভৌতিক, মুক্তিযুদ্ধ, কিশোর ক্লাসিক ও ভ্রমণকাহিনী নিয়ে অনেক উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি একটি বিষয়ের উপর সীমাবদ্ধ না থেকে অনেক বিষয়ের উপর লেখালেখি করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত ও অভিজ্ঞ লেখক।

“অমর মানব” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন। বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2018 সালে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন নজরুল ইসলাম। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 192 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 225 টাকা।

 

কাহিনী সংক্ষেপ:

 

লেখক মোশতাক আহমেদ বিভিন্ন ধরনের বই লিখলেও বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে সাইন্স ফিকশন উপন্যাস গুলো রচনার মাধ্যমে। তিনি খুব তাড়াতাড়ি পাঠকদের কাছে খুব সহজে সমাদৃত হয়েছেন। সব বয়সের অনায়াসে পড়তে পারে।

এক গোপন গবেষণায় প্রফেসর কিম নিসিলিন আবিষ্কার করেন। নিসিলিনের কাজ হলো মানুষের বয়স কমিয়ে 25,30 স্থির করা। মানুষকে অমর করে তোলা। শিম্পাঞ্জির ওপর নিশিলিন প্রয়োগে চমৎকার ফল পান প্রফেসর কিম। এরপর তিনি এই নিজের শরীরে প্রয়োগ করেন নিসিলিন। ধীরে ধীরে তার বয়স কমতে থাকে। হঠাৎ করে তার বয়স 50, 40,30 কমতেই থাকে।

অনেকদিন পর তিনি বুঝতে পারেন নিসিলিন মানুষকে অমর করতে পারলেও একদিন মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করে ফেলবে। তাই পরিমনি সিদ্ধান্ত নেয় যে নিসিলিন আর তৈরি করবেন না। আমরা সবাই জানি ভালো খবর বেশিক্ষণ আটকে থাকে না।‌ তার এই গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান জেনে গেছে নিসিলিনের সাফল্যের কথা। ওই প্রতিষঠান ইসান নামক এক ভয়ংকর মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে চাপ দিতে থাকে প্রফেসর কিমকে নিসিলিনের ফর্মূলা দেয়ার জন্য।

কিন্তু প্রফেসর কিম এই প্রস্তাবে রাজি হন না। নিজেকে আড়াল করার জন্য প্রফেসর পালিয়ে বেড়াতে থাকেন শহরের মধ্যে। ইসান ও ছাড়ার পাত্র নয়। অনেক উপায় অবলম্বন করে কিম পালিয়ে বেড়াতে পারলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন। কিম আটকে পড়ে ইসানের জালে। তাকে এখন নিসিলিনের ফর্মূলা দিতেই হবে নাহলে নিশ্চিত মৃত্যুকে বরন করে নিতে হবে। শুরু হয় প্রফেসর কিমের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।

মুক্তির জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে কিম। অবশেষে অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিসিলিনের ফর্মূলা দেয়ার জন্য রাজি হয়ে যায় কিম।

শেষ পর্যন্ত কী কিম কে বাঁচানোর জন্য কেউ এসেছিল? নিসিলিন কী সত্যিই ধংস করে ফেলবে মাধব সভ্যতাকে? পৃথীবির মানুষরা কী সত্যিই অমরত্ব লাভ করেছিল? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই আপনাদের পুরো বইটা পড়তে হবে। তাই আর দেরি না করে রহস্যময় এই উপন্যাসটি এখনি পড়ে ফেলুন। উপন্যাসটিতে রয়েছে টানটান উত্তেজনা। আশা করি অনেক ভাল লাগবে পড়তে এই উপন্যাসটি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top