পার্ল মেইডেন PDF Download হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড

ইংরেজি সাহিত্যের একজন জনপ্রিয় লেখক হলেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। তার লেখা সবগুলো উপন্যাস সবার কাছে অনেক বেশি পছন্দের। তিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে ছোট থেকে বড় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কারণ তার লেখাগুলো তে এমন কিছু জিনিস দিয়ে ফুটিয়ে তোলেন যেটা মানুষের জীবনকে বদলে দিতে সাহায্য করে। তার লেখাগুলো বাস্তবের কথা বলে। তিনি বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে নিয়েই কল্পনার রুপ হিসেবে উপন্যাস লিখেন। তাঁর উপন্যাসের ভাষা ও প্লট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস গুলোর মধ্যে “পার্ল মেইডেন” অন্যতম।

“পার্ল মেইডেন” হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর একটি অন্যতম অনুবাদ উপন্যাস। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেন ইসমাইল আরমান। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2009 সালে। বইটি প্রথম প্রকাশ করে সেবা প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ইসমাইল আরমান বিদেশি মুভি অবলম্বনে। উপন্যাসটি মূলত রোমান্টিক জীবনধর্মী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 383 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য 124 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ

এই উপন্যাসটি মূলত পিতৃ-মাতৃহীন, অসহায় একটি খ্রিস্টান তরুণী মিরিয়ামের গল্প। যে মেয়েটি ন্যায়, সত্য ও শান্তির জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিল। এই গল্পটি দুঃসাহসিক ও নিবেদিতপ্রাণ রোমান সৈনিক মারকাসের। এই উপন্যাসটি হেনরি রাইডারের প্রেম,রক্তক্ষয়, সংগ্রাম আর প্রতিহিংসার এক রুদ্ধশ্বাস উপাখ্যান। আমি এখানে উপন্যাসটির সংক্ষিপ্ত কিছু কাহিনী তুলে ধরবো। বাকিটা আপনাদের পুরো বইটা পড়ে জেনে নিতে হবে।

উপন্যাসটি খ্রিস্টান ও ইহুদিদের মধ্যে যুদ্ধের এক খণ্ড চিত্র মাত্র। মিরিয়াম হল খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হওয়ার এক দম্পতির সন্তান। যাদেরকে এই অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মা-বাবার মৃত্যুর পরে মিরিয়ামকে তাদের বিশ্বস্ত দাসী নেহুশতার হাতে তুলে দিয়ে যায়। মিরিয়ামের মা মারা যাওয়ার সময় ভুলে যায় তার মেয়ে যেন খ্রিস্টান ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে না করে।

মিরিয়ামকে নিয়ে নেহুশতা একজন ইহুদি মামার কাছে যায়। 18 বছর ধরে ওইখানেই বাস করে মিরিয়াম। মিরিয়াম ভাস্কর্য তৈরিতে অনেক দক্ষ ছিল। ওইখানে মিরিয়ামের একজন খেলার সাথী ছিল। যার নাম হল ক্যালেব। মিরিয়াম যখন বড় হতে থাকে সে আস্তে আস্তে সুন্দরী, বুদ্ধিমতি নারীতে পরিণত হয়। ক্যালেব তাকে পছন্দ করে ফেলে এবং তাকে তার মনের কথা জানায়। মিরিয়াম কোন কথা না ভেবেই তার প্রস্তাব কে সরাসরি অস্বীকার করে। কারণ সে তার মায়ের কথা কিছুতেই ফেলতে পারবে না।

এদিকে রোমান সৈনিক মারকাস ও মিরিয়াম একে অপরকে ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু মিরিয়ামের মায়ের কথা অনুযায়ী সেই দুজনের একজনকে বিয়ে করতে পারবে না। মিরিয়ামের বয়স 18 বছর হওয়ায় ইহুদিদের গোত্র ত্যাগ করতে হয়। একসময় ভয়ঙ্কর যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় রোমান ও ইহুদীদের মধ্যে। তারা তিনজনই আলাদা হয়ে যায় সেই সময়। সেই সময় মারকাস তার নিজের রাজ্যে ফিরে যায়। ক্যালেবের প্রস্তাবকে অস্বীকার করায় সে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে থাকে।

অনেকবার দুজনেই তাদের প্রেমের প্রমাণ দিতে থাকে। কিন্তু মিরিয়াম কোনোভাবেই সেটা কে পাত্তা দেয় না। কিন্তু বারবার তাদের ভাগ্য তাদেরকে আলাদা করে দেয়। শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি হবে এই ত্রিভুজ প্রেমের? তাদের জীবনে কি নতুন কোনো মোড় আসবে? জানতে হলে হেনরি রাইডারের এই অসাধারণ উপন্যাসটা পড়ে ফেলুন।অসাধারণ এই উপন্যাসটি এখন পর্যন্ত যারা পড়েননি তারা আর দেরি না করে পড়ে ফেলুন। এই বইটি না পড়লে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস অজানাই থেকে যাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top