প্রিয় পদরেখা বইটি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের একটি গল্পের বই। যে সকল পাঠক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের গল্প পড়তে পছন্দ করেন এবং এই ছোটগল্পগুলো আপনাকে আনন্দ প্রদান করতে পারে, তাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়ে এসেছি হুমায়ূন আহমেদ স্যারের প্রিয় পদরেখা বইটির পিডিএফ ফাইল।
আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিজের দিকে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের প্রিয় পদরেখা বইটির পিডিএফ ফাইল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং সহজ উপায়ে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের প্রিয় পদরেখা বইটির প্রথম গল্প রুপা। এ রুপা গল্প নিয়ে বাংলাদেশে একটি টেলিভিশন নাটক নির্মিত হয়েছে। চমৎকার এই গল্পগুলো আপনারা যদি পড়তে চান তাহলে আর দেরি না করে বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে ফেলুন।
প্রিয় পদরেখা বইটিতে মোট সতেরোটি গল্প রয়েছে। প্রিয় পদরেখা বইটি আফসার ব্রাদার্স প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে সর্বপ্রথম 2009 সালে। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য 250 টাকা এবং এই বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা মোট 160 টি। সমকালীন উপভোগ্য গল্প গুলো আপনারা যদি করতে চান তাহলে বইটির হার্ড কপি সংগ্রহ করতে পারেন। তাছাড়া প্রিয় পদরেখা বইটির হার্ডকপি যদি সংগ্রহ করতে না পারেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে নিয়ে পড়ে নিতে পারেন।
প্রিয় পদরেখা বইটির কাহিনী সংক্ষেপ
যেহেতু প্রিয় পদরেখা একটি গল্পের বই এবং এই বইটি দেশ মোট সতেরোটি গল্প রয়েছে সেহেতু প্রত্যেকটি গল্পের যদি কাহিনী সংক্ষেপে বলতে যাই তাহলে বইটি পড়ার আমেজ আপনারা হারিয়ে ফেলবেন। তবে আপনাদের সামনে আমরা এখন প্রিয় পদরেখা প্রথম গল্প অর্থাৎ রুপা গল্পের রিভিউ তুলে ধরার চেষ্টা করছি। কারণ এই গল্পটি একটি জনপ্রিয় গল্প এবং এ বইটি পড়ে আপনাকে বইটির অন্যান্য গল্প এক নিঃশ্বাসে শেষ করতে তাড়া প্রদান করবে।
রুপা গল্পে একজন মাঝ বয়স্ক লোক হঠাৎ করেই স্টেশনে বসে থাকা এক লোককে তার জীবনের গল্প শোনানোর জন্য আবদার করে। স্টেশনে বসে থাকা সেই লোকটি গল্পটি শুনতে ইতস্তত বোধ করলেও সেই মাঝ বয়স্ক লোকটি তার জীবনের গল্প শুরু করে দেয়। হঠাৎ করেই স্টেশন থেকে চলে যাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে। আজকের এই মাঝ বয়স্ক লোক এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের পড়তো। এক সময় সেই লোকটি একটি সুন্দরী মেয়েকে দেখে এবং মেয়েটির প্রেমে পড়ে যাই। সেই মেয়েটি মাঝেমধ্যে সাবসিডিয়ারি ক্লাস করতে তার ডিপার্টমেন্টে আসতো।
গল্পের নায়ক সব সময় ভাবতো যে, নায়িকার যদি সপ্তাহের সাবসিডিয়ারি ক্লাস বেশি থাকত তাহলে নায়ক এর জন্য খুব ভালো হতো। পরপর কয়েক দিন মেয়েটি না আসায় হঠাৎ করেই একদিন চলে আসে। নায়ক যেহেতু অস্থির হয়েছিল সেহেতু সে সেই নায়িকার ড্রাইভার এর কাছে গিয়ে তার বাড়ির ঠিকানা নাই। ড্রাইভার ঘটনা আঁচ করতে পেরে একটি বাড়ির ঠিকানা তাকে দিয়ে দেয়।
হঠাৎ করেই আমাদের এই গল্পের নায়ক একটি বাড়ির সামনে গিয়ে নায়িকার সঙ্গে দেখা করতে চেষ্টা করে। কিন্তু গেটের দারোয়ান এবং বাড়ির কর্তা নাকা সঙ্গে কোন ভাবে তাকে দেখা করতে দেয় না। এদিকে নায়ক অনশনে চলে যায় এবং বলে যে নায়িকা সঙ্গে দেখানো হয়েছে এই স্থান কখনওই ত্যাগ করবে না। ইতোমধ্যে রাস্তায় নায়ক এর পাগলামি দেখে লোকজন মজা নিতে শুরু করে। এভাবে রাত চলে আসে এবং প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হয়। যে মেয়েটির জন্য নয় কতক্ষণ বাইরে বসে ছিল সে আর সহ্য করতে পারে না।
সে নায়ক এর কষ্ট দেখে বাইরে চলে আসে এবং নায়িকার হাত ধরতে বলে। তবে নায়ক যেন আকাশ থেকে পড়ে। সকাল থেকে সেই যে মেয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল সে মেয়ে ইনি নন। তবে নায়ক সেই মেয়েটির হাত ধরে দেখে কোন কিছু উপেক্ষা করতে পারে না। সারাদিনের অভুক্ত এই নায়ক নায়িকার হাতের স্পর্শ পেয়ে যেন এক মায়া এবং ঘোরের মধ্যে চলে যাই। গল্প এখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু সেই নায়ক আজকে সেই মেয়েটির স্বামী এবং সেই মেয়েটিকে রিসিভ করার জন্য সে এই রেলস্টেশন এসেছে। চমৎকার এই গল্পটি আপনাদের বিশাল ধরনের চমক’ প্রদান করবে। বইয়ের অন্যান্য গল্প ঠিক একইভাবে পড়ে আপনারা চমকৃত হবেন।