Site icon Book PDF Down.com

অস্পৃশ্যতা PDF Download নজরুল ইসলাম

অস্পৃশ্যতা PDF Download নজরুল ইসলাম

বাংলাদেশের বর্তমান যুগে এক উল্লেখযোগ্য নাম হল নজরুল ইসলাম। লেখক হিসেবে নজরুল ইসলাম সমাদৃত বাংলাদেশের পাঠকদের কাছে। তিনি তার থ্রিলার উপন্যাস এর জন্য বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। তাঁর উপন্যাসে তিনি বিষয়বস্তুকে এমনভাবে উপস্থাপন করেন যেন পাঠকরা নিজের চোখে সেটা ভিজুয়ালাইজ করতে পারে। এছাড়াও তিনি তাঁর উপন্যাসে সুন্দর ও সাবলীল ভাষা এবং সর্ববোধগম্য প্লট ব্যবহার করেন। অন্যান্য উপন্যাস এর মতই “অস্পৃশ্যতা” তার একটি অসাধারণ উপন্যাস। খুব তাড়াতাড়ি পাঠকদের মন জয় করে নেন এই উপন্যাস।

“অস্পৃশ্যতা” জনপ্রিয় লেখক নজরুল ইসলামের একটি থ্রিলার উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2018 সালে। বইটি হার্ডকভার এ ছাপা হয়েছে। ‌বইটি প্রকাশ করেছে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 255 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 196 টাকা। যারা এই অসাধারণ বইটির হার্ডকপি এখনো সংগ্রহ করে উঠতে পারেননি শুধুমাত্র তাদের জন্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এই বইটির একটি লিংক দিয়ে দিয়েছি। আপনারা সেখানে গিয়ে বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে পড়ে নিতে পারবেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

এই উপন্যাসটি লেখক মূলত মার্ডার মিস্ট্রি নিয়ে লিখেছেন। এই উপন্যাসটি কে সাসপেন্স থ্রিলারও বলা যেতে পারে। এই উপন্যাসে পাঠকরা প্রত্যেকটি পাতায় পাতায় সাসপেন্স বা টুইস্ট খুঁজে পাবে। কেউ যদি বইটা নিয়ে একবার বসে তারপর লাস্ট পর্যন্ত না পড়ে এটি ছাড়তে পারবে না। কারণ লেখ কেমন ভাবে গল্পটি সবার সামনে উপস্থাপন করেছে যেটা পাঠকদের পড়ার আগ্রহ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেবে। আমি এখানে উপন্যাসটির সামান্য কিছু অংশ তুলে ধরব। বাকিটুকু আপনাদের লাস্ট পর্যন্ত পড়ে জানতে হবে।

হঠাৎ একদিন সিলিং এর সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল জামাল আহমেদের লাশ। জামাল সাহেব লোক হিসেবে তেমন ভালো ছিলেন না। তিনি জুয়া ও অবৈধ উপায়ে টাকা ইনকাম করতেন। এই খুনের তদন্ত চলছিল বেশ তোরজোর করেই। সবাই বলছিল এটি নাকি আত্মহত্যা কিন্তু তরুণ সাব ইন্সপেক্টর ফাইয়াজ আহমেদ সেটি মানতে নারাজ।

এই খুনটির তদন্ত করতে করতে ফাইয়াজ এমন কিছু সত্যের মুখোমুখি হয় যেটার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। তদন্তে জানা যায় জামাল সাহেবের স্ত্রী আফসানা আক্তার তার স্বামীর হত্যাকারীকে প্রতি মাসে টাকা পাঠাতে পাঠাতেন। এদিকে হোমিসাইডর ডিপার্টমেন্টের ডিটেকটিভ ফারুক আব্দুল্লাহ ডিটেকটিভ চিফ হওয়ার বদলে অবসরে আছেন সেই সময়ে।

আর দশ বছর আগে ধামাচাপা পড়ে যাওয়া এক হত্যার তদন্ত ফারুককে অপরাধবোধে আষ্টেপৃষ্ঠে খাচ্ছে। তবে এসব কথা বাদ দিয়ে ফারুক তার নিজের জীবনকে ভালোভাবেই গুছিয়ে নিয়ে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই জামাল সাহেবের কেসটা নিয়ে ফাইয়াজ অনেক বাড়াবাড়ি শুরু করে দিয়েছে।

শেষ পর্যন্ত এই বইটি না পড়লে পাঠকদেরকে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। আফসানা আক্তার কোন গোপন সম্পর্ক লুকাতে চাইছেন? আর দশ বছর আগে চেপে যাওয়া কেসটা আবার কি নতুন করে শুরু হবে? ফাইয়াজ আহমেদ কি নতুন কোন সূত্র খুঁজে পাবে জামাল সাহেবের কেসটার বিরুদ্ধে? নতুন সাব-ইন্সপেক্টর পারবে কি জটিল অংকের সমাধান করতে? এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে বইটা পড়তে হবে।

উপন্যাসটা সত্যি টুইস্টে ভরা এবং mind-blowing ওয়ার্ক। লেখক অনেক দারুন দারুন জিনিস এখানে তুলে ধরেছেন। প্রত্যেকটি থ্রিলারে যেমন টানটান উত্তেজনা থাকে এটিও তার ব্যতিক্রম নয়। আমি কথা দিতে পারি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার মনোযোগ একই রকম থাকবে। তাই আর দেরি না করে বইটি পড়ে ফেলুন। কিছুটা সময় অন্তত অনেক ভালো কাটবে।

Exit mobile version