Site icon Book PDF Down.com

অসমাপ্ত আত্মজীবনী PDF Download শেখ মুজিবুর রহমান

আপনি কি শেখ মুজিবুর রহমান রচিত অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটির পিডিএফ ভার্সন খুঁজছেন? তাহলে জনপ্রিয় বইটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন। আমরা সকল ধরনের বই আমাদের ওয়েবসাইটে পিডিএফ ভার্সন হিসেবে প্রকাশ করে থাকি।

বইটা সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জানার জন্য সম্পূর্ণ লেখা টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এবং সবশেষে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করে নেন। প্রথমে বইটা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেয়া যাক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী বুক রিভিউ

“অসমাপ্ত আত্মজীবনী” বইটির লেখক স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান। বইটির প্রথম প্রকাশকাল জুন, ২০১২ সাল। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সমর মজুমদার। বইটির প্রকাশনা সংস্থা ইউনিভার্সিটি প্রেস।

বইটির কভারের ঠিক পরেই পরিচিতি মূলক একটি অংশ আছে যা পাঠককে বইটির স্বরূপ বুঝতে সাহায্য করবে। তার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
“২০০৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা আকস্মিকভাবে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার হস্তগত হয়। খাতাগুলি অতি পুরানো, পাতাগুলি জীর্ণপ্রায় এবং লেখা প্রায়শ অস্পষ্ট। মূল্যবান সেই খাতাগুলি পাঠ করে জানা গেল এটি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, যা তিনি ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে অভ্যন্তরীণ অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি।”
বইটির ভূমিকায় তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: ” তিনি (বঙ্গবন্ধু) কখনো আপোষ করেন নাই।ফাঁসির দড়িকেও ভয় করেন নাই। তাঁর জীবনে জনগণই ছিলো অন্তঃপ্রাণ।” বঙ্গবন্ধু জেলখানায় অবস্থান কালে তাঁর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা বলেছিলেন: “বসেই তো আছো,লেখ তোমার জীবনের কাহিনী।” আজ তাঁর সহধর্মিণীর এই অনুপ্রেরণার জন্যই আমরা পেয়েছি একটি বই, যা শুধুমাত্র একটি বই নয়,বরং বাংলাদেশ ও দেশবাসীর সংগ্রাম ও স্বাধীনতার দলিলপত্র।

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ শুধুমাত্র একটি আত্মজীবনী মূলক বই নয়, এর বহুমাত্রিকতা আছে। বইটিতে যেমন ১৯৩৮/৩৯ সাল থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত সমসাময়িক রাজনৈতিক, বিশেষত পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক চিত্র ফুটে উঠেছে; ঠিক তেমনি একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে বাংলার মানুষের মুক্তির দিশারী হয়ে উঠলেন তাও বর্ণিত হয়েছে। বইটিকে আবার ব্যক্তিগত ডায়েরি ভাবলে ভুল হবে। বইটি পড়লে মনে হয় যেন লেখকের মুখ থেকে তার স্মৃতির বর্ণনা শুনছি, যা খুবই প্রাণোচ্ছল।

বইয়ের মূল অংশে গেলে প্রথমেই পাঠক লক্ষ্য করবেন লেখক তাঁর আত্মজীবনী লেখার কারণ উল্লেখ করেছেন যে, বিশেষ করে তাঁর সহধর্মিণী, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের অনুপ্রেরণায় তিনি আত্মজীবনী লেখনে মনোনিবেশ করেন।

তারপরের অংশেই পাঠক লক্ষ্য করবেন বঙ্গবন্ধু তাঁর পরিবার, আত্মীয়স্বজনের পরিচয় মূলক একটি অংশ তুলে ধরেছেন। যেখানে আমরা পরিচয় পাবো হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর, এ যেন নতুন এক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের গুরু।বইয়ের প্রত্যেকটি অংশেই বঙ্গবন্ধু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনে তাঁর প্রভাব যে কত বেশি তা এই বই পাঠ করলেই দিনের আলোর মত স্পষ্ট হয়ে উঠে। গুরুর প্রতি যথেষ্টই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন লেখক তাঁর জীবনীতে।

নিজের বংশের পরিচয় দিতে গিয়ে লেখক খুবই স্পষ্ট ও পরিস্ফুটিত ধারনা দিয়েছেন। মধুমতীর তীরে তাঁর পূর্বপুরুষেরা বসতি গড়েছিলেন। তিনি সেই ইতিহাস বর্ণনা করেছেন। খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ, শৈশবের দুরন্তপনা সবই তিনি ব্যক্ত করেছেন অবলীলায়। ১৯৩৮ সালে তার প্রথম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে সাক্ষাতের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গোপালগঞ্জ গেলে সেখানেই তাদের সাথে লেখকের পরিচয় হয় এ বিষয়টিও তুলে ধরেন।

তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু ও পথচলা বর্ণিত হয়েছে বইটিতে। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রত্যক্ষ সাক্ষী বলা যেতে পারে বইটিকে। মুসলিম লীগের পাকিস্তানকে ভারতবর্ষ থেকে পৃথকীকরণকে তিনি সমর্থন করলেও তিনি আলী জিন্নাহকে তাঁর এবং পূর্ব বাংলার নেতা মনে করতেন না। তাঁর নেতা ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাই বলে আলী জিন্নাহকে তিনি অসম্মান করেননি। আলী জিন্নাহকে তিনি যথেষ্ট সম্মান দেখিয়েছেন।

বইটিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনের অনেক ঘটনা ও বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ সফর স্থান পেয়েছে যেগুলো এই স্বল্প পরিসরে ব্যাখ্যা করা সম্ভবপর নয়। এ বিষয়গুলোর তাৎপর্য, সম্পূর্ণ ঘটনা ও ধারাবাহিকতা জানতে হলে বইটি পাঠ করা ছাড়া অন্য কোন পথ নেই।

বঙ্গবন্ধু একজন অসাধারণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি নিজেকে একজন লেখক বা সাহিত্যিক হিসেবে কোথাও আত্মপ্রকাশ করেননি।
কিন্তু, তাঁর দুটি বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ যে অনবদ্য সাহিত্যেকর্ম
তাতে সন্দেহ নেই। লেখক হিসেবে তাঁর মান এই দুই কর্মের মধ্য দিয়েই পরিস্ফুটিত হয়েছে। কোনো অতিরঞ্জিত করার প্রয়াস নেই, সুস্পষ্ট উপস্থাপন, সঠিক শব্দ চয়ন এসব মিলিয়ে বইটি শুধু ইতিহাস নয়, সাহিত্যকর্ম হিসেবেও অসাধারণ।

অসমাপ্ত আত্মজীবনী পিডিএফ ডাউনলোড

নিচের দেওয়া লিংকে ক্লিক করে ব্যাপক জনপ্রিয় বইটি ডাউনলোড করে নিন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে জানুন। এতে তার শিশুকাল থেকে শুরু করে সারা জীবনের অনেক তথ্য যুক্ত করা হয়েছে।
বইটি আপনি বিভিন্ন লাইব্রেরীতে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরীতে পাবেন। সেখান থেকেও হার্ড কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। যেকোনো বই প্রিন্ট কপি পড়ার মজাই আলাদা। কারণ নতুন বইয়ের এক ধরনের সুগন্ধি থাকে যা বইপ্রেমীদের মাতাল করে দেয়।

আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্টে জানাতে পারেন। এছাড়া আপনি আর কোন বই পড়তে চান তার জানিয়ে কমেন্ট করলে আমরা তা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করব।

আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং অন্যকে বই পড়তে উৎসাহিত করুন।

Exit mobile version