সর্ব কালের সেরা থ্রিলিং গল্প। বিখ্যাত হরর লেখক রবার্ট ব্লচের প্রথম উপন্যাস সাইকো। অসাধারণ এই সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হয় বেস্টসেলার এ।
গল্পঃ সাইকো
মূল লেখকঃ রবার্ট ব্লচ
অনুবাদঃ অনিশ দাস অপু
মূল গল্প
গল্পের প্রধান চরিত্র নরমান বেটস ফেয়ারভেল এ একটি মেটেল পরিচালনা করেন। মেরি নামের একটি মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার সাথে পুরো গল্পের কাহিনি ফুটে উঠেছে। মেরি হল ২৫-২৬ বছর বয়সি একটা মেয়ে যে একটি ব্যাংকে কাজ করে। সেখান থেকে সে ৪০ হাজার পাউন্ড নিয়ে পালিয়ে আসে।
মেরির একজন প্রেমিক আছে যার নাম স্যাম এবং স্যামের সাথে তার এক বছর আগে পরিচয় হয়। টাকা নিয়ে মেরি ফেয়ার ভেল এর উদ্দেশ্যে রওনা হয় যেখানে তার প্রেমিক স্যাম একটি ওয়ার্কশপ চালায়। তার প্রেমিক কে ঋণ থেকে মুক্ত করার জন্য সে টাকাগুলো চুরি করে।
সারাদিন গাড়ি চালানোর পর ক্লান্ত হয়ে মেরি একটু ঘুমিয়ে পড়ে এবং সে স্যামের কাছে পৌছাঁনোর রাস্তা হারিয়ে নরমান বেটস এর মেটেল এ পৌঁছে যায়। নরমান বেটস আসলে সেক্সচুয়াল অ্যাডিক্টেড মানুষ। মেটেল এ জায়গা দিয়ে সে মেরিকে খুন করে লাশ গুম করে দেয়। মেরির খোঁজ না পেয়ে তার বোন লীলা স্যামের কাছে আসে।
স্যাম জানায় মেরি তার কাছ আসার কথা ছিল কিন্তু মেরি আসেনি। পরে তারা মেরির জন্য চিন্তিত হয়ে পড়ে মেরি কে খোঁজার চেষ্টা করে। এর মধ্যে মিলটন আরবোগাস্ট নামের একজন গোয়েন্দা মেরির খোঁজে স্যামের কাছে আসে। সে জানায় মেরি মি.লোরি নামক এক লোকের ৪০ হাজার পাউন্ড চুরি করে পালিয়ে গেছে।
মি. লোরি মেরির নামে থানায় এফআইআর করেছে। তদন্ত করতে করতে গোয়েন্দা অফিসার নরমান এর মোটেল এ পৌঁছে যায় এবং জানতে পারে মেরির খোঁজ। এই কারনে নরমান গোয়েন্দা অফিসার কে ও খুন করে। খুন হওয়ার আগে অফিসার স্যাম কে ফোন করে জানিয়েছিল যে মেরি এই মোটেল এ এসেছিল।
আরবোগাস্ট এর কোনো খবর না পেয়ে লীলা আর স্যাম পৌঁছে যায় নরমান এর মোটেল এ। আসার সময় তারা স্থানীয় শেরিফ কে জানিয়ে আসে। মোটেল এ আসার পর তারা জানতে পারে নরমান বেটস এর আসল কাহিনি।
ছোট বেলা থেকেই নরমান বেটস অন্যরকম স্বভাবের। বাবা মারা যাওয়ার পর মা ই ছিল তার সব কিছু। মায়ের মৃত্যু সে মেনে নিতে পারেনি যার ফলে সে তার মাকে কবর থেকে তুলে বাড়িতে স্টাফ করে রাখে। ছোটবেলা থেকে সে মেয়েদের পোশাক পরতে ভালোবাসে। সে তিনটা চরিত্র অভিনয় করে।
শিশু নরমান, একটা প্রাপ্তবয়স্ক নরমান এবং যখন কাওকে খুন করে তখন তার মায়ের চরিত্রে। সবশেষে সে লীলার কাছে ধরা পড়ে যায় এবং মেরির খুনের রহস্য এবং নরমান বেটস এর রহস্য উন্মোচন হয়। অসুস্থ হওয়ার ফলে পুলিশ হেফাজতে তাকে হাসপাতালে রাখা হয় এবং এক নার্স কে খুন করে সে আবার পালিয়ে যায়। শুরু হয় অন্য একটি থ্রিলিং এর।
রবার্ট ব্লচের “সাইকো” রচিত হয়েছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। এই কাহিনীর পরতে পরতে লুকিয়ে আছে ভয়, উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ। বইটি পশ্চিমা বোদ্ধারা সর্বকালের সেরা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার হিসাবে অভিহিত করেছেন। বইটি পড়লেই বুঝবেন কেনো এই বইয়ের এতো প্রসংশা।
রবার্ট ব্লচের বাকি থ্রিলার বই গুলো ও এই ধাচের। বইগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন অসম্ভব রকম থ্রিলিং আর রোমাঞ্চ পূর্ণ। তার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। বই পড়ুন আর প্রিয়জনকে উপহার দিন।