Site icon Book PDF Down.com

অভিমানিনী PDF Download মৌরি মরিয়ম

অভিমানিনী PDF Download মৌরি মরিয়ম

অভিমানিনী’ উপন্যাসটির লেখিকা হলেন মৌরি মরিয়ম। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন এই লেখিকা। একের পর এক অসাধারণ উপন্যাস প্রকাশের মধ্য দিয়ে পাঠক সমাজের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। শুধুমাত্র তরুণ পাঠক সমাজই নয় বরং সকল পাঠক সমাজেই তার বেশ কদর।

লেখিকা অতি অল্প বয়সেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছিলেন। এই পড়ার অভ্যাস থেকেই এক সময় তার মনে হয় লেখালেখি শুরু করা উচিৎ এবং লেখালেখি শুরু করেন অনেক আগেই, ছাত্র জীবনেই প্রায় ৪-৫ টি উপন্যাস রচনা করলেও প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটান ২০১৮ সালে ‘প্রেমাতাল’ উপন্যাস বইমেলায় প্রকাশের মাধ্যমে।

তারপরে মরিয়মকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অভিমানিনী উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৯ সালের বইমেলায় এবং প্রকাশনী সংস্থা হলো ‘অধ্যয়ন’।

উপন্যাসটির মূল পটভূমি গড়ে উঠেছে মূলত একটি ত্রিকোণী প্রেমকে কেন্দ্র করে এবং এই ত্রিকোণ প্রেমের মূল চরিত্রগুলো হলো নীরব, দিতিয়া এবং মানসী। উপন্যাসটিতে লেখিকা যতগুলো চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন তার প্রত্যেকটিই জীবন্ত, প্রাণবন্ত। প্রত্যেকটি চরিত্রের মাঝেই যেন পাঠকেরা আশেপাশের মানুষগুলোকে খুঁজে পেতে পারেন।

অদ্রি আর অর্পি এই দুই বোনেএ খুনসুটি, ভালোবাসা উপন্যাসটিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। উপন্যাসের গল্পের শুরুও হয় এই দুজনের বর্ণনার মধ্য দিয়ে। হঠাৎ করেই সন্ধ্যার আগ দিয়ে ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হলে অদ্রি ও অর্পিকে তাদের মা জানালা বন্ধ করার জন্য তাগাদা দিতে শুরু করে। দু’বোন সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করে।

এরমাঝে অদ্রি গেল তার দাদুর ঘরের জানালা বন্ধ করতে এবং অর্পি গেল লাইব্রেরি ঘরের জানালা বন্ধ করতে। সেখানে গিয়ে দেখে তার বড় চাচা সেখানে বসে আছে। বড় চাচাকে বাড়ির সকলেই একটু মেনে চলে এমনকি দাদুও। কেননা রেগে গেলে নাকি এই লোকটা হুলস্থূল কান্ড বাঁধিয়ে দেয়। তাই চাচাকে কিছুটা ইতস্তত করে অর্পি। আবার অর্পিকে দেখে তার চাচা নীরব জানতে চায় সে কেন এসেছে।

নিজের আসার কারণ অর্পি ব্যক্ত করলে চাচা উঠে চলে যায় এবং জানালাগুলো ভালোভাবে বন্ধ করতে বলে। জানালা বন্ধ করার পর অর্পির চোখ যায় চাচার টেবিলের উপর। চাচা একটি আগে এখানে বসেই কী যেন লিখছিলো। তারপর অর্পি লক্ষ্য করে একটি নীল ডায়েরি রাখা টেবিলের ওপর। নীল অর্পির পছন্দের রঙ।

তাই নিজের অজান্তেই ডায়েরিটি খুলে পড়তে শুরু করে অর্পি আর এই ডায়েরিতেই লেখা রয়েছে নীরবের ত্রিকোণী প্রেমের গল্প। এর কিছুক্ষণ পর সেই ঘরে অর্পিকে খুঁজতে আসে অদ্রি। এবং অদ্রিকে অর্পি তার চাচার প্রেমের ডায়েরীর সন্ধান দেয়। এরপর থেকেই শুরু হয় যত নাটকীয়তা। এই প্রেমের কাহিনী জানার পর কী হয়েছিল পরিবারবটিতে তা জানতে হলে পড়তে হবে বইটি।

অসাধারণ একটি রোমান্টিক উপন্যাস। পড়তে শুরু করলে কখন সময় পেরিয়ে যায় তা বোঝে ওঠাই ভার।

Exit mobile version