পারাপার PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস হল ‘ পারাপার’। এটি হিমু সিরিজের বইগুলোর মধ্যে ৪র্থ তম। প্রথমে বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে এবং পরে বইটি আবার প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালে। ২০০৫ সালে সংস্করণের পর বইটি অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। এই বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১১৪টি। অসাধারণ এই বইটির বাংলাদেশী মূল্যঃ ২৫০ টাকা।

হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট সবগুলোই রচনায় অসাধারণ। তার সৃষ্ট কর্মের মাধ্যমে তিনি আজীবন মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী হয়ে থাকবে। ‘পারাপার’ বইটি হিমু সিরিজের মধ্যে অন্যতম। অসাধারণ এই বইটি পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করতে পারবেন। চমৎকার এই বইটি যারা এখনো পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি আজই পড়ে ফেলুন।

পারাপার উপন্যাসের মূল কাহিনী

ঘুঘুর ডাকের মাধ্যমে পারাপার উপন্যাসটি শুরু হয়েছে। রাস্তা দিয়ে হিমু হেটে যাচ্ছে এবং সেই রাস্তায় হঠাৎ করেই হিমুর সামনে এসে একটি মাইক্রোবাস দাড়িয়ে গেল। মাইক্রোবাসের পর্দা সরিয়ে একজন পান খাওয়া মহিলা জিগ্যেস করলো ‘ তুই হিমু না?’ কিন্তু হিমু সেই মহিলাকে চিনতে পারছে না। তাই সে চুপ করেই রইলো। তিনি হিমুকে জোর করে রিক্সা থেকে নামিয়ে মাইক্রোবাসে নিয়ে গেলেন। সেই মহিলার সাথে একজন মেয়ে ছিল। তার নাম হল খুকি। হিমু দেখলো মেয়েটা একদম হুরের মত সুন্দর। হিমু তার দিকে তাকিয়ে আছে একদৃষ্টিতে। মাঝপথে হিমু মাইক্রোবাস থেকে নেমে গেল। মহিলার বার বার নিষেধ করা সত্বেও হিমু নেমে গেল।

হিমুর ডাক পড়েছে একজন বিত্তশালী লোকের বাসায়। লোকটি দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত। সেই লোকটিকে নিয়মিত রক্ত পরিবর্তন করে বাচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই ভদ্রলোক মাঝেমাঝেই তার মৃত স্ত্রীকে স্বপ্নে দেখেন। তিনি স্বপ্নে দেখেন সেই অসুখ ভালো করার জন্য তার স্ত্রী তাকে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। তাকে সুস্থ হওয়ার জন্য অনেক কৌশলও বলে দেন।

তার স্ত্রীর মতে সুস্থ হওয়ার কৌশল হল, একজন নিষ্পাপ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের রক্ত তার শরীরে প্রবেশ করালে লোকটা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে। সেই নিষ্পাপ মানুষ খোঁজার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হিমুকে। হিমুর বিভিন্ন আধ্যাত্মিক কাজের জন্য লোকে তাকে মহাপুরুষ মনে করে। তারা ভাবে হিমু যে কাজ গুলো করে সেগুলো সবই হয়ে যায়। তাই হিমুর পক্ষেই সম্ভব এমন লোক খুঁজে বের করা। এইজন্যই হিমুকে দায়িত্ব দেন সেই বিত্তশালী।

হিমু নিষ্পাপ মানুষের খোঁজ করা শুরু করে। তার তালিকায় নিষ্পাপ মানুষের সংখ্যা বেশি হতে থাকে। এই উপন্যাসের সবচেয়ে মজার কাহিনী হল যারা জানতে পারছে তাদের নাম তালিকায় আছে তারাই খুব আনন্দিত হচ্ছে। কিন্তু কেউ কোনভাবেই জানতে পারছে না কেনো নিষ্পাপ মানুষের প্রয়োজন। কাহিনী এগিয়ে যায় হিমু আর রুপার দিকে। নীল শাড়ি পরে রুপা হিমুর জন্য সবসময়ই অপেক্ষা করে। নীল শাড়িতে হলুদ সুতোয় হিমু নাম খোদাই করা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।

তবুও তার অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়না। কিন্তু হিমুরা তো কখনো কারো মায়ায় জড়াতে পারে না। তারা যে মহাপুরুষ হতে চায়। মহাপুরুষদের মায়া থাকতে নেই। এই উপন্যাসের কাহিনির শেষে হিমু সেই নিষ্পাপ মানুষের খোঁজ পায়। কিন্তু কে সে? শেষ পর্যন্ত সেই লোকের কি হয়? এইসব কিছু জানতে হলে পড়তে হবে হুমায়ূন আহমেদের এই অসাধারণ উপন্যাস ‘ পারাপার’।

পারাপার PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top