প্রহেলিকা PDF Download নাজিম উদ দৌলা

থ্রিলার পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় একটি নাম বলা যায় ‘নাজিম উদ দৌলা’ কে। এর মধ্যেই বেশ কয়েকটা ভালো ভালো বই লিখে পাঠকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সাধারণ একজন লেখকই নন তিনি, সাথে একজন দক্ষ স্ক্রিপ্ট রাইটারও। বেশ ভালো কয়টা নাটক সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছে এবং সেগুলো বেরও হয়েছে। লেখকের প্রকাশিত সবথেকে ছোট্ট বইটি হলো ‘প্রহেলিকা’। ১২০ পৃষ্ঠা এবং ক্রাউন সাইজ।
দারুন সাইকো কিলিং এর বই। বইটি যারা পড়েন নি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ ফাইল পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

ঢাকার বুকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এক নৃশংস খুনি। একের পর এক ঘটে চলেছে হত্যাকান্ড, অসহায় পথশিশুদের। এত নির্দয়ভাবে খুন করা হচ্ছে যেন চেহারা চেনা দুস্কর। খুনির দৌরাত্ম্যে যখন পুলিশ ডিপার্টমেন্ট অতিষ্ঠ তখন জাদরেল পুলিশ অফিসার মনসুর হালিমের কাধে পড়ে সাইকো কিলারকে ধরার দায়িত্ব। ভিক্টিমদের পাশে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন জিনিস। এসব ক্লু নাকি খুনির পাতানো ফাঁদ।

প্রশ্নের বেড়াজাল যখন জাকড়ে ধরতে শুরু করেছে তখন আচমকাই পাওয়া যায় এক অদ্ভুত তথ্য। খুনের বর্ণনার সাথে মিলে যাচ্ছে “গাল্লি বয়” বইয়ের কাহিনি। কিন্তু লেখক নিয়াজের মতে ফাঁসানো হচ্ছে তাকে। কিন্তু কে সে? প্রহেলিকাই বা কে? লেখক ও খুনগুলোর সাথে তার কি সম্পর্ক? কি এর মোটিভ? এই সবের রহস্য লুকিয়ে আছে ‘প্রহেলিকা’য়!

ছোট্ট একটা বই। এতটাই ছোট যে, খুব বেশি হলে দেড়/দুই ঘন্টায় পড়ে ফেলা যায়। গল্পের শুরু একটি কিডন্যাপিং দিয়ে। মুখোশ, কালো আলখেল্লা পড়া আগন্তুক হঠাৎ উধাও হয়ে যায় একটি বাচ্চাকে সাথে নিয়ে। তারপর কাহিনি চলে যায় পাঁচ দিন আগে মূল কাহিনিতে।

লাশের বর্ণনা আর খুনির ক্লু ফেলে যাওয়া ব্যাপারগুলোতে একটু সিনেমাটিক ব্যাপার স্যাপার আছে। আগেই বলেছি, লেখক একজন দক্ষ স্ক্রিপ্ট রাইটারও। সুতরাং গল্পে একটু আধতু ওরকম করেই থাকেন। আমি একটা সিনেমার সাথে মিলও খুঁজে পেয়েছিলাম।

যাই হোক, সাইকো থ্রিলার গল্পের মূল আকর্ষণ থাকে কিলারের উপর। এটাই মূলত বইয়ের মূল আকর্ষন। কিলারের দৃষ্টিকোণ দিয়ে ঘটনা জানা এবং খুন হওয়ার সময় কিলার-ভিক্টিম কি ভাবছে এটা নিয়ে স্বভাবতই আগ্রহ কাজ করে। কিন্তু বইয়ে এই বিষয়টা অনুপস্থিত। খুনের সময়কার বর্ণনাও নেয়। বইয়ে কাহিনি যেভাবে বলা হয়েছে তাতে খুনি থেকে নিয়াজ বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। কিলারকে নিয়ে গল্প একদম শেষে তাও আবার হঠাৎ করে শুরু হঠাৎ করে শেষ। পড়ে মনে হচ্ছিল লেখক গল্প দ্রুতই শেষ করতে চান।

লেখকের লিখনশ লিখনশৈলীর সাথে আগে থেকে পরিচিত বলে আমার ভালোই লেগেছে বেশ। তবে যারা একদমই অপরিচিত তারা একটু ধৈর্য্য ধরে পড়তে হবে। নিয়মিত থ্রিলার যারা পড়ে তারা সহজেই অনুমান করতে পারবে খুনি কে। গল্পের প্লট খুব ছোট। এতটা স্ট্রংও না। তবে যারা থ্রিলার এর সাথে খুব একটা পরিচিত না তাদের ভালোই লাগবে। এবং বিনা বিরক্তিতে পড়ার জন্য আদর্শ একটা বই বলা যায়।

চরিত্র বিশ্লেষণ

বইটির প্রধান চরিত্রে আছে এএসপি মনসুর হালিম। তাকে প্রধান চরিত্র মনে হলেও লেখক তাকে ভালোমত ফুটিয়ে তুলতে পারেনি। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ একজন হলো কন্সটেবল নাহিদ। একজন কন্সটেবলের কেমন হওয়া উচিত তা এর থেকেই বুঝা যায়। তাকেই বেশি মনে ধরে আমার। সাথে আছে সাব ইন্সপেক্টর ঈশিতা।

মূলত এরাই প্রধান। তবে রহস্যময় আরও কিছু চরিত্র আছে। সেগুলো বলা উচিত হবে না। তার থেকে ভালো বইটা পড়ে ফেলুন। সবশেষে বলবো, দ্রুতগতির কোনো বই পড়তে চাইলে এটা অবশ্যই রেকমেন্ড থাকবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top