Site icon Book PDF Down.com

পলাতক PDF Download সজল চৌধুরী

পলাতক PDF Download সজল চৌধুরী

প্রচ্ছদ শিল্পী বলতে যাদের বুঝায় আমরা তাদের শুধু প্রচ্ছদকার বলতেই চিনি। এই সজল চৌধুরিও একজন প্রচ্ছদ শিল্পী। তবে সবার আগে তিনি একজন লেখক। মজার ব্যাপার হলো তাঁর নিজের প্রথম বই ‘পলাতক’ এবং এটার প্রথম প্রচ্ছদও তাঁর। তারপর দীর্ঘদিন ধরে প্রচ্ছদের কাজ করলেও লেখালিখি আর করেন নি। তবে প্রায় বছর খানেক আগে প্রকাশিত পলাতক বইটি তখনই পাঠকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। মূলত সাইন্স ফিকশন ফ্যান্টাসি থ্রিলার টাইপের বই। অনেকটা অন্যরকম জনরার। দারুন বইটা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এর পিডিএফ পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

এক এতিম ছেলে সালাম। গ্রামে থাকা অবস্থায় এক অতিপ্রাকৃত ঘটনার পর থেকে সে পলাতক। কিন্তু কি সেই ঘটনা?
কেনো সে পলাতক? জীবন কি তাকে তবে হতাশ করেছে? তবে কি তার বেচেঁ থাকতে চাওয়াটাই তার পলাতক হওয়ার পিছনে দায়ী? আসলেই কি পলাতক একরাম নাকি অন্য কেউ? তবে কে সে?

জাফতিনের ভালোবাসার অন্দরমহল কি ছুঁতে পেরেছে একরাম? নাকি বায়োবট আজাদ সব ধ্বংস করে দিচ্ছে? আজাদ কি আসলেই ধ্বংস নাকি ভবিষ্যত পৃথিবীর নতুন সৃষ্টি? এক হাজার বছর পরের পৃথিবীতে কি তবে মানুষের অনুভূতিগুলো বন্দী করে রাখা হবে? নাকি পলাতক সব ঠিক করে দেবে? কোথায় সেই পলাতক? কবে ধোঁয়াশার ভেতর থেকে সে স্পষ্ট হবে? এতসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে আপনাকে পড়তে হবে পলাতক। থ্রিলার সাইফাই পলাতক আশাকরি আপনাকে নিরাশ করবে না।
তাই অন্যরকম একটা জগতে প্রবেশের জন্য বইটি পড়ে ফেলুন!

বহুদিন এমন কোনো বই পড়ি নাই। অনেকদিন পরে এমন বই পড়ে বোঝার চেষ্টা করি এর ভেতরের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য। এর গভীরতাটা বিশাল পরিধিতে বিস্তৃত। তাই একে ধীরে ধীরে বোঝা শুরু করলাম। থ্রিলার এর সাথে সায়েন্স ফিকশন। সায়েন্স ফিকশনে আবার জীবনানন্দের কবিতা। মজাটাই পাল্টে গেছে। তার মধ্যে প্রতিটি অধ্যায়ের আলাদা আলাদা নামকরণও ভালো লেগেছে। যেন একেকটা আলাদা জগত! বইটি পড়ার সময় মনে হচ্ছিল আমি কোনো সাইন্স ফিকশন মুভি দেখছিলাম। এখানেই লেখক সার্থক। তাঁর লিখনশৈলী এক কথায় অসাধারণ।

আগেই বলেছি পলাতক লেখকের প্রথম মৌলিক উপন্যাস। আর প্রথম উপন্যাসেরই লেখক পাঠক মন জয় করে নেয়ার মত মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণী হচ্ছে মানুষ। আর এই মানুষের মস্তিষ্কের ভেতরের কল্পনার পরিধির তল খুঁজে পাওয়ার ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা মানুষকে দেন নি। তবুও মানুষ অনুসন্ধান করে অজানার। খুঁজতে থাকে রহস্য। আর সেই সাথে হারিয়ে ফেলতে থাকে অতীতকে। মানুষ অতীতকে আটকাতে পারে না বলেই মানুষ বর্তমানে বাঁচতে চায়। ভবিষ্যত হতে চায় না। তাই মানুষ চিরকাল অমর হতে চেয়েছে। পলাতক এর একরাম ও এর বিপরীত নয়। কারণ ‘মুক্ত জীবন অনেক সুন্দর’!

আবেগ মানুষের স্বভাবজাত প্রতিক্রিয়া। মানুষ আবেগ তাড়িত হতে ভালবাসে। কেউ কেউ অকারণে আবেগে বশীভূত হয়। শুনেছিলাম একজন গবেষকের নাকি কোনো অনুভূতি থাকে না সে অনুভূতিহীন কিন্তু পলাতক তো অনুভূতির সমুদ্র। ডা. একরাম ও এর ব্যতিক্রম কেনো হবে যেখানে মানুষের হৃদয় কে প্রাধান্য দিয়েছেন লেখক। সায়েন্স আবেগে বিশ্বাস করে না। সায়েন্স বিশ্বাস করে প্রমাণ আর চোখের সামনে যা ঘটে তাই। কিন্তু পলাতক এর ব্যতিক্রম। পলাতক এ সায়েন্স আছে, আছে অত্যাধুনিক অনেক যন্ত্রপাতি। গতবাধা নাম থেকে যেসব নাম একদম আলাদা। পড়তে বিরক্ত হবেন না একদম!

সবশেষে বলবো, যাস্ট অন্যরকম একেবারে ভিন্ন ধাঁচের একটা বই। যা পড়তে চাইলে এক নিঃশ্বাসেই পড়া যায়!

Exit mobile version